শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। সুষ্ঠু ও সন্তোষজনক খেলাধুলার জন্য প্রয়োজন মানসিক স্থিরতা। শারীরিক কিংবা মানসিক যে কারণেই হোক মানসিক অস্থিরতা খেলার মানকে প্রভাবিত করে। মনঃসংযোগ ব্যতিরেকে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়া দুষ্কর।
অতিচঞ্চলতা একটি মানসিক সমস্যা যেখানে অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও হঠাৎ রেগে যাওয়া – এসব যখন তখন ঘটে থাকে। খেলার মাঝে এ ধরনের সমস্যা শুধু খেলার মানকে বিঘ্নই শুধু নয়; খেলোয়াড়, বিপক্ষ দল, ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্তাব্যক্তি এবং দর্শক-শ্রোতাদের সাথেও সম্পর্কজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে। নিয়ম-নীতি ও আইন শৃঙ্খলা জনিত সমস্যাও এক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা হয়ে দেখা দিতে পারে। অতি চঞ্চলতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে মানসিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
‘ক্রীড়ায় অতিচঞ্চলতা’ এ বিষয়ক গবেষণা অতীব জরুরী। ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ সার্ভে বাংলাদেশ ২০১৯ এর ফলাফলে দেখা যায়, ৭ বৎসরের ঊর্ধ্বে শিশু কিশোরদের মাঝে অতিচঞ্চলতা (ADHD- Attention Deficit Hyperactive Syndrome) রোগের হার ১.১ শতাংশ। বড়দের মাঝেও এ সমস্যা বহমান থাকে। শিশু-কিশোর, যুবক ও প্রাপ্ত বয়স্ক খেলোয়াড় সকলের মাঝেই অতিচঞ্চলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে। কোন দক্ষ খেলোয়াড়ের মাঝে রাগ, বদমেজাজ কিংবা নিয়ম-শৃঙ্খলা বিষয়ক সমস্যা পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজন তার মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দোষারোপ করে বহিষ্কার বিজ্ঞানসম্মত নয়।
অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম
সাবেক পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল।
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে