সাধারণত শিশুদের ১৩-১৯ বছরের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকাল আসে। বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণে তাদের মেজাজ খিটখিটে থাকে।
এ সময় অন্যদের প্রতি আচরণেও তাদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। এক্ষেত্রে বিশেষ শিশুরা সাধারণ শিশুদের থেকে আলাদা নয়। বিশেষ শিশুরাও নিজেদের মতো থাকতে চায়।
গবেষণায় দেখা যায়, বিশেষ শিশুদেরও এ সময় মেজাজ খুব ওঠানামা করতে থাকে। এমন আচরণকে মুড সুইং বলা হয়। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এমন কয়েকটি কৌশল আলোচনা করা হলো-
ভেবে চিন্তে কথা ভাবুন
সন্তানের আচরণ পছন্দসই না হলে, কথা শুনতে না চাইলে স্বভাবতই মেজাজ খারাপ হয়। রাগ হলেও এ সময় সন্তানকে কঠোর বা মন্দ কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি অনুসরণ করলে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে না।
নিজেকে শান্ত রাখুন
সন্তানের বয়ঃসন্ধির এ সময়টায় সর্বোচ্চ শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। মেজাজ হারানোর উপক্রম হলে বড় করে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। ধৈর্য ধরে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। খুব খারাপ লাগলে একা একা একটু সময় কাটান।
আবদারগুলো সন্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুন
সন্তানের আচরণ বা তার কোনো চাওয়া আপনার অহেতুক মনে হতে পারে। এই চাহিদার ওপর বিরক্ত না হয়ে আগে তার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবুন, এটি আসলেই যৌক্তিক কি না।
অভিভাবকদের একটি সাধারণ ভুল হলো সন্তানের মনের মধ্যে কী চলছে তা জানতে বা বুঝতে চান না। সন্তানের কোনো অযৌক্তিক আবদারে প্রথমেই নিষেধ না করে আগে জিজ্ঞেস করুন, কেন সে এই আবদার করল। এরপর ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে তাকে সাহায্য করুন।
স্বাধীনতা দিন
বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হতে দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যায় এবং এই পরিস্থিতিতে নিজস্ব জগতে সে একা একা থাকতে পছন্দ করে। এ সময় তাকে নিজেকে বুঝতে পারার সুযোগ দিন। পাশাপাশি তাদের জানান যে এ রকম সময় সবার জীবনেই আসে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে