আমাদের মাঝে অনেকেই আছে এমন একই বিষয় নিয়ে বারবার ভাবতে থাকেন এবং পুনরায় করেন। কেউ রান্না করছে তো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে লবন হলো কি হলো না, কাপড় ধুচ্ছে তো চিন্তা হচ্ছে পরিস্কার হলো কি হলো না এজন্য বারবার বা ধুচ্ছে। কোনো কাজ নিখুঁতভাবে করার পরও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যাতে কোনো খুঁত রয়ে গেলো কিনা।
এমন লোকদেরতে আমরা সাধারণত খুঁতখুঁতে স্বাভাবের বলে চিহ্নিত করি। এটাকে শুচিবাই বলা হয়। অনেকে এটাকে সন্দেহ বাতিকও বলে থাকেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগটির নাম ‘অবসেসিভ কম্পালশিভ ডিসঅর্ডার’ বা সংক্ষেপে ‘ওসিডি’ (‘Obsessive Compulsive Disorder’ or ‘OCD’.)
এই পর্বে রোগটির কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আমরা জানতে পারবো কেন ও কী কী কারণে আমরা ওসিডি’র শিকার হই।
যেসব কারণে হতে পারে : জিনগত ও পারিপার্শ্বিক কারণে ওসিডি হতে পারে। গবেষণা বলছে, ওসিডির জন্য বংশগত কারণ যদি ৫৫ ভাগ দায়ী হয় তাহলে পারিপার্শ্বিক কারণ ৪৫ ভাগ দায়ী হবে।
বংশগত কারণ ছাড়াও মানসিক চাপ এই রোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী। শিশুরা প্রকাশ করতে পারে না, তাই তাদের প্রকাশভঙ্গি বড়দের থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়। স্কুলে ভর্তি বা পরীক্ষার চাপ, সহপাঠীদের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা শিশুদের মনে অভিভাবকদের অজ্ঞাতেই একটা কালো ছায়া ফেলে। বয়ঃসন্ধির সময় মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হওয়া, ছেলেদের স্বপ্নদোষ—অনেক ক্ষেত্রে ওসিডির সূত্রপাতের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখে। কিশোর বয়সে বিয়ে, গর্ভধারণ বা বাচ্চা প্রসবও প্রভাব ফেলে।
জীবনের যেকোনো ঘটনা দিয়ে রোগটি শুরু হতে পারে। ব্যক্তিজীবনের মানসিক চাপ, পরিত্যক্ত ব্যান্ডেজ বা বর্জ্য ইত্যাদি দেখেও হতে পারে। শারীরিক রোগের কারণেও এটি হতে পারে। শরীরে আঘাতজনিত ক্ষত বা জীবাণু ও সংক্রমণজনিত উদ্বেগ
ওসিডিতে ব্রেনের কর্টিকো-স্ট্রায়েটাল-থ্যালামোকর্টিক্যাল লুপ অথবা সার্কিট আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে শরীরে জৈব রাসায়নিক সিরোটনিন, গ্লুটামেট, ডোপামিনের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
কখন ও কীভাবে বুঝবেন ওসিডি হয়েছে? : (পর্ব ৩)
তৃতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন এই লিংকে
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে
/এসএস