ইউরোপে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশ ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল আর কঠোর, দীর্ঘ লকডাউন দু’য়ে মিলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এমন কথাই বলছেন চিকিৎসকরা।
রেডক্রস পরিচালিত একটি মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বিবিসি’কে জানিয়েছেন, মানসিক বিপর্যয়ের সঙ্গে যুঝতে থাকা অসংখ্য মানুষের ফোনকল পাচ্ছেন তারা।
অনেকেই বলছেন, ঘরেবন্দি থাকাটা তাদের কাছে জেলে বন্দি থাকার মতোই কঠিন মনে হচ্ছে। কেউ ভুগছেন একাকীত্বে, কেউ আতঙ্কে। অনেকে আবার আত্মহত্যাও করতে চাইছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি, তেমনই গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা। এ সবেরই মিশ্র প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে। লকডাউনের অনিশ্চয়তায় বাড়ছে মানসিক অসুস্থতা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সেখানে পুরো লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে দেশটিতে মানুষের চলাফেরায় কড়াকড়ির পদক্ষেপ এক মাস পেরিয়েছে।
লকডাউনের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪৫ শতাংশ কমেছে এমনটিও দেখা গেছে নতুন গবেষণায়। কিন্তু তাতে দূর হয়নি ঘরবন্দি মানুষের মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব।
লকডাউনের কারণে ইতালিতে পারিবারিক অশান্তি বাড়ছে। বিচ্ছিন্নতার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বয়স্কদের মনোজগতেও। সব মিলে মানসিক স্বাস্থ্যে সৃষ্টি হচ্ছে এক জরুরি অবস্থা।
রেড ক্রসের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন, মানসিক অস্থিরতায় থাকা মানুষজন জানে না তারা কি করবে, কার সঙ্গে কথা বলবে। একারণে তারা এখানে ফোন করে কথা বলছে। অনেকেই বলছেন, “আমি আত্মহত্যা করতে চাই,” কারণ জীবনে আর আগের মত আনন্দ নেই।
এ ধরনের কল ইদানিং প্রচুর বেড়ে গেছে এবং কেন্দ্রটির কর্মকর্তারা গোটা ইতালি থেকে ২৪ ঘণ্টাই এমন কল রিসিভ করছেন। মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়ে যাওয়া মানুষেরাই সেখানে ফোন করছেন।
অনেকেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ আচরণ করছেন, ফোনে চিল্লাপাল্লা করছেন। বাসার চারদেয়ালের মধ্যে দিনের পর দিনের বন্দিদশার কারণে অনেকসময়ই পাগলের মত আচরণ করছেন তারা।
বাবা-মা এমনকী বন্ধুবন্ধবদের সঙ্গেও ভিডিও চ্যাটে মেজাজহারা হচ্ছেন কেউ কেউ। এভাবে আর কতদিন? প্রশ্ন করছেন অনেকে। অনেকে আবার বাতাসে ভাইরাস থাকতে পারে ভেবে বাইরে যেতেও আতঙ্কে ভুগছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইতালিতে অনেক চর্চা থাকলেও জাতীয়ভাবে মানুষকে সহায়তা করার কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা গজিয়ে উঠছে তা সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা দেশটিতে নেই এবং মনোবিজ্ঞানীও পর্যাপ্ত নেই বলে সতর্ক করেছেন মনোবিদরা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি, তেমনই গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা। এ সবেরই মিশ্র প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে। লকডাউনের অনিশ্চয়তায় বাড়ছে মানসিক অসুস্থতা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সেখানে পুরো লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে দেশটিতে মানুষের চলাফেরায় কড়াকড়ির পদক্ষেপ এক মাস পেরিয়েছে।
লকডাউনের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪৫ শতাংশ কমেছে এমনটিও দেখা গেছে নতুন গবেষণায়। কিন্তু তাতে দূর হয়নি ঘরবন্দি মানুষের মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব।
লকডাউনের কারণে ইতালিতে পারিবারিক অশান্তি বাড়ছে। বিচ্ছিন্নতার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বয়স্কদের মনোজগতেও। সব মিলে মানসিক স্বাস্থ্যে সৃষ্টি হচ্ছে এক জরুরি অবস্থা।
রেড ক্রসের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন, মানসিক অস্থিরতায় থাকা মানুষজন জানে না তারা কি করবে, কার সঙ্গে কথা বলবে। একারণে তারা এখানে ফোন করে কথা বলছে। অনেকেই বলছেন, “আমি আত্মহত্যা করতে চাই,” কারণ জীবনে আর আগের মত আনন্দ নেই।
এ ধরনের কল ইদানিং প্রচুর বেড়ে গেছে এবং কেন্দ্রটির কর্মকর্তারা গোটা ইতালি থেকে ২৪ ঘণ্টাই এমন কল রিসিভ করছেন। মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়ে যাওয়া মানুষেরাই সেখানে ফোন করছেন।
অনেকেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ আচরণ করছেন, ফোনে চিল্লাপাল্লা করছেন। বাসার চারদেয়ালের মধ্যে দিনের পর দিনের বন্দিদশার কারণে অনেকসময়ই পাগলের মত আচরণ করছেন তারা।
বাবা-মা এমনকী বন্ধুবন্ধবদের সঙ্গেও ভিডিও চ্যাটে মেজাজহারা হচ্ছেন কেউ কেউ। এভাবে আর কতদিন? প্রশ্ন করছেন অনেকে। অনেকে আবার বাতাসে ভাইরাস থাকতে পারে ভেবে বাইরে যেতেও আতঙ্কে ভুগছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইতালিতে অনেক চর্চা থাকলেও জাতীয়ভাবে মানুষকে সহায়তা করার কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা গজিয়ে উঠছে তা সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা দেশটিতে নেই এবং মনোবিজ্ঞানীও পর্যাপ্ত নেই বলে সতর্ক করেছেন মনোবিদরা।