কথা হচ্ছে কখন আমরা একে এডিকশন বলব। যেহেতু এডিকশন একটি মানসিক ব্যাধি, কাজেই যে কোনো এডিকশন হতে গেলেই তাকে কতগুলো ডিসঅর্ডার ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রধান কতগুলো শর্ত বা লক্ষণ আমরা এখানে উল্লেখ করতে পারি। যেমন, ইন্টারনেটে আসক্ত রোগীর চিন্তায়-চেতনায় সারাক্ষণ শুধু ইন্টারনেট বিরাজ করবে, এর বিভিন্ন মাধ্যমে সে নিজেকে ব্যস্ত রাখবে; এটা হতে পারে ফেসবুক, পর্নোগ্রাফি, গেমিং ইত্যাদি যা কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব। তার জীবনের প্রধান আকর্ষণ, কর্মকাণ্ডই হবে ইন্টারনেটকে ঘিরে। ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হলে রোগীর মধ্যে বিরক্তি, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেবে। অল্প বয়সী টিনএজারদের ক্ষেত্রে জোর করে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলে রাগারাগি, ভাংচুর ইত্যাদি আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে কোনো বয়সেই এই ইন্টারনেট আসক্তি দেখা দিতে পারে। তবে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অল্পবয়সী-টিনএইজ ছেলেমেয়েদের মধ্যে।
[/vc_message]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।