সন্তানের ইন্টারনেট আসক্তি থেকেও ভালো কিছু হতে পারে?

0
230
সন্তানের ইন্টারনেট আসক্তি থেকেও হতে পারে ভালো কিছু

ইন্টারনেটে সন্তানের আসক্তি নিয়ে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। আবার ইন্টারনেটের যুগে তাদেরকে নেটদুনিয়া থেকে দূরে রাখাটাও অনেকটা অসম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সঠিক ব্যবহারে ইন্টারনেট মাধ্যমই সন্তানদের জন্য হয়ে উঠতে পারে শাপে বর। আসুন জেনে নিই সে সম্পর্কে কিছুটা।

নাগরিক জীবনে কর্মব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যক্তি জীবনের একাকিত্ব। শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়। খেলার মাঠে বন্ধু তৈরির সুযোগ নেই তাদের। যার ফলে  শিশু মনে চাপ বাড়ছে, তারা অন্য মানুষের সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশতে পারছে না। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটারের মতো মাধ্যম তাদের এই জায়গা থেকে পরিত্রাণ দিচ্ছে, এখান থেকে তারা মেশার সুযোগ পাচ্ছে।

শৈশব থেকে কৈশোরে পা দেওয়ার সময় অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে নানা বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। আর এই কৌতূহল মেটানোর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের জুড়ি নেই।

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতনতাই হোক বা সড়ক আন্দোলনের মতো কোনো সামাজিক আন্দোলন অথবা অন্য যেকোনো বিষয়ে  ইন্টারনেটে নানা শিক্ষামূলক ভি়ডিও থেকে তারা প্রাথমিক ধারণা নিতে পারে।

বয়ঃসন্ধির কালে মানসিক স্বাস্থ্য, যৌনতা, লিঙ্গপরিচয়ের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরি কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। এই বিষয়গুলি নিয়ে ইন্টারনেটে সচেতনতামূলক প্রচারণা রয়েছে, যা আপনার সন্তানকে সাহায্য করতে পারে।

এছাড়া, ইন্টারনেট মাধ্যম হতে পারে কৌশোরের সৃজনশীলতা প্রকাশের অদ্বিতীয় মাধ্যম। নিজের আঁকা ছবি, সদ্য শেখা আবৃত্তি কিংবা ভালবেসে গেয়ে ওঠা গান তারা ইন্টারনেটে শেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছে। সেখান থেকে পাওয়া কয়েকটি প্রশংসা তাদের কৌশোর মনে সঞ্চার করতে পারে অনাবিল আনন্দ। চর্চার অভাবে হারিয়ে যেতে পারে অনকে প্রতিভা, ইন্টারনেট মাধ্যমের উৎসাহে তা-ই চমকে দিতে পারে সবাইকে।

তবে এসব সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ইন্টারনেটে রয়েছে প্রতারণা বা  হেনস্থার মতো নানা বিপদ। তাই সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকরা কিছুতেই চিন্তামুক্ত হতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ‘প্যারেন্টাল লক’এর মতো ব্যবস্থা একটি ভালো উপায় হতে পারে।

তাছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি অ্যাপও এনেছে। তবে অভিভাবকদের অতিরিক্ত নজরদারি যেন শিশু মনে ভয় বা অবিশ্বাসের কারণ না হয়ে ওঠে সে বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোপরি, ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকদের স্বাস্থ্যকর আলাপচারিতা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন:করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleরাবিতে সাইকোথেরাপি ইউনিট উদ্বোধন
Next articleমানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ট্রিটমেন্ট গ্যাপ : সমস্যা বাড়াচ্ছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here