‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ- সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
পরিবর্তনশীল পৃথিবী এ সময়ে আরো বেশি অস্থিতিশীল। দেশে দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ সংঘাত, নিত্য নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস, ইউরোপের অভিবাসন সমস্যা অথবা তৃতীয় বিশ্বের জনসংখ্যা সমস্যা ও দারিদ্রতা প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করছে মানসিক স্বাস্থ্যকেও। সর্বস্তরে মনোরোগের প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব অনেকটাই।
মনোরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা এমন একটি সামাজিক সুরক্ষা যেখানে আগ্রহীগণকে শেখানো হয় কীভাবে মানসিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়, দূর্যোগকালীন কেমন ব্যবহার আবশ্যক, কীভাবে সচেতনতা বাড়াতে হয়, কীভাবে মানুষের সমর্থন পেতে হয় এবং তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। বিগত ১৫ বছর ধরে মনোরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাও এই পদ্ধতিকে সমর্থন করে আসছে।
সারা বিশ্বের মতো বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান, র্যালি ও প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অধিক জনসংখ্যার বিপরীতে স্বল্প সংখ্যক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মনোরোগের চিকিৎসাকে এদেশে অনেকটাই অপ্রতুল করে তুলেছে। এছাড়া সর্বস্তরে মনোরোগ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার ও অপচিকিৎসার ফলে দিনদিন মানসিক সমস্যা প্রকটাকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় মানসিক রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ এদেশেও মানসিক রোগ মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সারা বছর ধরে সবার কাছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন খবর ও সময়োপযোগী বৈজ্ঞানিক তথ্য পৌঁছে দিতে মনেরখবর অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়া মানসিক রোগ, প্রতিকার ও প্রাথমিক করণীয় সম্পর্কে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানে মনেরখবর সদা সচেষ্ট থাকবে।
মানসিক রোগীরা সকল প্রকার অপচিকিৎসা থেকে রেহাই পাক এবং সর্বস্তরে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাক এ প্রত্যাশা সকলের।
About 3 years . i suffer this problem . i treat from many doctors. but not find any result yet.
please suggest me . how can treat this . and where . if possible direct doctor name.
thanks a lot