যেকোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা আসাটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। কোনো কাজ করতে গেলে চিন্তা আসবে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তুমি লিখেছো- ‘লোকজন তোমার সমালোচনা করলে অতিরিক্ত চিন্তা হয়’। দেখো, কেউ সমালোচনা করলে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে, চিন্তা তো আসবেই। তা’না হলে আমারা যে মানুষ বা সত্যিকারের রক্ত মাংসের মানুষ সেটা কিভাবে বোঝা যাবে। ধরো তোমার কোনো একটা বিষয়ে কেউ সমালোচনা করলো আর তুমি বিষয়টাকে পাত্তাই দিলানা, সেটা নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবেনা। তুমি ঠিক কি বেঠিক সেটা বিষয় না। অন্যের মতামত তোমাকে শুনতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সে চিন্তা যদি প্রতিদিনের কাজে বা তোমার কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটায় তবেই কেবলমাত্র সেটা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।
প্রথমেই ওষুধের কথা না ভেবে, প্রথমে দেখো বিষয়টাকে তোমার নিজের যুক্তি দিয়ে ঠিক করতে পারো কিনা। ব্যাপারটা এমন যে, মানুষ আমার সমালোচনা করতেই পারে। আমি ঠিক কিনা সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। ঠিক হলে নিজেকে শান্তা বা স্থির রাখতে হবে। আর যদি তুমি ঠিক না হও তবে যে সমালোচনা করছে তার কাছ থেকে অথবা অন্যের কাছ থেকে সমালোচনার কারন বা পরিবর্তনের বিষয়ে আলাপ করে নিতে পারো। তুমি যদি ঐ লোকটির সাথে আলাপ না করতে চাও তবে তোমার পছন্দের কারো সাথে আলাপ করতে পারো। সকাল বিকাল কিছু ব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারো। সেই সাথে, হাঁপানি না থাকলে টেবলেট ইনডেভার ১০ মিগ্রা, সকালে আর রাতে খেতে পারো। আমার মনে হয় সমালোচনাকে সহজ ভাবে নিয়ে সেটা সমাধান করাটাই তোমার প্রথম চেষ্টা হওয়া উচিত। ধন্যবাদ তোমাকে।[/vc_message]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।