ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সৈন্যদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ সরকার। যুদ্ধক্ষেত্রে পরিধি বিস্তার এবং অতিরিক্ত চাপ সৈন্যদের যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৬ জুলাই বুধবার ইরাক যুদ্ধ বিষয়ক চিলকট কমিশনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। বৈরি পরিবেশে অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার বাইরে সিদ্ধান্ত নেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার ফলে যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তীতে সৈন্যদের একটা বড় অংশ পোষ্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে ভোগে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০০৪ সালে ২৮০০০ সৈন্যের মধ্যে ৫০০০ সৈন্যই এমন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে যা মোট সংখ্যার ১৮%। এবং পরবর্তী বছরগুলোতে এর পরিমাণ ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিংস সেন্টার ফর মিলিটারি হেলথ রিসার্চের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ক্রিস্টফার দানদেকার বলেন, “আপাত দৃষ্টিতে মানসিক রোগে ভোগা সৈন্যদের সংখ্যা যতটুকু দেখা যায়, সমস্যার গভীরে গেলে এর সংখ্যা আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।”
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এন্থনি পামার সৈন্যদের শারীরিক ঝুঁকির চাইতে মানসিক ঝুঁকিকে ‘খুবই বড় ঝুঁকি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ, ইরাক যুদ্ধ নিয়ে ২০০৯ সালে গঠিত চিলকট কমিশন গঠিত হয়। ৬ বছর ধরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর প্রায় ২৫ লক্ষেরও অধিক শব্দের এই প্রতিবেদনটিতে ইরাক যুদ্ধ ভুল ও অপরিণামদর্শী বলে উল্লেখ করা হয়।
তথ্যসুত্র- দ্যা গার্ডিয়ান, বিবিসি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, মনেরখবর.কম