কোভিড-১৯-এর সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ ও বিষণ্নতার প্রাদুর্ভাবের ওপর ‘প্রিভিলেন্স অব এনজাইটি অ্যান্ড ডিপ্রেশন ইন সাউথ এশিয়া ডিউরিং কোভিড-১৯: আ সিস্টেমেটিক রিভিউ অ্যান্ড মেটা-অ্যানালাইসিস’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত বছরের এপ্রিল মাসে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়েরের সেল প্রেসের হেলিয়ন সাময়িকীতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ৩৫টি গবেষণা প্রতিবেদনের জন্য অনলাইন, টেলিফোন ও সামনাসামনি জরিপে অংশ নেওয়া ৪১ হাজার ৪০২ জনের মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক কম প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পায়নি গবেষক দল। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১টি গবেষণায় ২৮ হাজার ৮৭৭ জনের মধ্যে উদ্বেগের হার ছিল ৪১ শতাংশ। ২৮টি গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩৭ হাজার ৪৩৭ জনের মধ্যে বিষণ্নতার মাত্রা ছিল ৩৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি গবেষণা ছিল ভারতের। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। জরিপটিতে চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ, অন্তঃসত্ত্বা নারী, রোগী, বেকার লোকজন অংশ নিয়েছিলেন। উদ্বেগ ও বিষণ্নতার দিক দিয়ে বাংলাদেশ শীর্ষে, যথাক্রমে ৫২ শতাংশ ও ৪৮ শতাংশ। প্রতিবেদনটিতে শ্রীলঙ্কার শুধু ২৫৭ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর জরিপের তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ওই নারীদের মধ্যে ১৮ শতাংশ উদ্বেগে এবং ২০ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ২৬ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে ছিল। আর নারী অংশগ্রহণকারী ছিলেন ৪৫ শতাংশ। নারীদের ৪৬ শতাংশ এবং পুরুষদের ৪১ শতাংশ উদ্বেগে ভুগছিলেন।
নারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তায় বেশি ভোগার কারণ তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোভিডে ঘরবন্দী সময়টাতে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছিল। এটা নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে