চরিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মোহ থাকতে হয়: মাসুম রেজা

[int-intro] একজন সফল নাট্য ও চলচ্চিত্রকার তিনি। মঞ্চ, ছোটপর্দা এবং বড়পর্দার জন্য লিখেছেন নিত্যপুরাণ, আরজচরিত, দ্বিচক্রযান, রঙের মানুষ, ভবের হাট, মোল্লা বাড়ির বউ, বাপজানের বায়স্কোপসহ অনেক রচনা। লেখালেখির সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন বাংল একাডেমী পুরষ্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারসহ অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা। তিনি মাসুম রেজা। মনেরখবর পাঠকের মুখোমুখি হয়ে এবার তিনি জানাচ্ছেন তাঁর ভাবনার কথা, স্বপ্নের কথা, ইচ্ছার কথা, ভালোলাগার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ মামুন।[/int-intro]
[int-qs]বিশ্বায়নের যুগে শিল্প সংস্কৃতিতে আমরা কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]সবকিছুতেই আমি ওপেননেসের বিশ্বাসী। যে কালচারাল গ্লোবালাইজেশনের কথা বলা হচ্ছে সেটি কি চাইলেই আমরা ঠেকাতে পারবো? উত্তর হচ্ছে না। সেটা যদি না পারি তাহলে এটার সর্বোত্তম ব্যবহার কীভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। প্রথমত আমি নিজে একজন পিতা হিসেবে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলি, আমার কম্পিউটার অথবা মোবাইলের সামান্য এক ক্লিকে বিশ্বের অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারছি, বিশ্বের যেকোনো সংবাদ জানতে পারছি। আজকে যে ছেলেটি এই সুবিধা গ্রহণ করছে বা যে ছেলেটি বয়ঃসন্ধিতে পা দিলো তাকে আমরা যদি এটা শেখাতে পারি যে এই তথ্যগুলোর সবই তুমি দেখবে জানবে কিন্তু এটি তোমার জন্য বা তুমি যে গৃহে বসবাস করছো, যে পরিবারে বসবাস করছো, যে সমাজে বসবাস করছো সেখানে তুমি এটা কিভাবে কাজে লাগাবে। তুমি নিজে সমৃদ্ধ ও আলোকিত হবে এবং সকলকে সে আলো বিতরণ করতে পারবে।[/int-ans]
[int-quote]সংস্কৃতিকে সবচাইতে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেয় বা দেয়ার কথা রাষ্ট্রের। একটি সিনেমা আপনি কখন দেখেন। যখন সব চাহিদা পূরণ করার পর আপনার পকেটে পয়সা থাকে এবং দেখার মতো অবসর থাকে তখনই আপনি একটি সিনেমা দেখতে যান। এখানে দেখুন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা সিনেমাকে প্রভাবিত করছে। আবার অন্যদিকে দেখেন রাষ্ট্রের যে মোট বাজেট তার খুবই খুবই সামান্য পরিমাণ শিল্পকলার জন্য বরাদ্দ হয়। আমরা আজকে ওদেরটা এখানে বসে দেখছি কিন্তু ওরা আমাদেরটা দেখছে না এর একটা বড় কারণ অর্থনৈতিক। তারা তাদের গণমাধ্যমকে আমাদের ঘর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে কিন্তু আমরা আমাদেরটা তাদের দেশ পর্যন্তই নিতে পারিনি।[/int-quote]
[int-qs]অনেকের অভিযোগ বিশ্বায়নের কারণে আমরা অনেকটা পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়ছি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]ঝুঁকে পড়ছি এটা ঠিক নয়, বরং বলা যায় পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। কালচারের দু’টো ধর্ম আছে। এক, কালচার উপর থেকে নিচের দিকে আসে। দুই, কালচার শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে দুর্বল বা ছোট অর্থনৈতিক অঞ্চলের দিকে আসে। আজকে যদি আমরা আমাদের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যকে পৃষ্ঠপোষকতা না করি বা এগুলো ঠিকমতো তুলে না ধরি তাহলে এখানে শুন্যতা তৈরি হবে এবং ইতিমধ্যে সে শুন্যতাটা তৈরি হয়েছে। যেখানে শুন্যতা তৈরি হবে সেখানেই অন্যরা এসে জায়গা দখল করবে এটাই কালচারের ধর্ম।[/int-ans]
[int-qs]অনেক সময় দেখা যায় নিজের সংস্কৃতির চাইতে অন্য সংস্কৃতির দিকে অনেক বেশি ঝুঁকছে?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এই যে অন্য সংস্কৃতি মানুষ গ্রহণ করছে এটাতে আমি কোন অন্যায় দেখি না। অন্যায়ের বদলে এটাকে আমাদের ব্যর্থতা বলা যায়। আমরা আমাদের কালচারকে উন্নত করতে পারছি না, কালচারটাকে এমন করতে পারছি না যে সেটি গড়তে অন্য কোথাও যাবো। ভিন্ন সংস্কৃতির আদান প্রদান বা জানা এটা একটা ভালো দিকই বলে আমি মনে করি, আমাদের যেটা করতে হবে সেটি হলো আমাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে হবে কোনটি আমার জিনিষ, কোনটি আমার শেকড়।[/int-ans]
