মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকলে করোনা সারবে তাড়াতাড়ি

মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকলে করোনা সারবে তাড়াতাড়ি
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মন প্রফুল্ল থাকলে করোনা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।

এটি বহু আগেই সিদ্ধ হয়েছে যে, শারীরিক সুস্থতা অনেকাংশেই মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভরশীল। করোনা মহামারী প্রত্যক্ষভাবে একটি শারীরিক ব্যাধি। তবে এর পরোক্ষ প্রভাব মানসিক অবস্থার উপরেও পড়ে। আর পূর্বের সেই কথাটির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই করোনা মহামারীর ক্ষেত্রেও বলা যায় যে, যদি মানসিক সুস্থতা বিধান করা যায় এবং ভয়কে জয় করে হাশি খুশী থাকা যায় তাহলে করোনা আক্রান্ত রুগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন।

করোনা মহামারী এখন পৃথিবী ব্যাপী এক চরম আতঙ্কের নাম। প্রতি দিন আমরা লক্ষ লক্ষ আক্রান্ত এবং হাজার হাজার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর মতো দুঃখ জনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। তাছাড়া এর সক্রিয় প্রতিষেধক নিয়ে এখনো রয়েছে অনেক ধোঁয়াশা এবং সেটি কার্যকারিতা নিশ্চিত করতেও  আমাদের প্রয়োজন অনেকটা সময়। তাই যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মাঝে এবং যারা এখনো সুস্থ আছেন তাদের মাঝেও ঝুঁকি এবং সুরক্ষা দুটি নিয়েই চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এটা স্বাভাবিক যে অনেকাংশে প্রাণঘাতী কোন অসুখের যখন কার্যকরী প্রতিষেধক না থাকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে সুস্থতা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই হতাশা এবং দুর্ভাবনা কাজ করে। তার কাছে বেঁচে থাকার এবং সুস্থ হয়ে ওঠার প্রত্যাশা করার মানসিক বল এবং আত্মবিশ্বাস যেন হারিয়েই যায়। সর্বক্ষণ মৃত্যু ভয় তাকে তাড়া করে বেড়ায়। তাছাড়া এর সাথে অন্য মাত্রা যোগ করে রোগীকে আইসোলেটেড করে রাখার বিষয়টি। অর্থাৎ একজন করোনা আক্রান্তের অসুস্থতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তার একাকীত্ব, মানসিক চাপ এবং ভয়।

সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণায় করোনা রোগীদের সুস্থতা-অসুস্থতার হার এবং এর সাথে মানসিক অবস্থার সংযোগ নিয়ে বেশ কিছু সহায়ক তথ্য উঠে এসেছে। এসব গবেষণায় দেখা গেছে যে, মনের জোর অটুট থাকা ব্যক্তিরা অন্য রোগীদের তুলনায় কম অসুস্থ হয়েছেন এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন হাসি খুশী থাকার উপর। একজন মানুষ যখন মানসিক ভাবে প্রফুল্ল থাকেন এবং ফুরফুরে মেজাজে থাকেন, তার মাঝে শারীরিক পীড়া সহন শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তার মস্তিষ্ক তার মাঝে শারীরিক কষ্ট বৃদ্ধিকারী অনুভূতি গুলিকে কম সক্রিয় করে দেয়। তার মাঝে সুস্থতা ত্বরান্বিত করার হরমোন অধিক মাত্রায় নিঃসরিত হয় এবং সে অন্যদের তুলনায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে সমর্থ হয়। এভাবেই যখন একজন করোনা আক্রান্ত রোগীকেও তারা হাসি খুশী থাকার পরামর্শ প্রদান করেছেন। তারা বলেছেন অযথা উদ্বিগ্ন হয়ে হতাশা আর ভয়ের মাঝে ডুবে গেলে কখনোই ইতিবাচক কোন প্রভাব আরোগ্য লাভের পথে পড়বে না। বরং মনের এই অসুখ শরীরকে আরও জরা গ্রস্ত করবে। আর যদি, মনে সাহস রেখে সুস্থতার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা যায় এবং রোগের থেকে আরোগ্য লাভকেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভয় শূন্য থাকা যায় তাহলে অবশ্যই রোগ মুক্তির পথ সহজ এবং দ্রুততর হবে।

মনে রাখবেন, করোনা মহামারী কখনোই যেন আমাদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে না পারে। মনে সাহস রাখুন, হাসিখুশি থাকুন, এবং করোনা প্রতিরোধে দ্রুত সামনে অগ্রসর হন।

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

 

 

Previous articleইচ্ছে হয় জুতা’দা ফিডাই
Next articleশিশুদের মানসিক অবস্থার উপর দূরশিক্ষণের প্রভাব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here