Close Menu
    What's Hot

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

    পরার্থপরতায় সমাজের উন্নতি

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Tuesday, July 1
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম June 30, 2025

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      Recent

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      সুস্থ ঘুমই সুস্থ জীবনের ভিত্তি

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » শিশুর মানসিক বিকাশের প্রায় সব জায়গা আমরা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়েছি
    জীবনাচরণ

    শিশুর মানসিক বিকাশের প্রায় সব জায়গা আমরা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়েছি

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কAugust 8, 2016No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কেমন আছে আমাদের শিশুরা? গণমাধ্যমগুলো কি ভাবছে আমাদের শিশুদের নিয়ে? গণমাধ্যমে আমাদের শিশুদের অবস্থান কোথায়? শিশুদের জন্য কতটুকু ভূমিকা পালন করছে তারা? এসব বিষয়সহ আমাদের শিশুদের বেড়ে উঠার পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে মনেরখবর.কম-এর সাথে কথা বলেছেন চিলড্রেন’স টেলিভিশন ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ফাহমিদ শান্তনু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ মামুন।

    চিলড্রেন’স টেলিভিশন ফাউন্ডেশন তৈরির অনুপ্রেরণা কিভাবে পেলেন?

    প্রথমে যখন টিভিতে কাজ করতে আসি তখন আমার মনে হয় টিভিতে যারা কাজ করতে আসবে তাঁদের ট্রেনিংয়ের খুব দরকার। যেহেতু আমি বাচ্চাদের দিয়ে অনুষ্ঠান বানাতে বেশি আগ্রহী ছিলাম, সেই আগ্রহ থেকেই চিলড্রেন’স টেলিভিশন ফাউন্ডেশন গঠনের চিন্তা মাথায় আসে।

    ছোটদের জন্য টেলিভিশন বা চিলড্রেন’স টেলিভিশন ফাউন্ডেশন তৈরির উদ্দেশ্যটা আসলে কি?

    চিলড্রেন’স টেলিভিশন ফাউন্ডেশন তৈরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন চ্যানেল তৈরির একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। একই সাথে শিশুদের টেলিভিশনের জন্য তৈরি করা।

    আপনারা এখানে বাচ্চাদের জন্য কি ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন?

    এই যেমন বাচ্চাদের দিয়ে নিউজ তৈরি করানো, টেলিভিশন প্রোগ্রাম তৈরি, ওয়ান মিনিট জুনিয়র করানো বা কানাস্তারা -কিডস নিউজ নেটওয়ার্ক-এর মতো টিভি শো করা ইত্যাদি। এসব বিষয় নিয়ে বাচ্চাদের ছয়জন বা দশজনের টিম বানিয়ে ট্রেনিং করিয়ে, গ্রুম করিয়ে বাচ্চাদের টেলিভিশন উপযোগী করে তৈরি করা।

    ‘ওয়ান মিনিট জুনিয়র’ বিষয়টি কি, আর এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কি কি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে?

    আমরা ‘ওয়ান মিনিট জুনিয়র’ এর বেশ কিছু ওয়ার্কশপ করেছি। পাঁচ বছর ধরে ওয়ান মিনিট জুনিয়র ফেস্টিভাল করছি। টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান বানাচ্ছি। বাচ্চাদের দিয়ে মেইনস্ট্রিম নিউজ বানাচ্ছি। কানাস্তারা -কিডস নিউজ নেটওয়ার্ক নামে নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি। শিশুদের দিয়ে বিভিন্ন ইস্যু ভিত্তিক প্রোগ্রাম তৈরি করছি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা প্রিজনিস নামের একটা প্ল্যাটফর্মের সাথে জড়িত। ওয়ান্ডার উইল নামে নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটা সংগঠন আছে যারা বাচ্চাদের বিভিন্ন কনটেন্ট অনলাইনে দেয়, আমরাও নিয়মিত কনটেন্ট দিচ্ছি।

    [int-quote]বাচ্চারা আসলে দেখে শেখে। বিভিন্ন দিক থেকে আমরা বাচ্চাদের বিনোদনের জায়গা বন্ধ করে দিয়েছি। বাচ্চাদের খেলার মাঠ নেই, স্কুলে আনন্দের কোনো ব্যবস্থা নেই, শিক্ষাটা এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। শিশুর মানসিক বিকাশের প্রায় সব জায়গা আমরা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়েছি। বাকী রয়েছে বাসার ভেতরে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া। যে বাচ্চাটা সারাক্ষণ টেলিভিশনে মারামারির খবর, ধর্ষণের খবর, পলিটিক্যালি করাপশনের খবর, টকশোতে মানুষের অসিষ্ণু তর্কবিতর্ক দেখে তাতে শিশুটির মানসিক বিকাশ তো দূরের কথা উল্টো শিশুটি আরো মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।[/int-quote]

    শিশুদের অনুষ্ঠান অনেক কম হয় বলে দর্শকদের একটা অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগটা কতটুকু সত্যি?

    সত্যি তো অবশ্যই। দেশে ২৫ থেকে ৩০টার মতো টিভি চ্যালেন আছে, অধিকাংশ টিভি চ্যানেলে শিশুদের অনুষ্ঠান বলতে শুধু কার্টুন। এখানে শিশুদের বয়সভিত্তিক আলাদা কোনো অনুষ্ঠান নেই।

    শিশুদের বয়সভিত্তিক আলাদা অনুষ্ঠানের ব্যাপারটি কি?

    আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেই শিশু ধরা হয় জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। শিশুদের বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পছন্দ হয়। যেমন, জন্ম থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত ধরা হয় ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট’। ৭ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের আরেকটি বয়সভিত্তিক গ্রুপ, এভাবে ১১ থেকে ১৫ এবং ১৫ থেকে ১৮। শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠান তৈরি করতে হলে আগে শিশুদের বয়সভিত্তিক ভাগটিকে মাথায় রাখতে হবে, আমরা আসলে কোন গ্রুপের শিশুদের জন্য অনুষ্ঠানটি তৈরি করছি।

    শিশুদের জন্য কাজ কেন হচ্ছে না বলে আপনি মনে করেন?

    শিশুদের প্রোগ্রাম বানাতে আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে। আমাদের দেশের কমার্শিয়াল লোকজন চিন্তা করে টিভি অনুষ্ঠান বানানোর জন্য। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণের সময় ব্যক্তি লাভের চিন্তাটি মাথায় থাকে। যখন লাভের কথা চিন্তা করা হয় তখন শিশুদের উপযোগী কিছু তৈরি করা সম্ভব হয় না।

    শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠানের অপ্রতুলতা আমাদের শিশুদের কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে?

    বাচ্চারা আসলে দেখে শেখে। বিভিন্ন দিক থেকে আমরা বাচ্চাদের বিনোদনের জায়গা বন্ধ করে দিয়েছি। বাচ্চাদের খেলার মাঠ নেই, স্কুলে আনন্দের কোনো ব্যবস্থা নেই, শিক্ষাটা এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। শিশুর মানসিক বিকাশের প্রায় সব জায়গা আমরা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়েছি। বাকী রয়েছে বাসার ভেতরে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া। যে বাচ্চাটা সারাক্ষণ টেলিভিশনে মারামারির খবর, ধর্ষণের খবর, পলিটিক্যালি করাপশনের খবর, টকশোতে মানুষের অসিষ্ণু তর্কবিতর্ক দেখে তাতে শিশুটির মানসিক বিকাশ তো দূরের কথা উল্টো শিশুটি আরো মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    একটা উদাহরণ দেই, এখন দেখা যায় স্কুল ফেরত খুব অল্প বয়সের বাচ্চারা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে, দিনদিন ইভটিজিংয়ের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সিনিয়রদের সম্মানের ব্যাপারটি উঠে যাচ্ছে। ইত্যাদি আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। শিশুদের সার্বিক বিকাশের পথকে রুদ্ধ করে দিয়ে আজকে আমরা এমন একটা দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি করছি।

    এ ক্ষেত্রে মিডিয়া কি ভূমিকা রাখতে পারে ?

    শিশুর বিকাশে মিডিয়ার ভূমিকা মাত্র একটি দিক। এর সাথে আরো অনেক দিক জড়িত আছে। সবার প্রথমে প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে ঢেলে সাজানো। এর কোনো বিকল্প নেই। গত ৪৪ বছরের শিক্ষাব্যবস্থা দেখলে মনে হয় আমরা খুব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের শিক্ষাকে ধ্বংস করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা হয় না, কলেজে পড়াশুনা হয় না, স্কুলগুলো হয়ে গেছে সব ব্যবসাকেন্দ্র।

    স্কুলগুলোতে কি আগের চাইতে অনেক বেশি বই পড়ানো হয় বলে মনে হয় আপনার?

    প্রথম কথা হলো, বই দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বইগুলো কতটা বাচ্চাদের বয়সের উপযোগী সেটা যাচাই করা হচ্ছে না। এটাও দেখা হচ্ছে না যে বাচ্চারা বইগুলো পছন্দ করছে কিনা বা পছন্দ না করলে কেন করছে না। দ্বিতীয় কথা হলো, স্কুলগুলোতে কোনো পড়াশুনা হচ্ছে না। স্কুলে যদি পড়াশুনা হয় তাহলে এত এত কোচিং সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা থাকতো না।

    বাচ্চাদের বিষয়গুলো কেন এত অবহেলিত?

    এখন আমরা সবাই খুব আত্মকেন্দ্রিক, অর্থাৎ নিজেদেরটা ভাবি শুধু। আমারই সন্তান আমারই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, কিন্তু তার সুস্থ ও সুষ্ঠ বিকাশের জন্য আমরা কিছুই করছি না। আমাদের নিজেদের মধ্যে সচেতনতার ঘাটছি আছে বিধায় আমরা স্বার্থপরের মতো আচরণ করে আদতে নিজেদের স্বার্থের ক্ষতিই করছি।

    সচেতনতা তৈরিতে মিডিয়া কিন্তু একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে?

    তা রাখতে পারে, তবে মিডিয়া ইজ ডুইং নাথিং। প্রতিদিন সকালবেলা পত্রিকা খুললেই প্রথম পাতা ভর্তি সব খারাপ খবরগুলো, সকালবেলা আপনি ফ্রেশ মাইন্ডে একটা পত্রিকা পড়তে পারবেন না। কিন্তু মিডিয়ারও তো একটা দায়িত্ব আছে যে মানুষকে সকালবেলা কর্মদ্যোমী করার। কিন্তু তার বদলে তারা মানুষের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।

    এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। অটিজম নিয়ে আপনার একটি ভিডিও চিত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে। অটিজম নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা কিভাবে পেলেন?

    ইউনিসেফ থেকে আমাকে জানানো হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘শিশু অধিকার’ নিয়ে একটা ফিল্ম ফেস্টিভল হবে, সেখানে আমি যাতে অংশগ্রহণ করি। এভাবেই অটিজম নিয়ে শর্টফিল্ম তৈরি। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের দিকে আমাকে জানানো হলো যে আমার ফিল্মটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা ভিডিও চিত্রের এওয়ার্ড পেয়েছে, এটি আমাকে জাতিসংঘের সদর দফতর থেকে আনতে হবে। তারপর ২০০৮ সালে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পুরষ্কারটি গ্রহণ করি।

    ভিডিওচিত্রে অটিজমের কোন দিকটি তুলতে চেয়েছিলেন?

    আমরা চেয়েছিলাম একজন অটিস্টিক শিশুকে চিত্রায়িত করতে। আমরা মোট ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্রায়িত করি। এরপর যাই আপনাদের মনেরখব.কম-এর সম্পাদক ডা. সালাহ উদ্দিন কাউসার বিপ্লব ভাইয়ের কাছে। বলি এতটুকু তো করা হয়েছে এখন কি করা যায়। পরে উনার থেকে অটিজম বিষয়ে কিছু বক্তব্য চিত্রায়িত করি।

    অটিজম নিয়ে কাজ করার সময় এ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কি?

    আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা শুধু অটিজম নিয়ে বলবো না। সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য মা-বাবা উভয়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া জরুরি। আরেকটি কথা আমি বলবো সেটি হয়তো বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে নাও মিলতে পারে। গর্ভধারণের প্রথমদিন থেকেই বাবা-মায়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক অটিজমটাকে অনেক কমিয়ে আনতে পারে। আবারো বলছি এটা শুধু আমার একটা অনুভূতি অটিজম নিয়ে। এটা কোনো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়।

    কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কগুলো দিনদিন কেমন ঢিলে হয়ে আসছে, বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। এটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?

    বাবা মা আলাদা হয়ে যায় শুধুমাত্র নিজেদের সুখের কথা চিন্তা করে। সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে সে সঠিক যত্ন পাবে কিনা সেটি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নাই। বাবা মায়ের মধ্যে মিল হচ্ছে না যার কারণে তারা দুইজন আলাদা হয়ে গেলো। একজন সন্তানের জন্য বাবার যেমন প্রয়োজন আছে তেমন আছে মায়ের। আমার মনে হয়, সন্তানের কথা বিবেচনা করে হলেও বাবা-মায়ের একসাথে থাকা উচিত। অন্ততপক্ষে বাচ্চার বয়স যতদিন ১৮ না হয়।

    সার্বিকভাবে শিশু সুরক্ষায় আপনার ব্যক্তিগত কোনো পরামর্শ আছে কি?

