ডিমেনশিয়া এক ধরনের ভুলে যাওয়া রোগ। এ রোগে মানসিক সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ডিমেনশিয়া সাধারণত ৬০ বছর বয়সের পরে হয়ে থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ এটি আরো আগেও হতে পারে।
ডিমেনশিয়া রোগীদের সাধারণত মানসিক ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যদের অবহেলার কারণে অনেক সময় এ রোগটি লোক চক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়। সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দিতে পারলে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন যাত্রায় সার্বিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণসমূহ-
– কোনো কাজ করে ভুলে যাওয়া।
– পরিচিত মানুষকে চিনতে না পারা।
– জানা কাজ করতে না পারা।
– ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া।
মানসিক সমস্যার লক্ষণসমূহ-
– বিষণ্নতা।
– মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা।
– সবসময় মনে করা যে আশেপাশের মানুষ তাকে নিয়ে কথা বলছে।
আচরণগত সমস্যা-
– অস্থিরতা।
– হঠাৎ রেগে যাওয়া।
– কাউকে কিছু না বলে বাইরে কোথাও চলে যাওয়া।
– ক্ষুধা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া।
– ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া।
– পরিচর্যাকারীকে যত্ন নিতে বাঁধা দেয়া।
কাদের এ রোগ কম হয়?
– কর্মক্ষম ব্যক্তিদের এবং যারা নিয়মিত শরীরচর্যা করে তাদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কম দেখা যায়।
ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিসমূহ-
– ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং আগে কখনও স্ট্রোক থাকলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পরিচর্যাকারীদের করণীয়-
– রোগের লক্ষণ দেখা দিলে মানসিক রোগ বিভাগে যোগাযোগ করা।
– ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়ানো।
– রোগীর জন্য একজন নির্দিষ্ট পরিচর্যাকারী নিয়োজিত করা।
– রোগীকে একই জায়গায় কিছুক্ষণ পরপর খাবার খাওয়ানো।
– নির্দিষ্ট সময় পরপর বাথরুমে নিয়ে যাওয়া।
– রোগীকে তার চেনা জায়গা থেকে না সরানো।
– ধারালো জিনিষপত্র সরিয়ে রাখা।
– বাথরুম ও বাইরে যাওয়ার দরজায় নির্দিষ্ট চিহ্ন দিয়ে রাখা।
– রোগীর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ একটি কাগজ রোগীর সাথে রাখা।
– নিয়মিত সূর্যের আলোতে কিছু সময় রোগীকে রাখা।
– পরিমিত শাকসবজি খাওয়ানো ও পানি পান করানো।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।