‘জলপুতুল পাপেটস’ শিশুদের সঙ্গে ফেইসবুক লাইভে

‘জলপুতুল পাপেটস’ শিশুদের সঙ্গে ফেইসবুক লাইভে
‘জলপুতুল পাপেটস’ শিশুদের সঙ্গে ফেইসবুক লাইভে

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই সময়টাতে বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষ এখন ঘরবন্দী। এদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাড়িতেই কাটছে তাদের সময়।
ঘরবন্দী এই শিশুদের কথা চিন্তা করে জলপুতুল পাপেটস নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টায় ফেইসবুকে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে শিশুরা তাদের বাড়িতে বসেই বাবা-মায়েদের সঙ্গে কীভাবে সময় কাটাচ্ছে সেই গল্প বলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পারফরমেন্সেও অংশ নিচ্ছে। কেউ লাইভে গান শোনাচ্ছে, আবার কোনো শিশু হয়তো পুতুল নাটক পরিবেশন করছে।
২৬ মার্চ থেকে আয়োজনটি শুরু করেছে জলপুতুল পাপেটস। প্রথম দিন লাইভে পাপেট শো দেখিয়েছে শাহরিয়ার শাওন। পরদিন সাইফুল জার্নাল ও আজমাইন আজাদ কথা দম্পতি তাদের বাসা থেকে শিশুদেরকে পাপেট শো দেখিয়েছে।
এরপর শ্রেয়ান ও তার মা নৃত্যশিল্পী শাহরিন বাসা থেকে লাইভে এসে দেখিয়েছে তাদের পারফরমেন্স। ক্যামেরায় সেই দৃশ্য লাইভে প্রচার করেছে শ্রেয়ানের বাবা অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। একইভাবে ধানমন্ডি থেকে লাইভে এসে পাপেট শো দেখিয়েছে তোতা ও তার বাবা রাহুল আনন্দ। তোতার মা শিল্পী উর্মিলা বসাক শুক্লা আয়োজনটিতে সহযোগিতা করেছে। এ ছাড়া প্রতিদিন লাইভ সম্প্রচারের কাজটি করছে রায়হান রাফি ও সৈয়দ সামী।
জলপুতুল পাপেটসের সদস্য সাইফুল জার্নাল গণমাধ্যমেকে  বলেন, “করোনা আতঙ্কের এই সময়টাতে শিশুরা বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। তাদেরকে আনন্দ দিতেই জলপুতুল পাপেটস এই লাইভ অনুষ্ঠানটি শুরু করেছে। এতে শিশুরা নাচ, গান, গিটার বাজানো, পাপেট শো;সহ নানা রকম পারফরমেন্স করছে। অন্য শিশুরাও তাদের বাসায় থেকে অনুষ্ঠানটি দেখছে, কমেন্ট করে অনুষ্ঠানে জয়েন করছে।”
“আমরা মূলত শিশুদের মধ্যে ডিজিটাল একটা সংযোগ তৈরির চেষ্টা করেছি। আশা করি পর্যায়ক্রমে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে লাইভে আসবে। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ভার্চুয়ালি একটা আনন্দময় সময় কাটাবো। এটাই উদ্দেশ্য।”
দেশে প্রায় ৩ কোটি স্কুল শিক্ষার্থী এখন ঘরবন্দী দিন কাটছে। করোনা আতঙ্কের সঙ্গে ছুটিকালীন সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক। বাড়িতেই স্কুলের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী একটি নির্দেশনাও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শিশু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, করোনা আতঙ্ক শিশুদের মনকে যাতে স্পর্শ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সূত্র: দেশ রুপান্তর

Previous articleযোগনিদ্রার ভিডিও দিয়ে মোদী বললেন, এটি করোনার মানসিক চাপ কমাবে
Next articleমহামারীর সময়ে উদ্বেগ হ্রাস করতে করণীয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here