মানুষের হাসি দেখাটাই ত্রাণকর্মীদের কাছে বড় আনন্দের

অসহায় মানুষের মুখে হাসি দেখাটাই ত্রাণকর্মীদের কাছে বড় আনন্দের
অসহায় মানুষের মুখে হাসি দেখাটাই ত্রাণকর্মীদের কাছে বড় আনন্দের

পৃথিবীতে চলছে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব। যার ফলে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সাথে ক্ষুধার্ত আর দারিদ্র্যের সংখ্যা ও বাড়ছে। করোনা ভাইরাসের এই প্রার্দুভাবের কারনে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মধ্যে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র লোকের সংখ্যাই বেশি। তাদের নিত্যদিনের খাবারের জোগান করাটাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এরকম সময়ে অনেকেই যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারা তাদের বিবেকের তাড়নায় অসহায় লোকদের স্বেচ্ছায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী চলা এই মহামারীতে মানুষ মানুষের পাশে দাড়াবে সেই দায়িত্ববোধ থেকেই অনেকেই ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছায় ত্রাণ দিয়ে যাওয়া নজরুল ইসলাম জানান, অসহায়দের এই মহামারীর সময় সাহায্য করা তার দায়িত্ব। সে তার আশেপাশে অসহায়দের যতটুকু সম্ভব ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করছে। তাদের মধ্যে কেউ আছে বাসা বাড়িতে কাজ করা বুয়া, দারোয়ান, আবার কেউ মিস্ত্রি, রিকশাওয়ালা। ত্রাণ পাওয়ায় তাদের মুখের হাসি,আনন্দ ছিল অন্য রকম। সেটার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না। এরকম বিপদের সময়ে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করতে পারাটাই তার কাছে সার্থক মনে হয়েছে।
যেসব অসহায়দের তিনি সাহায্য করেছেন তারা এখন কর্মহীন, এরকম আরো অনেকেই আছে যারা কোনরকম সাহায্য বা ত্রাণ পাচ্ছে না। তার আশা তার মত এরকম যাদের পক্ষে সম্ভব তারা যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। একটি কোচিং প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় ত্রাণ দেয়া এক কর্মী সামিয়া জানান,তারা টাকা সংগ্রহ করে ত্রাণ -সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারদের বেছে বেছে ত্রাণ দিচ্ছে। কারণ, মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত অনেকেই আছে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে বা লকডাউনের কারণে বের হতে পারছে না। আর এসব পরিবার সাহায্যের কথা, তাদের প্রয়োজনের কথা সবার কাছে জানাতে পারে না। তাদের আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে,লজ্জা পাওয়ার ভয়ে। আর এরকম পরিবারকেই তারা গোপনে ত্রাণ না বলে তারা উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছে, যাতে তাদের আত্মসম্মানে না লাগে, সবার কাছে ছোট বোধ করবে এমনটা যাতে না ভাবে।
তারা এখন পর্যন্ত ৫০ টি পরিবারকে সাহায্য করতে পেরেছে। সামনে আরো সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানান, তারা কাজগুলো সম্পূর্ণ গোপনে করায় সামনা সামনি তাদের অনুভূতি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না, তবে এরকম মহামারীর সময়ে সামান্য হলেও যদি কেউ উপকার করে দিয়ে যায় তাহলে সেটা তে অনেক আনন্দের মুহূর্তই হবে। তারাও এরকম আশা পোষন করে, তাদরে মত এরকম সকল প্রতিষ্ঠান বা যারা নিজ দায়িত্বে ত্রাণ বা কোন রকমের সাহায্য করতে পারবে তারা যেন এগিয়ে আসে। দেশের সকল মানুষ যেন একজন আরেকজনের বিপদে পাশে থাকতে পারবে। আর্থিক সহায়তা, মানসিক সহায়তা দিয়ে বিপদগ্রস্থ লোকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ সোনিয়া
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleরক্ত জমাট বাঁধা: করোনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ
Next articleকোভিড ১৯: মানব শরীরে চীনা টিকার প্রাথমিক সফলতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here