আপনার আশপাশে এমন মানুষও পেতে পারেন যিনি আপনার কোনো কিছু চুরি করতে পারে এমনটা আপনি ধারণাও করতে পারেন না।
শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির আর্থ-সামাজিক অবস্থা জানার পরে যে কেউই চমকাবেন, এটাও হতে পারে! আরও সন্দেহের জন্ম দেয় কারণ ক্লেপটোমেনিয়ার রোগীরা সেসব জিনিসই বেশি চুরি করেন, যা তারা সহজেই কিনতে পারেন।
আমরা অনেকেই জানি না, চুরিও কখনো কখনো রোগ। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘ক্লেপটোমেনিয়া’। যাদের পরিবারে এমন রোগী আছে তারা মনে করেন, মদের নেশা ছুটে যায় আর চুরি এমন কী!
কিন্তু গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মাদকের চেয়ে চুরির নেশা অনেক প্রবল। দ্য ইউনিভার্সিটি অব মিনেনসোটার মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা ৮ সপ্তাহ ধরে ১৭ থেকে ৭৫ বছর বয়সী নারী-পুরুষদের ওপর এ গবেষণা চালান।
এদের প্রত্যেককে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সম্প্রতি একটি জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৫ জনের মধ্যে যারা নালট্রেজন (দিনে ১১৭ মিলি গ্রাম মাত্রায়) গ্রহণ করেন এমন ব্যক্তিদের আচরণের সঙ্গে ক্লেপটোমেনিয়া রোগীর আচরণ তুলনা করা হয়।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন দ্য ইউনিভার্সিটি অব মিনেনসোটার সহকারী অধ্যাপক জন গ্রান্ট। তিনি বলেন, ক্লেপটোমেনিয়া রোগীর আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, তাদের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়।
একটি গড় জরিপে দেখা যায়, ৪৩ হাজার যুবকের মধ্যে শতকরা ১১ শতাংশের বেশি ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত। গবেষকদের মতে, বিভিন্ন দেশে জরিপ করে দেখা উচিত প্রকৃত অর্থেই কতজন ব্যক্তি ক্লেপটোমেনিয়ার শিকার।