Close Menu
    What's Hot

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক চিকিৎসা

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Sunday, October 5
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম September 20, 2025

      সব সমস্যার সমাধান আছে, আত্মহত্যা কখনোই সমাধান নয়

      Recent

      সব সমস্যার সমাধান আছে, আত্মহত্যা কখনোই সমাধান নয়

      বর্ষিয়ান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম কামরুজ্জামান আর নেই

      গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে বিশেষ আয়োজন

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      মন প্রতিদিন September 23, 2025

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      Recent

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

      মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বাড়ছে সচেতনতা- ডা. নুর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মানসিক রোগের ভুল ধারণা : পর্ব – ৪
    কুসংস্কার

    মানসিক রোগের ভুল ধারণা : পর্ব – ৪

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্যBy ডা. পঞ্চানন আচার্য্যMay 24, 2015No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    কেন মানসিক চিকিৎসকের কাছেই যাবেন
    ‘ভালোই হলো আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে। আমার বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল, আপনার কাছ থেকে উত্তর জেনে নেওয়া যাবে।’
    এই উচ্ছ্বসিত বক্তব্য কোনো এক দীর্ঘ বাস ভ্রমণে আমার একজন সহযাত্রীর। ভদ্রলোক একজন মধ্যবয়স্ক সরকারি কর্মকর্তা। আলাপি ধরনের মানুষ হওয়াতে গাড়ির চাকা ঘুরতেই কথাবার্তা শুরু করে দিলেন। প্রাথমিক আলাপে যখন জানলেন, আমি একজন ডাক্তার এবং বিশেষত মনোরোগ নিয়ে আছি; আলাপচারিতা মোড় নিলো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়াদিতে। জানলাম, তিনি একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী, মাস কয়েক হলো ডায়াবেটিসও ধরা পড়েছে।
    তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের অধীনে নিয়মিত চিকিৎসা নেন। সম্প্রতি তাঁর চিকিৎসক তিনি মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। আর তাঁর চিকিৎসক তাঁকে বলেছেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে।
    যদিও ওই ভদ্রলোক বিষয়টি মানতে পারছেন না, তবু যেহেতু অফিসের কাজে ঢাকা যাচ্ছেনই, তাই ইচ্ছা আছে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে যাবেন।
    -বুঝলাম আমি ইদানিং খুব টেনশন করি। কিন্তু, এটা কি এমন ব্যাপার যে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে।
    – এই যে উদ্বিগ্ন থাকেন এতে আপনার কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে?
    – তা আর বলতে? অনেক কষ্টে আছি ভাই, অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রায়ই ভাবি, এখন থেকে আর টেনশন করবো না, তাও চলে আসে। অবস্থা এখন এমন, সব কিছুতেই টেনশন হয়। জীবন মানে যন্ত্রণা হয়ে গেছে।
    – তাহলে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে অসুবিধা কি?
    – না সেটা না। আপনি আমার কথাটা ঠিক বুঝতে পারেন নি। আমার কথা হচ্ছে এর চিকিৎসা তো মেডিসিনের চিকিৎসকই করতে পারেন। খামোখা অন্য জনের কাছে গিয়ে লাভ কি?
    – তার আগে বলুন, আপনার এই যে উচ্চ-রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এ সবের জন্য তো আলাদা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছে। আপনি ওদের কাউকে কি দেখিয়েছেন?
    – না
    – কেন?
    – উনি (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) আমার আপন চাচাতো ভাই। আর, উনার চিকিৎসায় তো আমার প্রেশার, ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আছে। তাই, অন্যের কাছে যাওয়ার দরকার কি?
    – উনি কখনো বলেছেন অন্য বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে, তাদের পরামর্শ নিতে?
    – আসলে মাঝে মাঝে বলে, তবে জোর দিয়ে বলে নাই। নিজের ভাইকে ফেলে আরেকজনের কাছে কেন যাব?
    – এবার কি উনি জোর দিয়ে বলেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে?
    – হ্যাঁ, এবার কেন জানি জোর দিয়েই বলেছেন। আসলে উনি ওষুধ দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুশ্চিন্তা কমছে না। সব সময় কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগে। আর এর জন্য নাকি প্রেশার, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করাটাও পরে কঠিন হয়ে যাবে।
    – তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন মানসিক বিশেষজ্ঞ দেখাতে বলেছেন।
    – না তো!
