সব মানুষের মাঝেই একটা কবি সত্ত্বা রয়েছে: আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়

[int-intro]স্বনামধন্য আবৃত্তিকার তিনি। একই সাথে লেখক, অভিনেতা ও প্রশিক্ষক। তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন বেতার ও টেলিভিশনে। নির্দেশনা দিয়েছেন অনেক বিখ্যাআত মঞ্চ নাটকে। বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে করছেন নাট্যকলায় পিএইডি। তিনি ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। মনেরখবর তারকার মনে এবার তিনি জানাচ্ছেন তাঁর মনের কথা, ভালো লাগার কথা, জীবনের কথা, ইচ্ছার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ মামুন। [/int-intro]
[int-qs]কেমন আছেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]ভালো আছি।[/int-ans]
[int-qs]ভালো থাকতে কী করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]সব সময় তো চাইলেও ভালো থাকা যায় না। চেষ্টা করি ভালো থাকতে।[/int-ans]
[int-qs]কোন জিনিষগুলো আপনাকে খারাপ রাখে?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]আমরা শহুরে বাসিন্দা। এখানে আমরা অনেকে আসি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কিন্তু শহরে অনেক মানুষের চাপ। এ চাপের মাঝে সবাই মিলে ভালোমতো চলতে গেলে যেসব নিয়ম কানুন পালন করা উচিত সেগুলো আমরা করি না। যত্রতত্র এলোমেলো চলাচল শহরে সবার জন্য সমস্যা তৈরি করে। যা শুধু আমাকে নয় শহরবাসী যারা আছেন তাদের সবাইকেই খারাপ রাখে।[/int-ans]
[int-quote]আমরা নরম মাটির মানুষ। নরম মাটির মানুষেরা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়। যার কারণে দেখা যায়, যে লিখতে জানে সে হয়তো কাগজে লিখছে আবার যে লিখতে জানেনা সে মুখে মুখে ছন্দ বাঁধছে। ঐযে বললাম সবার মধ্যেই একটি কবি সত্ত্বা আছে। যদিও জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।‘ তবে এর সাথে দ্বিমতও রয়েছে অনেকের।[/int-quote]
[int-qs]রাগ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]হ্যাঁ, রাগ তো হয়ই।[/int-ans]
[int-qs]কী কী কারণে বেশি রাগ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]কোথাও অসমতা দেখলে, অসংগতি দেখলে রাগ হয়। আমি যেটা মনে করি যে ঠিক না বা উচিত না সেটা যখন মানুষকে করতে দেখি তখন রাগ হয়। [/int-ans]
[int-qs]রাগ নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]চেষ্টা থাকে রাগ নিয়ন্ত্রণের। তবে সব সময় রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় রাগকে প্রকাশ করে ফেলি। [/int-ans]
[int-qs]মন খারাপ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]হ্যাঁ হয়, মন খারাপ তো হবেই।[/int-ans]
[int-qs]কী কারণে বেশি মন খারাপ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]মন খারাপের কোন বিশেষ কারণ নেই। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে মন খারাপ হয়।[/int-ans]
[int-qs]মন খারাপ হলে কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]মন খারাপ একটা সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। তখন যেটা হয় তা হলো, স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন হয়। এরপর একটা সময়ে এসে আপনা থেকেই সেটি ঠিক হয়ে যায়।[/int-ans]
[int-qs]প্রেমে পড়েছেন কখনও?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]অবশ্যই। প্রেমে না পড়লে তো মানুষের পূর্ণতা আসে না।[/int-ans]
[int-qs]আরেকবার প্রেমে পড়ার সুযোগ পেলে কি করবেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]একটা কথা কি, মানুষের মনটা কিন্তু কখনও মরে না। মানুষের মন সব সময় তাজা এবং সবুজ থাকে। তারুণ্য বা যৌবনের রঙটা মানুষের মধ্যে থেকেই যায়! তারপরও বয়সের একটা ব্যাপার থেকেই যায়। তারুণ্যে যেটা সম্ভব এই বয়সে সেটি করা সম্ভব নয়।[/int-ans]
