ইন্টারনেট এডিকশন একটি মানসিক ব্যাধি

0
331
ফেইল করার ভয়ে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিই

[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”black” css=”.vc_custom_1607449510803{border-radius: 35px !important;}”]আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন – আহমেদ ইকবাল(ছদ্মনাম)-[/vc_message]
[vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”sky” icon_fontawesome=”fas fa-question” css=”.vc_custom_1607449539205{border-radius: 35px !important;}”]আজকাল সমাজের সকল স্থানে সকল বয়সীদের মাঝে ফেসবুকে চেক ইন দেওয়া আর সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। এটাকে কিভাবে দেখেন?[/vc_message][vc_message style=”square” message_box_color=”white” icon_fontawesome=”fas fa-envelope-open-text” css=”.vc_custom_1607487042481{border-radius: 35px !important;}”]এ যুগে সবাই কোনো না কোনোভাবে নানা প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে আমরা বন্ধুবান্ধব স্বজনদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারি। এটি এখন আমাদের জীবনের একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এগুলোর পরিমিত ব্যবহারকে আমরা সমর্থন করি। তবে, ইন্টারনেটের সাথে আরো দুটি শব্দ এখন এসেছে। তাহল, ইন্টারনেট এডিকশন। এই ইন্টারনেট এডিকশনটা ভয়াবহ সমস্যা।

কথা হচ্ছে কখন আমরা একে এডিকশন বলব। যেহেতু এডিকশন একটি মানসিক ব্যাধি, কাজেই যে কোনো এডিকশন হতে গেলেই তাকে কতগুলো ডিসঅর্ডার ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রধান কতগুলো শর্ত বা লক্ষণ আমরা এখানে উল্লেখ করতে পারি। যেমন, ইন্টারনেটে আসক্ত রোগীর চিন্তায়-চেতনায় সারাক্ষণ শুধু ইন্টারনেট বিরাজ করবে, এর বিভিন্ন মাধ্যমে সে নিজেকে ব্যস্ত রাখবে; এটা হতে পারে ফেসবুক, পর্নোগ্রাফি, গেমিং ইত্যাদি যা কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব। তার জীবনের প্রধান আকর্ষণ, কর্মকাণ্ডই হবে ইন্টারনেটকে ঘিরে। ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হলে রোগীর মধ্যে বিরক্তি, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেবে। অল্প বয়সী টিনএজারদের ক্ষেত্রে জোর করে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলে রাগারাগি, ভাংচুর ইত্যাদি আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে কোনো বয়সেই এই ইন্টারনেট আসক্তি দেখা দিতে পারে। তবে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অল্পবয়সী-টিনএইজ ছেলেমেয়েদের মধ্যে।

মারাত্মক যে সমস্যাটি রোগীর জীবনে দেখা দেয় তা হল এ ইন্টারনেট এডিকশন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো যেমন পারস্পরিক সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স ক্রমান্বয়ে খারাপ হওয়াসহ জীবনের স্বাভাবিক গতিধারাকে প্রচণ্ড খারাপভাবে ব্যাহত করে। এর সঙ্গে আরও যোগ হয় ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, অস্থিরতাসহ আরও নানাবিধ মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।
তাই, সকলের উচিত হবে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময়সীমা যেমন: দিনে কতক্ষণ বা কতবার সেটা ব্যবহার করব তা নির্ধারণ করে নেওয়া। এবং সতর্ক থাকা যাতে এটা নেশায় পরিণত না হয়ে যায়।

[/vc_message]

ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব

চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।

Previous articleহেলথকেয়ার ফার্মার সায়েন্টিফিক ওয়েবিনার বুধবার রাতে মনের খবর টিভিতে
Next articleসন্তানকে আত্মবিশ্বাসী ও সুখি মানুষ হিসেবে বড় করতে বাবার ভূমিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here