    – দেখুন, সাধারণ অবস্থায় অন্য বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, এমন কি একজন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকও মনোরোগের চিকিৎসা করতেই পারেন; তাঁদের সে যোগ্যতা আছে। কিন্তু, জটিল ক্ষেত্রে অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট মাত্রার পরে এই চিকিৎসা অবশ্যই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। নয়তো রোগ দিনে দিনে খারাপ হতে পারে, আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। তবে সুযোগ থাকলে যে কোনো মানসিক রোগের প্রাথমিক অবস্থাতেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ।
    – কিছু মনে করবেন না। আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। দেখুন, আমার আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অনেক ডাক্তার আছেন। তো কিছুটা ধারণা আমারও আছে। আমি জানি, একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, মানে আপনাদের ভাষায় ইন্টারন্যাল মেডিসিন বলেন, মেডিসিনের সবকিছু নিয়েই পড়েন। কাজেই তারা অন্যের চেয়ে কম বুঝবেন এ কথা তো মেনে নেওয়া যায় না।
    – হা হা হা!  আপনি আমার কথার ভুল অর্থ করছেন। আমি কি বলেছি তারা কম জানেন?
    – তাহলে?
    – ধরুন, আপনার দেখার ইচ্ছে হলো পৃথিবীতে বাংলাদেশ ঠিক কোন জায়গায়। সেক্ষেত্রে একটা বিশ্ব-মানচিত্র আপনার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, ওই মানচিত্র ব্যবহার করে আপনি বলতে পারবেন না চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা কোথায় অবস্থিত। এর জন্য প্রয়োজন একটা চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র। আবার, বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়ন খুঁজতে আপনার প্রয়োজন হতে পারে বাঁশখালী উপজেলার মানচিত্র। অথচ, এর সবকিছুই তো বাংলাদেশের ভিতরে। কিন্তু, বিশ্ব-মানচিত্র ব্যবহার করে আপনি এর কোনোটাই বের করতে পারবেন না। তাই না? অর্থাৎ, আপনি যত গভীরে যাবেন, ঐ বিষয়ে আপনার জানা শোনার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।
    – বুঝলাম। কিন্তু, সাইকিয়াট্রি তো মেডিসিনেরই একটা অংশ।
    – ঠিক বলেছেন। তবে ব্যাপারটা অনেকটা মা-মেয়ের মতো। যেমন, মেয়ের বিয়ের আগে মেয়ে মার অধীনেই থাকে, মায়ের নির্দেশ বা পরামর্শ মতো পথ চলে। মেয়ের সম্পর্কে মাও প্রায় সব কিছুই জানেন। কিন্তু, বিয়ের পর মেয়ে যখন নতুন একটা সংসার তৈরি করে, অনেক কিছুই পাল্টে যায়। কারণ, পরিবর্তিত পরিস্থিতি। যে মেয়ে একসময় রান্নাঘরেই যেতো না, সে এখানে রান্নাবান্নার সবটুকুই সামলায়। আগে যে খাবার দেখলেই তার বমি পেত, এখন সেটাই মজা করে খায়। এরকম অনেক কিছুই। একই ব্যাখ্যা মেডিসিন ও মনোরোগবিদ্যা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর শুধু মনোরোগবিদ্যা নয়, একথা মেডিসিনের অন্যান্য শাখা যেমন- কার্ডিওলজি, রিউম্যাটোলজি, এন্ডোক্রাইনোলজি, নিউরোমেডিসিনসহ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
    – কিন্তু কথা তো ভাই একই। সেই একই ওষুধই তো লিখবেন। বেশি যা করবেন তা হলো কাউন্সেলিং।
    – এটা তো গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারদের মতো কথা হয়ে গেল। ওরা বুঝুক বা না বুঝুক, যে কোনো ওষুধ দিয়ে দেয়। কিন্তু সেটা তো খুবই ক্ষতিকর। ওষুধ লিখতে পারাটাই তো আর ডাক্তারি না। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুধু ওষুধ লিখেন না, রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে একটা সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রদান করেন, যার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, যে কোনো বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির ওই বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে (Knowledge), জ্ঞানের প্রায়োগিক দক্ষতা (Skill) আর সর্বোপরি প্রাসঙ্গিক মনোভাব বা আচরণ (Attitude)।  সুতরাং আপনি যা বললেন, ওষুধ লেখা, কাউন্সেলিং, এসব হচ্ছে সার্বিক ব্যবস্থাপনার এক একটা অংশ, একমাত্র বিষয় নয়। আর ব্যাপারটা কাউন্সেলিং নয়; হবে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা অর্থাৎ সাইকোথেরাপি।
    – হুমম, কথাটা ঠিকই বলেছেন। আমি এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি।
    – হয়েছে কি, কিছু নির্দিষ্ট বিষয় আছে। যেমন- হৃদরোগ, চক্ষুরোগ যেখানে ভুল চিকিৎসায় মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়; সেসব বিষয়ে কেউই না জেনে হাত দিতে চায় না। কিন্তু, যেসব রোগে আপাতদৃষ্টিতে ধরে নেওয়া হয় যে, খুব খারাপ কিছু হবে না, সেসব বিষয়েই অযাচিত হস্তক্ষেপ হয় বারবার। যেমন ধরেন, ডার্মাটোলজির কথা। বাংলায় যেটাকে বলা হয় চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ। বিভিন্ন চর্মরোগে ইচ্ছেমত ওষুধ দেওয়া হয়। হয়তো অল্প অল্প বুঝে অথবা কোনো কিছু না বুঝেই। ফলে, যেখানে শুধু ছত্রাকনাশক মলম দেওয়ার কথা সেখানে দেওয়া হচ্ছে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। আবার স্টেরয়েড ওষুধের জায়গায় শুধু ছত্রাকনাশক। ক্ষতি হচ্ছে রোগীর, তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতার। এই কথা আমার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বন্ধু প্রায়ই বলে।
