শিশুরাও হতে পারে মানসিক অবসাদের শিকার

0
53
শিশুদের অবসাদ
যদি আপনি মনে করে থাকেন শুধুমাত্র মানসিক অবসাদের শিকার হয় বড়রা তাহলে আপনি ভুল করছেন। মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরাও।

সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল মাত্র কয়েক মাস বয়সের শিশুদেরকেও বিষণ্ণ হতে দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে অভিভাবকরা বুঝতেই পারেন না শিশুদের সাধারণ দুঃখ বা বদমেজাজ এবং শৈশবকালীন অবসাদের কারণগুলো। এসব লক্ষণ কিন্তু মানসিক অবসাদের কথাই ব্যাক্ত করে। কিন্তু বাবা-মা এর বুঝতে পারার সামান্য অক্ষমতার জন্য কিছু শিশুদের মধ্যে শৈশবকালীন অবসাদ বিনা চিকিৎসায় থেকে যায়। যা পরবর্তী জীবনে বিভিন্নরকম মানসিক স্বাস্থ্যের জটিলতা সৃষ্টি করে

গবেষণায় দেখা গেছে, যখন একটি শিশু মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সে বুঝে উঠতে পারে না তার সঙ্গে কি যা হচ্ছে তার কারণ হল মানসিক আঘাত। যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের একটা ধারণা থাকে এ অবসাদ সম্পর্কে। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শৈশবকালীন অবসাদের ভেতরকার পার্থক্য মূলট এখানেই। আর প্রতিটি অভিভাবকদের অবশ্যই এ ব্যপারে জানা উচিত।

আপনি যদি লক্ষ করে থাকেন যে আপনার শিশুটি প্রায়শই বিষণ্ণ ও অন্তর্মুখী ব্যবহার করছে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সে হয়তো নির্দিষ্ট কিছু শৈশবকালীন মানসিক অবসাদের লক্ষণ প্রকাশ করছে, যা একেবারেই উপেক্ষা করা ঠিক হবে না আপনার জন্য। তাই সঠিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে শিশুদের বিষণ্ণ ও অন্তর্মুখী অবসাদের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।  আসুন জেনে নেই শিশুদের বিষণ্ন বা অবসাদের লক্ষণগুলো কি-

১।আগ্রহের ঘাটতিঃ শিশুকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতে চাইছেন বা মজাদার কোনও কাজ করতে চাইছেন এসময় আপনার সন্তান তা মানা করে দেয় এবং সারাদিন নিজের ঘরেই কাটাতে চায়, তাহলে বুঝবেন সেটা বিষণ্নতার লক্ষণ।

২।আক্রমণাত্মকঃ যদি আপনার শিশু তার স্বভাবের বাইরে গিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যবহার ও অতরিক্ত রাগের বহিপ্রকাশ করে তবে তা শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ হতে পারে।

৩।উদাসীনতাঃ বিষাদগ্রস্ত শিশুরা সাধারণত, আনন্দদায়ক ঘটনাগুলি থেকে বা তার মা-বাবার স্নেহ-ভালবাসার অভিব্যক্তির থেকেও উদাসীন থাকে।

৪।মূল্যহীনতা বোধঃ যদি আপনার শিশু প্রায়শই বলতে থাকে, ‘আমাকে কেউ ভালবাসে না’ বা এমনি কিছু কথা। তবে এটি একটি লক্ষণ হতে পারে।

৫।খারাপ ফলঃ আপনার শিশু হঠাৎ করেই স্কুলে খারাপ ফল করছে, এটি শৈশবকালীন অবসাদের একটি লক্ষণ। কারণ, অবসাদ শিশুকে অন্যমনস্ক করে দেয়, একগ্রতা ও স্মৃতিশক্তির দক্ষতা বিঘ্নিত করে।

৬।একটানা অবসাদঃ যদি হঠাৎ করেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার পরেও আপনার সদা প্রাণচঞ্চল শিশুটির মধ্যে অত্যন্ত ক্লান্তি দেখা দেয়, তাহলে এটি বিষণ্নতার লক্ষণ হতে পারে।

৭।ক্ষুধামন্দাঃ ক্ষুধামন্দা, এটি হঠাৎ করেও হতে পারে। এটিও অবসাদের লক্ষণ হতে পারে। এবং এটি বলা খুবই মুশকিল কারণ বেশিরভাগ শিশুরাই ঠিকঠাকভাবে খাওয়ার ব্যাপারে খুবই খামখেয়ালী হয়ে থাকে।

৮।নিজেকে গুটিয়ে নেয়াঃ যদি হঠাৎ আপানার শিশু, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করা বন্ধ করে দেয় বা যদি লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না চায় তবে এটিও একটি শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

 

Previous articleগর্ভাবস্থায় মাদক মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়
Next articleবিষণ্ণতা থেকে মুক্ত থাকার কিছু কৌশল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here