[int-qs]সংস্কৃতির সাথে অর্থনীতির সম্পর্কটা একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]সংস্কৃতিকে সবচাইতে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেয় বা দেয়ার কথা রাষ্ট্রের। একটি সিনেমা আপনি কখন দেখেন। যখন সব চাহিদা পূরণ করার পর আপনার পকেটে পয়সা থাকে এবং দেখার মতো অবসর থাকে তখনই আপনি একটি সিনেমা দেখতে যান। এখানে দেখুন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা সিনেমাকে প্রভাবিত করছে। আবার অন্যদিকে দেখেন রাষ্ট্রের যে মোট বাজেট তার খুবই খুবই সামান্য পরিমাণ শিল্পকলার জন্য বরাদ্দ হয়। আমরা আজকে ওদেরটা এখানে বসে দেখছি কিন্তু ওরা আমাদেরটা দেখছে না এর একটা বড় কারণ অর্থনৈতিক। তারা তাদের গণমাধ্যমকে আমাদের ঘর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে কিন্তু আমাদেরটা তাদের দেশ পর্যন্তই নিতে পারিনি।[/int-ans]
[int-qs]ইদানীং যৌথ প্রযোজনার বিষয়টি নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। বিনিয়োগ বাড়াতে যৌথ প্রযোজনা কি ভালো উদ্যোগ হতে পারে না?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]যৌথ প্রযোজনার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমার আপত্তিটা হল, আমরা কি যৌথ প্রযোজনার জন্য প্রস্তুত আছি কিনা। যৌথ প্রযোজনার নামে আমার রুটির একটা বড় অংশ কেউ খেয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা আমাকে দেখতে হবে। যদি এমন হয় যে কেউ আমাকে যৌথ প্রযোজনার প্রলোভন দেখিয়ে আমার প্রযোজনা নষ্ট করে, আমার বাজারকে কাজে লাগিয়ে মুনাফাসহ উপরি আয় করে যাচ্ছে তবে সেটিকে আমি অন্যায় মনে করি। এমন যদি হয় যাদের সাথে যৌথ প্রযোজনা করলাম তাদের বাজার থেকেও আমি সমভাগ নিয়ে আসতে পারছি। মোদ্দা কথা কাজটি যদি সমতার ভিত্তিতে হয় তাহলে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সেটি হচ্ছে না। যার ফলে এই যৌথ প্রযোজনার পক্ষে আমি নই।[/int-ans]
[int-qs]এদেশেও তো চলচ্চিত্রে তেমন বিনিয়োগ হচ্ছে না বা হলেও অনেক কম?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এটা ঠিক। আগে যেখানে এক কোটি টাকা দিয়ে একটা সিনেমা বানাতাম সেটার বাজেট কমতে কমতে এখন বিশ ত্রিশ লক্ষতে দাঁড়িয়েছে। আজ থেকে দশ বছর আগে এক টাকার যে মূল্যমান ছিল এখন সেটার মূল্যমান অনেক কম। এমতাবস্থায় সিনেমার বাজেট যেখানে বাড়ার দরকার সেখানে উলটো কমে গেছে।[/int-ans]
[int-qs]এর কারণ কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]কারণ হল এখানে সুষ্ঠ নীতিমালা নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই। এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিতে গিয়ে সবাই ভাবছে আমি যদি আমার লাভটা ঠিকমতো তুলে আনতে পারি তাহলেই হল। এভাবে নিজের মুনাফা অর্জন করতে গিয়ে চলচ্চিত্র দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সবাই। দেশে কি অর্থ লগ্নি করার মানুষ নেই? অবশ্যই আছে। তবে এখনে সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে সরকারকে। সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে সিনেমা হলগুলো টিকে থাকবে। একটি সিনেমা তৈরি করতে করতে হয়তো এক বছর লেগে যায়। এরমধ্যেই দেখা যায় বিশ পঁচিশটা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। যে হলগুলো টিকে আছে সেগুলোর অধিকাংশই কাঠের বেঞ্চ, ছারপোকার কামড়, বাজে সাউন্ড সিস্টেম, দুর্বল প্রজেকশন , হলে সুন্দর পরিবেশের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো তো দর্শকদের সাথে এক ধরণের প্রতারণা। সারা দেশে যেখানে আটশ’র উপর সিনেমা হল ছিল, এখন তা কমতে কমতে দুইশ’তে এসে ঠেকেছে।[/int-ans]