    -আপনাদের বিভাগেও নাকি যৌন রোগের চিকিৎসা হয়?
    – হ্যাঁ। তবে সেটাকে বলা হচ্ছে মনোযৌন রোগ।
    – মানেটা কি?
    – বলতে গেলে তো এর মধ্যে অনেক কিছুই আছে। খুবই সংক্ষেপে বললে, যৌন সমস্যার একটা বিশাল অংশের মূলে থাকে অজ্ঞানতা, ভুল ধারণা, সেই সাথে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা এবং কারো কারো ক্ষেত্রে মানসিক রোগও। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসবে কোনো দৃষ্টি না দিয়ে সাময়িক কিছু ওষুধ দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়, যা যথার্থ চিকিৎসা নয়। Psychiatric Sex Clinic এসব বিষয়ে সহায়তা করে। অবশ্য এর বাইরেও আরো কিছু কার্যক্রম আছে।
    – আর চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে কি ধরনের যৌন রোগের চিকিৎসা করা হয়।
    – প্রধানত, যৌনবাহিত রোগের চিকিৎসা, ইংরেজিতে বলা হয় Sexually Transmitted Infections (STI)।
    – সে যাক। যেটা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আপনার কথা শুনেতো এখন কেমন এলোমেলো লাগছে সব।
    – যেমন?
    – এই যে, আপনার কথা থেকে বুঝলাম, যে যে বিষয়ের সমস্যা সে সে বিষয়ের বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা করাটাই ভালো। কিন্তু এতো ভাগাভাগি করতে গেলে রোগীর অবস্থা তো বারোটা বেজে যাবে।
    – সত্যিকার অর্থে ব্যাপারটা হলো এরকম- রোগী নয় রোগকে ভাগাভাগি করা হচ্ছে। আর এটার মূল উদ্দেশ্যই হলো বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে বিশদ ভাবে জানা, চিকিৎসাবিদ্যার উন্নতি সাধন। যার শেষ কথা রোগীদের আরও ভালো সেবা প্রদান।  আর জানেন তো, ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে – ‘Focus needs sacrifice’. একজন এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক সব বিষয় সম্পর্কেই মোটামুটি কিছু জ্ঞান রাখেন। কিন্তু, বিশেষজ্ঞ হতে গেলে, অর্থাৎ কোনো বিষয়ের গভীরে যেতে গেলে; স্বভাবতই তাকে তার নিজস্ব বিষয়েই বেশি দৃষ্টি দিতে হয়, চর্চা করতে হয়। তার বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়েও তাকে দৃষ্টি দিতে হয়, তবে সেটা অনেক কম পরিমাণেই। ফলে, অন্যান্য বিষয়ে কিছুটা বিস্মৃতি ঘটতেই পারে। সেই সাথে প্রতিদিনই প্রতিটা বিষয়ে নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে, নতুন নতুন ধারণা আসছে, পুরাতন অনেক কিছুই বাতিল হচ্ছে। যার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা অন্য বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞের পক্ষে সাধারণত সম্ভব হয় না। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার এবং সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞের বেলায় এই কথা প্রযোজ্য।
    – মানলাম। কিন্তু, রোগী কিভাবে সিদ্ধান্ত নেবে?
    – এইটা একটা সমস্যা আমাদের দেশে। কারণ, এখানে উন্নত দেশের মতো রেফারেল (Referral) এর নির্দিষ্ট কাঠামো গড়ে ওঠেনি। সেক্ষেত্রে, আপনার কাছের ডাক্তারকেই দেখাবেন। উনি দেখে প্রয়োজন অনুসারে বিশেষজ্ঞের কাছেই পাঠাবেন।
    – সে না হয় মানলাম। কিন্তু, আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়। ধরেন, আপনাদের মনোরোগের কথাই বলি। আপনিই বললেন যে, প্রাথমিক পর্যায়ে হলে তো ভালোই, তা না হলেও একটা সময়ের পর অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা নিতেই হবে। যথার্থ চিকিৎসার জন্য। কিন্তু, অন্য কেউ যদি নিজেই কোনো চিকিৎসা দিতে চান, আমি কিভাবে বুঝবো যে তিনি আসলেই এটা দিতে পারবেন কিনা, বা তাকে ভরসা করা যাবে কিনা?
    – এর উত্তর দেওয়াটা যথেষ্ট কঠিন। অন্তত আমার অবস্থান থেকে। যেহেতু, আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেরকম কোনো নিয়ম বা নির্দেশিকা বা অন্য কিছু কোথাও আমি পাইনি। এক্ষেত্রে আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে বিষয়টা ডাক্তার এবং রোগী উভয়ের উপরেই নির্ভর করে। চিকিৎসকের আত্মবিশ্বাস ও বিবেকবোধ ঠিক করে দেবে তিনি কোন রোগী দেখবেন, আর কোন রোগী অন্যের কাছে পাঠাবেন। আর রোগীরও থাকতে হবে তার সমস্যা সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক ধারণা এবং এর জন্য কার সহায়তা নেবেন তা বুঝতে পারার সাধারণ সক্ষমতা। এর বাইরে কোনো উত্তর আপাতত আমার জানা নেই।
    এভাবেই ভদ্রলোকের সাথে কথা গড়াতে থাকে সময়ের সাথে সাথে। আর যাত্রার সমাপ্তিতে ঘটে কথার সমাপ্তি।
    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য
    এম ডি (সাইকিয়াট্রি) ফেইজ-বি রেসিডেন্ট
    মনোরোগবিদ্যা বিভাগ,  বি.এস.এম.এম.ইউ


