সফল হতে অবসরে যা করতে পারেন

0
15

কাজ শেষে বাসায় ফিরে আপনি কী করেন? টিভি সিরিজ দেখতে বসে যান? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে ওঠেন? অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এসব প্রশ্নের উত্তর – ‘হ্যাঁ’। তবে জেনে রাখুন, অবসর সময় আপনি কীভাবে কাটাচ্ছেন তা অনেকটাই প্রভাব ফেলে আপনার পেশাগত সাফল্যে। আপনি কি পেশাগত জীবনে দ্রুত সাফল্যের শিখরে আরোহন করতে চান? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে আপনাকে জানতে হবে স্টিভ জবস, এমা ওয়াটসন, এলন মাস্ক ও টম কুকের মতো বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা অবসর সময়ে কী করতেন বা করেন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব শুধু আপনার মেজাজকেই খিটখিটে করে তুলে না, কাজেও প্রভাব ফেলে। মার্কিন মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলজি কোম্পানি অ্যাপলের সিউও টিম কুক সব কাজ সেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুয়ে পড়েন এবং প্রতিদিন প্রায় সাত ঘণ্টা ঘুমান। নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য বিছানায় যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ।
পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন
হোক ফিকশন অথবা নন-ফিকশন – অবসর সময়ে বই পড়া আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে। বই পড়া শুধু আপনার জ্ঞান বা দক্ষতা বৃদ্ধি করবে না, এটি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি শব্দভান্ডারকেও করবে সমৃদ্ধ। স্ট্রেস দূর করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যমও বই। এখন বুঝতে পারছেন এলেন মাস্ক, ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস এবং অন্য বিলিয়নিয়াররা সকলেই কেন বই পড়তেন।
শারীরিক ব্যায়াম
ব্যায়ামের শারীরিক উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজনেস ম্যাগনেট ৬৮ বছর বয়সী রিচার্ড ব্রানসনের দাবি, শারীরিক ব্যায়াম তাকে দ্বিগুন সাফল্য অর্জনে সাহায্য করেছে। অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে ব্যায়াম আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতা, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি ও মানসিক তীক্ষ্ণতা বাড়িয়ে তোলে।
‘না’বলতে দ্বিধা করবেন না
কোনো বিষয়কে বা ব্যক্তিকে ‘না’ বলতে পারাটাও একটি দক্ষতা। অলাভজনক কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট এবং সাক্ষাতকে ‘না’ বলতে পারলে আপনি যেকোনো সঠিক কাজ বা বিষয়ে আরো বেশি সময় ও মনোযোগ দিতে পারবেন। আসলে, এর মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকে ফোকাস করতে এবং আপনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
স্টিভ জবস একবার বলেছিলেন, ‘মানুষ মনে করে ‘ফোকাস’ মানে কোনো বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ বলা।  কিন্তু আসলে এটার মানে এটা না। বরং ‘না’ বলার অর্থ হলো সেখানো আরো শত ভালো আইডিয়া রয়েছে।’
জানুন ও অধ্যয়ন করুন
নতুন কোনো বিষয়ে জানা ও শেখার কোনো আদর্শ বয়স নেই। বরং নিজেকে বিকশিত করতে এবং আপনার সমসাময়িক লোকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কখনো তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে জানুন ও শিখুন। এটি হতে পারে একটি লেখার কর্মশালা, সাইকোথেরাপির সার্টিফিকেশন বা নতুন কোনো বিষয়ে অধ্যয়ন- যার মাধ্যমে আপনি কিছু শিখতে পারেন। আপনি কি জানেন, এমা ওয়াটসন তার অভিনয় পেশা থেকে বিরতি নিয়ে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন?
অনুবাদ করেছেন: আছিয়া নিশি
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/relationships/how-do-you-utilise-your-free-time/photostory/66274680.cms

Previous articleক্ষমা র্প্রাথনায় মানসিক প্রশান্তি মেলে
Next articleপ্রতিমাসেই ফেইসবুক লাইভে আসবে মনের খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here