[int-img name=””]https://monerkhabor.com/wp-content/uploads/2017/02/vb-2.jpg[/int-img]
[int-qs]স্মৃতি কাতরতা আছে?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]অবশ্যই।[/int-ans]
[int-qs]কেমন সে স্মৃতিগুলো?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]বিভিন্ন ধরণে স্মৃতি আছে। একেক ঘটনার প্রেক্ষিতে একেক স্মৃতি মনে আসে।[/int-ans]
[int-qs]এই মুহূর্তে মনে পড়া একটি স্মৃতি বলবেন কি?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]দিল্লিতে নাটকের স্কুলে যখন পড়তাম তখনকার শেষ দিনের কথা খুব মনে পড়ে। একসাথে তিন বছর বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে একসাথে চলা এবং একসাথে কাজ করার পর বিদায় অনুষ্ঠানে যখন সবাই মিলিত হলাম। সেখানকার পড়া গতানুগতিক পড়ার মতো ছিলো না। বেশিরভাগই ছিলো বাইরে বাইরে একসাথে কাজ করা। যার ফলে পুরো তিন বছরই আমরা ঘুমানোর সময় ব্যতিত একসাথেই থাকতাম। তারপর সেদিন ছিলো সবার থেকে সবার বিদায়ের দিন। এ দিনটির কথা খুব মনে পড়ে।[/int-ans]
[int-qs]আবৃত্তিকার হওয়ার অনুপ্রেরণা পেলেন কীভাবে?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]ছোটবেলা থেকে টুকটাক আবৃত্তি করতাম। তারপর রেডিওতে আবৃত্তি শুনতে ভালো লাগলো। এভাবেই এক সময় আবৃত্তিটা একটা প্যাশনে পরিণত হলো।[/int-ans]
[int-qs]আবৃত্তিকার না হলে কি হতেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিলো ডাক্তার অথব ইঞ্জিনিয়ার হই। মেডিকেল কলেজে ভর্তিও হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সব মিলিয়ে আর হয়ে উঠেনি। [/int-ans]
[int-qs]কবিতার সাথে মনের সম্পর্ক কোথায়?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]কবি তার কবিতায় শব্দের মাধ্যমে আবেগকে প্রকাশ করে। আর সেটি যখন পাঠ বা আবৃত্তির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে তখন সে আবেগটি মানুষকে স্পর্শ করে।[/int-ans]
[int-qs]কেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]কারণটা হতে পারে, সব মানুষের মাঝেই একটা কবি সত্ত্বা রয়েছে। কেউ তা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে কেউ রঙের মাধ্যমে আবার কেউ অন্য কোন মাধ্যমে। কবিতা হলো সাহিত্যের মধ্যে সবচাইতে আদিম ধারা। [/int-ans]
[int-qs]অনেকে বলেন এমন কোন বাঙ্গালী নাকি খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে কখনও দুই লাইন হলেও কবিতা লিখেনি বা ছন্দ বাঁধেনি। এটাকে কিভাবে দেখেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]আমরা নরম মাটির মানুষ। নরম মাটির মানুষেরা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়। যার কারণে দেখা যায়, যে লিখতে জানে সে হয়তো কাগজে লিখছে আবার যে লিখতে জানেনা সে মুখে মুখে ছন্দ বাঁধছে। ঐযে বললাম সবার মধ্যেই একটি কবি সত্ত্বা আছে। যদিও জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।‘ তবে এর সাথে দ্বিমতও রয়েছে অনেকের।[/int-ans]
[int-qs]আরেকটি জীবন পেলে কী করবেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]এ জীবনের যা কিছুর অপূর্ণতা রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে চাইবো।[/int-ans]
[int-qs]সবশেষে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। [/int-qs]
[int-ans name=”ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”]পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো সাহিত্যের যেসব ধারা রয়েছে যেমন গল্প উপন্যাস কবিতা এসবের সাথে যেন সংযোগ থাকে। তারা যে বাংলা সাহিত্যের এসব ধারার সাথে পরিচিত হয়। ব্যাপারটি এমন নয় যে সাহিত্য চর্চা করতে হবে, অন্তত পড়ার ব্যাপারটি যাতে সবার মধ্যে থাকে।[/int-ans]
 

Previous articleমানসিক রোগ: কার কী দায়িত্ব
Next articleডিমেনশিয়ার গবেষণায় সাহায্য করবে মোবাইল গেইম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here