    পরামর্শ চাইলে যে কেউ দশটি পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু পরামর্শগুলো তো কোনো কাজে লাগানো হয় না। যেমন, বাংলাদেশে সে সিভিল সার্জনরা আছেন তাঁদের সবার উচিত স্কুলে স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেওয়া। বাচ্চার উচ্চতা কত, বাচ্চার রক্তের গ্রুপ কি, বাচ্চার চোখ ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি।

    বাংলাদেশে প্রায় এক লাখের মতো স্কুল আছে, এই স্কুলগুলোতে গিয়ে বাচ্চাদের একটা ফিজিক্যাল চেকাপ কিন্তু খুব সাধারণ একটা বিষয়, কিন্তু তারা করছে না। এক সময় আমরা কৃষি বিজ্ঞান পড়তাম। আমাদের দিয়ে স্কুলের ঘাস কাটানো হতো, গাছ লাগানো হতো, স্কুল পরিষ্কার করানো হতো, নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন থাকতো। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা স্কুলে যায় শুধু পড়তে স্কুল থেকে ফিরেও বসে পড়তে, স্কুল থেকে এসেই আবার কোচিং।

    সাংগঠনিক ভাবে কি বাচ্চাদের জন্য কিছু হচ্ছে না?

    ব্যক্তি উদ্যোগে হয়তো কিছু হচ্ছে তবে সাংগঠনিক ভাবে সেভাবে কিছু হচ্ছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় না। নগর পরিকল্পনা হোক বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা হোক সেখানে বাচ্চাদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারগুলো অবহেলিতই থেকে যায়। অধিকার কর্মীরা শিশু অধিকারের কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দেয়, কিন্তু শিশুদের জন্য একটা পার্ক উদ্ধার করে দেয় না। ব্যবসায়ীরা শিশুদের জন্য বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বানায় কিন্তু তারা শিশুদের জন্য সেবামূলক কিছু করে না। এসব ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিকেও যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

    শিশুদের ব্যাপারে আমাদের সরকারের আন্তরিকতা কতটুকু বলে মনে করেন?

    সরকার যে আন্তরিক নয় সেটা হয়তো বলা যাবে না, বরং আগের চাইতে সরকারের অনুদান এক্ষেত্রে অনেক বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে খুবই কম। সরকার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টকে টাকা দেয়, অন্যান্য অনেক অর্গানাইজেশনকে টাকা দেয় কিন্তু সে টাকা কোথায় যায় সেটা এক রহস্য! আমি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না, এটা শুধু আমার একটা কৌতুহল। এদিকে সরকার নিজেও আমাদের মাথার উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় খাত তৈরি করে টাকা নষ্ট করছে।

    আমরা কি বলতে পারি যে আমাদের শিশুরা প্রায় সর্বক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত?

    অবশ্যই তাই। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে আমাদের নজর নেই, শিশুদের মানসিক বিকাশের দিকে আমাদের নজর নেই, শিশুদের সুখাদ্যের দিকে আমাদের নজর নেই, শিশুদের খেলাধুলার দিকে আমাদের নজর নেই, শিশুদের শিক্ষার দিকে আমাদের নজর নেই। এত এত না এর মধ্যে শিশুর অধিকার শিশুর বিকাশের জায়গাটা কোথায়?

    অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মনেরখবর পাঠকদের সামনে এসব বিষয় তুলে ধরার জন্য।

    ধন্যবাদ মনেখবরকেও। আমাদের শুধু এসব তুলে ধরলেই হবে না। বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রয়োগ করার মতো মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleসে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে
    Next Article ইন্টারনেট ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি!
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

    April 28, 2025

    জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

    April 13, 2025

    মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    April 10, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025203 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 202119 Views

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    May 4, 202518 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 20229 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম June 30, 2025

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    গত শনিবার ২৮ তারিখে রাজধানীর “এবিসি আর্লি লার্নিং ডে কেয়ার সেন্টার”-এ অনুষ্ঠিত হলো একটি সময়োপযোগী…

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.