চাকরি তো পেয়েই গেলেন; এখন কি করবেন, ভেবেছেন ?

0
50

অর্জিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনাকে আজকের সাথে আগামীকে সুরক্ষিত করার বিষয়েও ভাবতে হবে।
অনেক চেষ্টার পর যখন একটা চাকরীর ব্যবস্থা হয়েই যায়, হোক সেটি পূর্ণ মেয়াদ বা খন্ডকালীন চাকরী, আপনার আনন্দের সীমা থাকেনা। কিন্তু নিজ হাতে নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যায় করার মাঝে যেমন থাকে আত্মতৃপ্তি, তেমনি থাকে অনেক অনেক ঝুঁকি।
যে কোন ছোট বা বড় কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিষয়ে জ্ঞান থাকা অতি আবশ্যক। নিজের উপার্জিত অর্থের জমা-খরচের হিসাব রাখা, ব্যাংক হিসাবটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা, চেক লেখার বিষয়ে সতর্ক থাকা, টাকা জমা এবং উত্তলনের বিষয়ে সাম্যক জ্ঞান রাখা সহ অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সারবিক ধারনা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। অনেকেই, বিশেষ করে কিশোর এবং সদ্য প্রাপ্ত বয়স্কেরা, নিজের খেয়াল খুশী মত অর্থ ব্যয় করে যা ভবিষ্যৎ স্থিতির জন্য অনেক বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় অর্থের আগমনে অনেকেই মানসিক স্থিরতা ধরে রাখতে পারেন না। যেমনটি দেখা যায় শিশুদের ক্ষেত্রে; তারা শুধু নিজেদের ভালোলাগাকেই গুরুত্ব দেয়। ভবিষ্যৎ বা অর্থনৈতিক অবস্থার নিয়ে তারা কখনোই চিন্তা ভাবনা করেনা বরং শুধুমাত্র অর্থ ব্যয়ের দিকেই মননিবেশ করে। যা মোটেও সমীচীন নয়। অর্থের সঠিক বণ্টন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  নিজের মনকে বুঝিয়ে আজকের প্রয়োজনকে সীমিত করে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে। এক্ষেত্রে আত্ম নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরি।
কষ্টকর মনে হলেও, কিভাবে আপনি এই প্রয়োজনীয় কাজগুলি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন সে ব্যাপারে কিছু সহায়ক উপায় নিম্নে দেওয়া হল-
১) মাসিক খরচের একটি হিসাব প্রস্তুত করুনঃ
আপনার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, বাইরে ভ্রমণ, যাতায়াত, জীবন বীমা সহ অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় খরচের একটি মাসিক হিসাব প্রস্তুত করে ফেলুন।
২) ব্যয়ের সাথে একটি সঞ্চয় হিসাব ও প্রস্তুত করুনঃ
কি কি খরচ হবে সেই সাথে সাথে আপনার আয়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সঞ্চয়ের জন্য ধার্য করুন। এই সঞ্চয় আপনার ভবিষ্যৎ যেমন সুরক্ষিত করবে তেমনি অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আপনাকে আরও স্বাধীন ভাবে বাঁচতে সহায়তা করবে।
৩) সঞ্চয় আমানত থেকে সরাসরি বিভিন্ন বিল মেটাতে পারেনঃ
নিজের সঞ্চয়ী আমানত থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, ইন্টারনেট বিল, অথবা প্রয়োজনীয় অন্য সব বিল মেটাতে পারেন। এতে করে এগুলো প্রদান করতে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা এবং আপনার আয়-ব্যয় ও সঞ্চয়ের একটি সাফ হিসাব থাকবে।
৪) ডেবিট কার্ডের বদলে অর্থের নগদ লেনদেন করতে পারেনঃ
নগদ অর্থ লেনদেন করলে আপনার আয়-ব্যয় এবং সঞ্চয়ের হিসাব রাখা অধিক সুবিধাজনক হবে।
নিজের সুবিধা মত এরকম একটি পরিকল্পনা করে ফেলুন।দুই বা তিন মাস পর আপনি নিজেই আপনার প্রয়োজন এবং উন্নতির দিকটি বুঝতে পারবেন। অর্থ আয় ব্যয় বিষয়ক কোন সমস্যায় পড়লে অবশ্যই অন্য কারও সাহায্য নিয়ে অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম প্রথম কঠিন মনে হলেও, আপনার দৃঢ় মানসিকতাই আপনাকে একটি অর্থপূর্ণ জীবন প্রদান করতে পারে।
সূত্র: সাইকোলজি টু’ডে: https://www.psychologytoday.com/us/blog/your-way-adhd/201909/youve-got-job-now-what
অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা

Previous articleমানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
Next articleগান গাইলে হয় যেসব উপকার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here