মানসিক সুস্বাস্থ্য বলতে বুঝায় মার্জিত, পরিমিত, সুন্দর বোধশক্তি ও বিচার বিবেচনা; নিয়ন্ত্রিত আবেগ অনুভূতি এবং যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ও মার্জিত আচরণ সম্পন্ন মানব।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকাটা জরুরি শারীরিক সুস্থতার জন্য। আপনজনসহ কাছের ও দূরের আত্মীয় স্বজন, সহপাঠী/সহকর্মী, পাড়া প্রতিবেশীসহ সমাজের সবার সাথে যেকোনো পরিস্থিতিতে সুসম্পর্ক রাখতে। নিজের মাঝে কতটুকু সুপ্ত সম্ভাবনা (Potential) লুকিয়ে থাকে সেটা বুঝার জন্য। যেকোনো ঘটনা/দুর্ঘটনা, ঘাত-প্রতিঘাত, মানসিক অর্থনৈতিক বা পারিবারিক ও সামাজিক চাপে নিজেকে স্থির রেখে মানিয়ে নিয়ে সমাধানে উদ্যোগী হতে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনে, পরিবার তথা সমাজে অর্থবহ অবদান রাখার জন্য।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আমরা কতটা সচেতন সেটা সঠিকভাবে বলা তো সম্ভব না। তবে সার্বিকভাবে যতটা আছে সেটা আমার মতে খুবই সামান্য। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হয়ত জানেই না মানসিক স্বাস্থ্য কি। সাধারণ মানুষ অসচেতন। আর এক শ্রেণির শিক্ষিত যারা Virtual জগতে বেশিরভাগ সময় থাকেন তাদের অনেকে এ ব্যাপারে জানতে গিয়ে অসংখ্য তথ্য ও বিভিন্ন মতামতের ভিড়ে মানসিক স্বাস্থের আসল অর্থ কী সেটাই হয়ত বুঝতে পারেন না। মূলকথা এ ব্যাপারে সচেতনতা খুবই কম।
অধ্যাপক ডা. এস আব্দুল্লাহ আল-ফারুক
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ৯ম সংখ্যায় প্রকাশিত।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে