আরোগ্যের পথে আত্মসহায়তা এক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের কৌশলের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং নিজের জন্য ইতিবাচক কিছু করার সক্ষমতা অর্জন করেন।
এটা উল্লেখ করা জরুরী যে ব্যক্তির ইচ্ছা ও তার উদ্বেগের মাত্রার ওপর নির্ভর করে আত্মসহায়তার কৌশল ব্যবহারে তার সক্ষমতা। একজনের ক্ষেত্রে যে কৌশল কার্যকর তা অন্যজনের ক্ষেত্রে সফল নাও হতে পারে।
মনে রাখবেন:
- ভীতিগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার বদলে সেগুলোর মুখোমুখী হলেই তা আরোগ্যে কাজে দেবে বেশি। ভীতিপূর্ণ পরিস্থিতিগুলো এড়িয়ে গেলে তাতে উদ্বেগ বা ভীতি আরো বেড়ে যায়। যত দ্রুত ভীতিগুলোর মোকাবেলা করা সম্ভব হবে, আরোগ্যের সম্ভাবনাও তত বেড়ে যাবে;
- ভীতিজাগানিয়া ও নৈরাশ্যবাদী চিন্তাভাবনাগুলো নির্ণয় করে সেগুলো চ্যালেঞ্জ করুন;
- পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া;
- দৈনিক ক্যাফেইন পানের পরিমাণ ৩০০ মিলিগ্রাম বা তারও কমে নিয়ে আসুন, সম্ভব হলে একেবারেই বন্ধ করে দিন;
- কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন;
- আনন্দময় কোনো কার্যক্রম বা খেলাধুলায় যুক্ত থাকা;
- আবহাওয়া পরিবর্তন;
- ‘মাইন্ডফুলনেস’ : এটি ধ্যানের এক ধরনের অনুশীলন, যা ব্যক্তিকে বর্তমান মুহূর্তে বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া চিন্তা করতে শেখায়। বিভিন্ন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক থেরাপিতেও এ কৌশল কাজে লাগানো হয়;
- সৃষ্টিশীল কার্যক্রম; যেমন, লেখালেখি, আঁকাআঁকি, ছবি তোলা, গান গাওয়া, ইত্যাদি;
- অন্যদের সাথে নিজের উদ্বিগ্নতা নিয়ে কথা বলা।