জিততে হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শিখুন

0
32

পরিস্থিতি সব সময় নিজের সাজানো পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। হুটহাট প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক সেটিকে ঠাণ্ডা মাথায় সামলাতে পারাটা বড় একটি বিষয়। যতই কঠিন পরিস্থিতি হোক ভেবে চিন্তে পরবর্তী করণীয়টি কি হবে তা ভেবে নিতে হবে। জীবন নিজস্ব নিয়মেই পরীক্ষায় ফেলে থাকে যেখানে পছন্দ করার সুযোগটাই থাকে না। তবে জীবন চলার পথে সবকিছুই মোকাবিলা করতে শিখতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে হতাশ হলে চলবে না। বাস্তবতাকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং এর মুখোমুখি দাঁড়ান এবং কিভাবে মোকাবিলা করতে শিখুন। তবে জিতে যাবেন প্রতিটি ক্ষেত্রে।
কথা বলুন: আপনি যখন কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবেন তখন আপনার কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করুন। যাকে আপনি বিশ্বাস করেন এমন কারো কাছে আপনি আপনার অশান্তির ও কষ্টের সকল কথা বলুন। এর মাধ্যমে আপনি হয়তো কোন সমাধান খুঁজে পাবেন না কিন্তু আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।
ইতিবাচক থাকুন: এই কথাটি গতানুগতিক মনে হবে কিন্তু এটা আসলেই সত্যি। কঠিন সময়ে ইতিবাচক থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন ইতিবাচক থাকবেন তখন আপনি খারাপ সময়েও নিজেকে ভালো অবস্থানে রাখতে পারবেন এবং নিজে একজন ভালো মানুষ হতে পারবেন। জীবনে যখন খারাপ সময় আসবে তখন আপনি দুইটা জিনিষ একসাথে করতে পারেন। আপনি ইতিবাচক থাকবেন এবং নিজেকে মনে করিয়ে দিবেন যে, অন্ধকার সুড়ঙ্গের পরে অবশ্যই আলো থাকে যা অন্ধকারকে দূর করে দেয়।
নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন: আপনি যখন ব্যাস্ত থাকবেন তখন আপনার সমস্ত যন্ত্রণা গুলো ভুলে থাকতে পারবেন।  অলস সময় কাটাবেননা, কারণ অলস সময়ে খারাপ দিক গুলোর দিকেই আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হবে যার ফলে আপনি সেই বিষয়েই চিন্তা করতে থাকবেন যা আপনাকে কোন সাহায্যই করবেনা। কিছু না কিছু কাজ করার চেষ্টা করুন।
গ্রহণ করুন: যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তা হতে দিন’। আপনার প্রতিদিনের এমন কিছু বিষয়ের তালিকা করুন যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তালিকার এই বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করাও বন্ধ করে দিন। ধ্যান বা প্রার্থনার সময় মনের চোখে দেখুন যে, আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয় গুলো আপনার উচ্চ ক্ষমতার কাছে হস্তান্তর করছেন এবং এগুলো চলে যাচ্ছে। তারপর যে বিষয় গুলো আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যেমন- আপনার শব্দ, আপনার কর্ম এবং আপনার সিদ্ধান্ত এগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।
জীবনে কৃতজ্ঞ হওয়ার মত অনেক কিছুই আছে: হাসি জীবনকে ভালো রাখে। আপনাকে ঘিরে যে সৌন্দর্য গুলো আছে সেগুলো দেখুন এবং হাসুন। জীবনের ছোট খাট জিনিস গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। এই ছোট খাট জিনিস গুলো যখন একত্রিত করবেন তখন আপনি দেখবেন যে এরা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, সুখ আপনাকে কৃতজ্ঞ করেনা কিন্তু কৃতজ্ঞতা আপনাকে সুখি করে।

Previous articleডিপ্রেশন কাটিয়ে আত্মবিশাস বাড়ানোর কৌশল
Next articleপ্রেমে পড়ার কারণ জানালেন গবেষকরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here