ওসিডি কি পুরোপুরি ভাল হয় না?

0
1249
প্রতিদিনের চিঠি

[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”black” css=”.vc_custom_1614578092189{border-radius: 35px !important;}”]আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন – ইকবাল (ছদ্মনাম)-[/vc_message]
[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”sky” icon_fontawesome=”fas fa-question” css=”.vc_custom_1614578118013{border-radius: 35px !important;}”]আমার বয়স ২৬। আমি চাকুরি করি। আমি প্রায় ৯ বছর আগে ওসিডি তে ভুগছিলাম। ২০১২ সাল থেকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে ভালোই চলছি। কিন্তু সমস্যা হলো আমি ঔষধ ধীরে ধীরে বন্ধ করলেও কয়েকমাস পর আবার রোগ দেখা দেয়। প্রশ্ন হলো ঔষধ কি আমাকে সারা জীবন খেতে হবে? ওসিডি কি পুরোপুরি ভাল হয় না? ঔষধ খেলেই ভালো থাকি, ছেড়ে দিলে আবার অসুস্থ হই। আমি এক বছর যাবৎ প্রথমে সেট্রা ৫০মিলি ১+০+১, ইপিক্লোন ০.৫মিলি ১+০+১, অক্জাট ২০মিলি সেবন করেছি। এখন কমিয়ে সেট্রা ৫০মিলি ১+০+০, অক্জাট ২০মিলি এর অর্ধেক ০+০+১ ইপিক্লোন মাঝে মাঝে সেবন করি। এখন ভালই আছি। পরে কতটুকু কমাব জানাবেন? আমার সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ধর্মীয় সমস্যা নিয়ে যে এটা ঠিক নয় ওটা ঠিক নয়, এটা হারাম ইত্যাদি শুধু সন্দেহ লাগে। এখন অনেকটা কম। ঔষধের পাশাপাশি আমি কি কি ব্যায়াম করতে পারি এবং কি কি খাবার খেলে ওসিডি কমবে?[/vc_message][vc_message style=”square” message_box_color=”white” icon_fontawesome=”fas fa-envelope-open-text” css=”.vc_custom_1614578671547{border-radius: 35px !important;}”]আপনার যেহেতু কিছু কিছু সিম্পটম রয়ে গেছে, তাই ওষুধ বন্ধ করা ঠিক হবে না ।আপনি জানেন ওসিডিতে অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যার চিকিৎসায় ছিলেন তার সাথে আলাপ করে ওষুধ পরিবর্তন বা বাড়ানো কমানেরা ব্যবস্থা করা। আপনি যেকোন ধরনের রিলাক্সেশন বা মেডিটেশন করতে পারেন। সেই সাথে ওসিডির জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ আছে, যাকে ‘ইআরপি’ বলে। আপনার কাছাকাছি কোনো মেডিকেল কলেজে যোগাযোগ করতে পারেন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার জন্য সেটা উপকারি হবে। আপনার ওষুধ আমি পরিবর্তন করতে পারতাম, সেটা করলাম না যেহেতু ওষুধ পরিবর্তন করার পর আবার ফলোআপ করা দরকার। খাবারের সাথে ওসিডির খুব বেশি সম্পর্ক নেই। ইদানিং কিছু কিছু গবেষনা বলছে ফলিক এসিড উপকারি হতে পারে। আপনি ফলিক এসিড যুক্ত খাবার যেমন; মসুর, মুগ, মাষকালাই, বুটের ডাল ইত্যাদিতে প্রচুরপ পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে, এসব খেতে পারেন।

আপনি যেহেতু চাকরি করেন তাই হঠাৎ চিকিৎসা পরিবর্তন না করে, যা আছে চালিয়ে যান এবং সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যান।[/vc_message]

ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব

চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।

Previous articleমনঃকষ্টের প্রতিকার
Next articleসম্পর্কে মানসিক চাপের প্রভাব এবং জীবন সঙ্গীর করণীয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here