ডিমেনশিয়া: আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে যেভাবে

0
67

ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ এড়ানোর উপায় নিয়ে এ প্রথমবারের মতো একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য নানা পরামর্শ রয়েছে এ নির্দেশিকা।
ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুষম খাদ্য গ্রহণ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ব্রেন ট্রেনিং-এর মাধ্যমে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে কিনা সেটি এখনো প্রমাণিত নয়। তবে কিছু গবেষণায় ব্রেন ট্রেনিং-এর ইতিবাচক দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ডিমেনশিয়ার কারণ
বিশ্বে এখন ৫০ লাখ মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং এ সংখ্যা আরো বাড়ছে। এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে এই রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমানো যেতে পারে এবং এটির বিলম্ব ঘটানো যেতে পারে।

বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সবসময় বয়সের কারণেই যে এ রোগ হয় সেটি বলা যাবেনা।

বংশগতভাবেও এ রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব।

ঝুঁকি কমানোর উপায়
১. ব্যায়াম – প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে যদি ১৫০ মিনিট কঠোর কিংবা মাঝারি ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করে তাহলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত উপায়ে ব্যায়াম, সাইক্লিং কিংবা বাসা-বাড়ির কাজ করা।
২. ধূমপান বন্ধ করা – এটি মস্তিষ্ক এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকারক
৩. ভিটামিন ট্যাবলেট ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেনা।
৪. ভালো খাবার – প্রচুর পরিমাণে তাজা সবজি এবং ফল এজন্য উপকারী
৫. অতিরিক্ত মদ্যপান বন্ধ করা – অতিরিক্ত মদ্যপান ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে স্বল্প পরিমাণে মদ্যপান ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু এর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
৬. ব্রেন ট্রেনিং – যেসব কাজ মস্তিস্কের সাথে সম্পর্কিত সেগুলো করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে।
৭. সামাজিক হওয়া – যদিও একজন মানুষের সামাজিক হওয়ার সাথে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবার কোন প্রমাণ নেই। তবে বন্ধু এবং স্বজনদের সাথে সম্পর্ক থাকলে সেটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৮. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন – এটির সাথে ভালো খাবার এবং ব্যায়ামের সম্পর্ক রয়েছে।
৯. উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন – উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিমেনশিয়ার সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র আছে।
১০. ডায়াবেটিস হলে চিকিৎসা নিন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১১. রক্তে কোলেস্টরেল-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডিমেনশিয়ার জন্য এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।

মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

 

Previous articleহিস্টিরিয়া একটি মানসিক রোগ
Next articleপুরুষরা কি শারীরিক গঠন নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here