মানসিক প্রফুল্লতায় ‘জুম্বা’

0
125
মানসিক অস্থিরতা কমাতে সহায়ক কিছু কৌশল

প্রবাদ আছে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। বাস্তবেও শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ব্যায়ামের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্কও যে ব্যাপক তা গবেষণা দ্বারাই প্রমাণিত।

ম্যাচুরিটাস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্যায়াম- উদ্বেগ, চাপ এবং বিষণ্নতা হ্রাসে সাহায্য করা ছাড়াও শারীরবৃত্তীয় এবং ইমিউনোলজিকাল ফাংশনের উন্নতি সাধন করে।

জার্নাল অব হেলথ্ সাইকোলজিতে প্রকাশিত আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, অবসাদের সময় শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে তা অবসাদ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শারীরিক সক্রিয়তা অবসাদগ্রস্থ যে কোনো মানুষের অবসাদ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে একই সাময়িকীতে প্রকাশিত আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়, মানসিক বৈষম্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার এই প্রচেষ্টা বজায় রাখতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ব্যায়াম অবসাদ দূরীকরণে সাহায্যের পাশাপাশি এনডরফিন, সেরোটনিন এবং নরএপিনএফরাইন নামক নিউরোকেমিক্যাল উৎপন্ন করে যা মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং উদ্বেগ ও চাপ হ্রাস করে।

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় নাচ ‘জুম্বা’ অনুশীলনকারীদের অনুশীলনের আগের ও পরের মানসিক অবস্থা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ফটোগ্রাফার র‌্যাভেন বি. ভেরোনা অংশগ্রহণকারীদের নাচ অনুশীলনের আগে ও পরের ছবি তোলেন। এই ফটোজার্নালিজম সিরিজের উদ্দেশ্য ছিল ব্যায়ামের চিরায়ত ফল ওজন হ্রাস দেখা নয়; বরং অনুশীলনের পরে অনুশীলনকারীরা কেমন বোধ করছেন তা দেখা।

জুম্বা অ্যাসোসিয়েশনের সিইও আলবার্টো পার্লম্যান বলেন, প্রথমবার যখন আমি জুম্বা অনুশীলনকারীদের দেখেছিলাম তখন সবথেকে বেশি আমাকে অভিভূত করেছিল তাদের হাসিমাখা মুখ। তারা সবাই হাসছিল। যেনো মনে হচ্ছিল এই নাচের উদ্দেশ্যই হলো মনের সুখ প্রদান করা। সাথে ফিটনেস তো আছেই। বছর না পেরোতেই আমি জুম্বা অনুশীলনকারীরা কিভাবে তাদের কঠিন সময়ে এই নাচের সাহায্য নিয়েছে, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমাতে এই নাচ কতোটা সাহায্য করেছে তা জানতে পারি। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য যে, জুম্বা মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

নিচে অনুশীলনকারীদের অনুশীলনের আগে ও পরের ছবি দেয়া হলো। আপনারাই দেখুন একজন মানুষ এই নাচ অনুশীলনের পর কতোটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।

সুখ ও ইতিবাচক মনোবিজ্ঞানের গবেষক মিশেল গিলান বলেন, সুখ ও স্থিতিশীলতার বিজ্ঞান নিয়ে অনেক গবেষণার পর আমি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জুম্বার ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানতে পেরে মোটেও অবাক হইনি। অন্যান্য সকল ব্যায়ামের চেয়ে জুম্বা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে।

শারীরিক সক্রিয়তা- তা সে হোক জুম্বা, দৌড়, নাচ কিংবা যে কোনো ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করে। এ ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ যে মানুষের জন্য কতোটা উপকারী তা সকলকে জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন এই গবেষক।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

 

Previous articleইতিবাচক মানসিকতা অর্জনের সহায়ক কৌশল
Next articleনারী নির্যাতন ও মানসিক স্বাস্থ্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here