[int-qs]হল মালিকগণ বলছেন সিনেমা দেখিয়ে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমতাবস্থায় তাদেরই করণীয় কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এজন্যেই তো বললাম এখানে সরকারী হস্তক্ষেপ জরুরী। এখানে সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে এবং সুষ্ঠ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। একই সাথে এই শিল্পের সাথে যারা জড়িতে আছেন, প্রযোজনা থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী পর্যন্ত তাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে এই শিল্পকে রক্ষা করতে। আমাদের মনে রাখতে হবে শিল্প কোন টমেটো-বেগুনের ব্যবসা নয় যে, দশ টাকায় কিনে আপনি বারো টাকায় বিক্রি করে সাথে সাথে দুই টাকা লাভ করে নিলেন। এটা হল সৃজনশীল একটা কাজ। এসব কাজে পুরো বাণিজ্যের চিন্তা করলে হবে না।[/int-ans]
[int-img name=””] https://monerkhabor.com/wp-content/uploads/2017/07/masum-reza-3.jpg [/int-img]
[int-qs]ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। একজন লেখক, নাট্যকার হওয়ার পেছনে আপনার অনুপ্রেরণা কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]অনুপ্রেরণা বলতে ছোটবেলা থেকেই লিখতে পড়তে ভালো লাগতো। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম কবিতা লিখি। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় নাটক লিখি। পরে যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম তখন পুরোপুরি নাটকের সাথে জড়িয়ে গেলাম।[/int-ans]
[int-qs]নাট্যকার না হলে কি হতেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]সেটা বলা মুশকিল। আমি নিজে পছন্দ করেই নাট্যকার হয়েছি। তাই অন্য কি হতে পারতাম সেটা নিয়ে আর ভাবিনি। তবে যেহেতু ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছি সেহেতু এর সাথে সম্পর্কিত কোন একটা কিছু হয়তো করতাম।[/int-ans]
[int-qs]নাটক থেকে সিনেমায় আসলেন কেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]নাটক লিখতে লিখতে মনে হলো সিনেমাও লিখে ফেলি। এইতো![/int-ans]
[int-qs]‘বাপজানের বায়স্কোপ’ চলচ্চিত্রের জন্য এবার আপনি দুটি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন। পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]পুরষ্কার সবসময়ই আনন্দ দেয়। সেটি যদি হয় জাতীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ সম্মাননা তাহলে একটু আলাদা গুরুত্ব থাকে। শিল্প হল সাধনার ব্যাপার আমার কাছেও শিল্প তাই। কাজের জন্য কাজ করে যাই, ইদানীং চলচ্চিত্রের প্রতি ঝুঁকেছি। এরমধ্যে যদি পুরষ্কার ও সম্মাননা আসে তাহলে ভালোই লাগে।[/int-ans]
[int-qs]একজন নাট্যকার হিসেবে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের চরিত্র নির্মাণ করতে হয়। মানসিক অবস্থার সাথে চরিত্র নির্মাণের কোন সম্পর্ক আছে কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]যদি কখনও মন খারাপ বা মানসিকভাবে অস্থিরতায় থাকি তাহলে আমি লিখতে পারি না, লিখি না। আর চরিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বলবো একটি চরিত্র নির্মাণ করতে চাইলে সেই চরিত্রটিকে আপনার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। একটি চরিত্রের অভিব্যক্তি, মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা এগুলো চরিত্রের সাথে মিলিয়ে করতে হবে। সবচাইতে বড় কথা হল চরিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মোহ থাকতে হয়। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি চাপালে সেটি তো আপনি নিজে হয়ে যাবেন অন্য কোন চরিত্র হবে না।[/int-ans]
[int-qs]অনেকের অভিযোগ এখন একটি নাটক দেখলে সেখানে একটি চরিত্রকে সঠিকভাবে পাওয়া যায় না বা চরিত্রগুলো অনেকটাই বাস্তবতা বিবর্জিত। অভিযোগটি কতটা সঠিক?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এটার পেছনে এক ধরণের কমার্স কাজ করে। ‘দর্শক খাবে’ এই বলে আমি এমন ধরণের কমার্শিয়াল নাটক বানাতে লাগলাম যার পেছনে কেবলই বাণিজ্য বা প্রোডাক্ট প্রমোশন থাকে তাহলে সেটি একটা মানসম্মত নাটক হবে না এটাই স্বাভাবিক। এটাকে আমরা বলতে পারি শিল্প নিয়ে এক ধরণের ছেলেখেলা। শিল্প নিয়ে ছেলেখেলার একটা সময় এখন চলছে।[/int-ans]
