ঘুম আমাদের দেহের একটা অমোঘ সত্য। ঘুমের সমস্যা নিয়ে আশা করি সামনে আলোচনা করা যাবে। ঘুম ভালো না হলে বুঝি সারাটা দিনই, সব কাজই অস্বস্তি মনে হয়। ঘুম ভালো হওয়ার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ এবং কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন। যাদের রাতের ঘুম ভাল হয় না, তাদের জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে ঘুম ভালো হওয়ার জন্য কিছু বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন।
দিনের অভ্যাস
√ দিনে না ঘুমানো ভাল, বিশেষ করে দিনের শেষভাগে।
√ নিয়মিত ব্যায়াম, তবে ঘুমানোর কাছাকাছি সময়ে নয়।
√ পরের দিনের পরিকল্পনা করা, যাতে ঘুমের বিছানায় আর অবশিষ্ট না থাকে।
√ বিকালের পরে চা, কফি থেকে বিরত থাকা।
√ তামাক, মদ ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য দিনে সেবন করলে রাতে ঘুমের অসুবিধা হতে পারে।
বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময়
√ বাসার সকল কাজ শেষ করতে হবে।
√ আস্তে আস্তে উদ্দীপনা কমাতে হবে।
√ বেশি পরিমানে খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।
বিছানায় থাকার সময়
√ বয়স ও ব্যক্তি অনুযায়ী উপযুক্ত সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
√ বাচ্চা বা অন্যদের সময় দেওয়ার জন্য হলেও সময়ের আগে ঘুমের বিছানায় না যাওয়া ভাল।
বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস
√ প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যেতে হবে ও একই সময় উঠতে হবে।
√ দ্রুত ঘুমানোর মত ক্লান্ত হলেই বিছানায় যেতে হবে।
√ ঘুম না আসলে বার বার বিছানা থেকে উঠা যাবে না।
√ ঘুমের বিছানা শুধুমাত্র ঘুমের কাজে ব্যবহার করতে হবে, মাত্র একটি বাতিক্রম বাদে।
ঘুমানোর ঘর
√ আরামদায়ক হতে হবে।
√ অস্বাভাবিক তাপ, আলো, শব্দ পরিহার করতে হবে।
√ কষ্টদায়ক বা বেশি উদ্দীপনা পরিহার করতে হবে।
উঠার অভ্যাস
√ প্রতিদিন মোটামুটি একই সময়ে উঠতে হবে, এমনকি ছুটির দিনেও।
ওপরের সকল কথাই, যাদের ঘুমের অসুবিধা হয় তাদের জন্য ঔষধ না নিয়েও ভাল ঘুমানোর পদ্ধতি।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।