    প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।

    মানসিক রোগ
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleখেলাধুলায় আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা
    Next Article সুখী হোন বিবাহিত জীবনে: দাম্পত্য সম্পর্কে সহিংসতা ও শান্তি- পর্ব ৪
    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য। স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রাম। তবে, কলেজ শিক্ষক মায়ের চাকুরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে শৈশব। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং উচ্চ-মাধ্যমিক চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাসের পর সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। মেডিক্যালে পড়ার সময় থেকেই মনোরোগ নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহ। তাই, ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের চাকুরি শেষে ভর্তি হন মনোরোগবিদ্যায় এম.ডি(রেসিডেন্সি) কোর্সে। বর্তমানে তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত শিক্ষকতার ধারা বজায় রেখে চিকিৎসক ও শিক্ষক হওয়াটাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বই, সঙ্গীত আর লেখালেখিতেই কাটে অবসর সময়ের বেশির ভাগ। স্বপ্ন দেখেন - মেধা ও মননশীলতার চর্চায় অগ্রগামী একটা বাংলাদেশের।

    Related Posts

    পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    September 23, 2025

    পেশাগত জীবনে অলসতা কাটানোর উপায়

    September 13, 2025

    ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    September 10, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    ফিচার October 4, 2025

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সমাজে ভূত-প্রেত, জ্বিন, কালো যাদু নিয়ে শতাব্দীর পুরোনো লোকবিশ্বাস প্রচলিত। ছোটবেলা থেকেই…

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.