[int-qs]এর থেকে উত্তরণের পথ কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এটা এক সময় এমনিতেই কেটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি এ দায়টা আমরা যারা নাটক বা চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত আছি আমাদের সবার।[/int-ans]
[int-qs]মন খারাপ থাকলে আপনি লিখতে পারেন না। মন ভালো করার জন্য কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]যে কারণে মন খারাপ সেটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মন খারাপ থাকে। মন ভালো করার জন্য মন খারাপেরে কারণটা খোঁজার চেষ্টা করি এবং নিজের গভীরে গিয়ে সমস্যাটির সমাধান খোঁজার চেষ্টা করি।[/int-ans]
[int-qs]রাগ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]সবাই বলে আমি নাকি কখনও রাগি না। কিন্তু সত্য হল আমি প্রচণ্ড রাগী এবং রাগটা আমার ভেতরে থাকে।[/int-ans]
[int-qs]রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন কিভাবে?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]রাগকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রশমনের জন্য পজেটিভলি যা যা করা দরকার তাই করি। যেমন কারো উপর কোন কারণে আমি রেগে গেলাম তাহলে তার উপর ক্ষেপে না গিয়ে তাকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করি।[/int-ans]
[int-qs]রাস্তাঘাটে অসহিষ্ণু মানুষ আমরা প্রায়ই দেখি। রাস্তায় বেরুলেই মারপিট ঝগড়াঝাঁটি এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণটা কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]এটা হল ভোক্তার যুগ। এখনকার মূল কথা হল কে কত ভোগ করতে পারে। ভোগ করতে হলে সেটাকে অর্জন করতে হবে। আর অর্জন করতে হলে তার জন্য দৌড়াতে হবে এবং একজন আরেকজনকে পেছনে ফেলতে হবে। এই পেছনে ফেলার প্রতিযোগিতায় কেউ আপনাকে পেছনে ফেললে আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবে এবং ক্ষোভ কাজ করবে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে ধৈর্য্যহীনতা-ঝগড়াঝাঁটি এসবে।[/int-ans]
[int-qs]আবারো ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। স্বপ্ন দেখেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]দেখি তো অবশ্যই।[/int-ans]
[int-qs]স্বপ্নগুলো কেমন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]আমার স্বপ্ন শুধুই লেখা, লেখা এবং লেখা।[/int-ans]
[int-qs]স্মৃতি কাতরতা আছে?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]প্রচণ্ড।[/int-ans]
[int-qs]স্মৃতিগুলো কেমন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]অসংখ্য স্মৃতি। ছোটবেলার স্মৃতি, স্কুলের স্মৃতি, বাবা মায়ের স্মৃতি, ভাইবোনের স্মৃতি, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি, প্রেমের স্মৃতি এমন অনেক অনেক।[/int-ans]
[int-qs]আরেকবার প্রেমে পড়ার সুযোগ পেলে কি করবেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]সুযোগ পাচ্ছিনা সেটাই আপনাকে কে বলল! (হাসি)[/int-ans]
[int-qs]সবশেষে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো যে জীবন সবার সামনেই অনেক কিছু মেলে ধরে। সেখানকার কিছু জিনিষ আমার জন্য আবার কিছু জিনিষ আমার জন্য নয়। কোনটি নিজের জন্য আর কোনটি নিজের জন্য নয় সেটি বেছে নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করাটা সবার জন্যই জরুরি। এটুকুই আমার দিক থেকে অন্যদের জন্য বলা।[/int-ans]
[int-qs]ধন্যবাদ আপনাকে মনের খবর পাঠকদের সামনে মূল্যবান কিছু কথা তুলে ধরার জন্য।[/int-qs]
[int-ans name=”মাসুম রেজা”]ধন্যবাদ মনের খবরের সকলকে[/int-ans]

Previous articleরাইড ডোন্ট হাইড
Next articleডাবলিনে শিশুদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here