Close Menu
    What's Hot

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Wednesday, July 2
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম June 30, 2025

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      Recent

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      সুস্থ ঘুমই সুস্থ জীবনের ভিত্তি

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ‘তারা যেন প্রিয় মাতৃভূমিকে ভালোবাসে ও কাজকে গুরুত্ব দেয়’-ড. এম অহিদুজ্জামান
    সাক্ষাৎকার

    ‘তারা যেন প্রিয় মাতৃভূমিকে ভালোবাসে ও কাজকে গুরুত্ব দেয়’-ড. এম অহিদুজ্জামান

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কDecember 5, 2021Updated:December 5, 2021No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

     

    তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, আইইআর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান। তার মুখোমুখি হয়েছেন ওমর শাহেদ

    কোন মানবিক গুণটি প্রতিদিনের জীবনে কাজে লাগে, আপনাকে ভালো রাখে?
    ধৈর্য্য। আমার ভেতরে এই গুণটি খুব বেশি। রাগ, শোক, বেদনা, দু:খ থাকে সবার। এই জীবনেও আছে। তবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটি করি। আপনজন না হলে তার ওপর রাগ করি না। পারিবারিকভাবে কোনো কিছু বললে বা করতে গেলে না করতে পারলে রাগ হই। শিক্ষকতা জীবনেও এটি আমার মধ্যে ঘটে। কিন্তু সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনে কারো ওপর রাগ করি না। তিনি যদি আমার চেয়ে নিচের স্তরে থাকেন, তাহলে কোনো বিষয়ে তার ওপর কোনো রাগ নেই। সাধারণ মানুষের বিপক্ষে রাগ করার মতো পরিস্থিতি হলে বা কোনো কারণে রেগে গেলেও এড়িয়ে যাই। আমার চেয়ে শক্তিশালী কেউ আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করলে হলে রাগ করি। তবে যে মানুষের ওপরই রাগ করি না কেন, তাকে বিপদে সহায়তা করা নিজের দায়িত্ব বলে মনে করি। সেভাবে অনেকের অসংখ্য উপকার করেছি। এতটুকু প্রতিহিংসা কারোর ওপরেই ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানিকভাবে নেই। কেউ কোনোদিন কোনো বিষয়ে আমার দিক থেকে ভিকটিম হন না। সে ভয় নেই। বরং অনেক বিষয়ে অনেকের কাছ থেকে ভিকটিম হয়েছি। এ দু:খজনক। নিজের ওপর রাগ লাগে তখন-যখন কর্মঘন্টাকে ব্যবহার করতে পারি না, কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে এগিয়ে বাধার মুখে করতে পারি না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আরো অনেক কাজ করতে পারতাম, সেগুলো এসব কারণে করা হলো না বলে খুব বেদনা আছে।

    জীবনের কোন লক্ষ্য পরিচালিত করে?
    সারাজীবনের মতো নিজের মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা এই দেশের মানুষের কাজে লাগাবো; দেশের কাজে আমার যোগ্যতা ও দর্শন ব্যবহৃত হবে-এই বরাবরের চাওয়া। কাজে রাগ হয়ে, প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করা হবে বলে মনে করি। ফলে এসব দিকে না গিয়ে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকভাবে পালন করে যাই। মূল কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখি।

    অভিমান হয়? কেন হয়?
    অভিমান হয়। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রব্যবস্থা, সরকার ও সরকার প্রধান এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে দায়িত্ব দেন ও দেশের স্বার্থে যেসব কাজ করি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে, সেগুলো তাদের সবার কারণে করতে না পারলে অভিমান তো হয়ই। কেননা, তারাও জানেন, ঠিকমতো করতে না দিলে আমার লক্ষ্য ব্যাহত হবে, ফলাফল না বোধক আসবে। তবে এই ক্ষেত্রেও মানুষের ওপর অভিমান নিয়ে বসে না থেকে, নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে কথা বলি। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি। অভিমান করে তো কাজে সাফল্য আনা সম্ভব হয় না। সেটি কী জানা? এখন সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেই আমার কাজ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদে অধ্যাপনা এবং ছাত্র, ছাত্রী; সহকর্মীদের নিয়ে দেশের, মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। সরকারী ও শিক্ষকতার তরফে প্রয়োজনে ছোট হয়ে কাজ করে যাই। যে লক্ষ্যগুলোতে আমার ও আমাদের জীবন পরিচালনা করি, সেগুলো পূরণের চেষ্টা সবসময় আমার থাকে। নিজের আত্মমর্যাদাবোধ সামান্যতম ক্ষুন্ন হোক-কোনোদিন চাই না। ছোটবেলা থেকে আমি অ্যাকটিভিস্ট। নিজেকে সবসময় বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কেষ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেছি। এই আলোকে রাগ ক্ষোভ, অভিমান বেদনা যাই হোক না কেন=নিজেকে পুর্নস্থাপিত করে নেই।

    ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আপনার স্বপ্ন? কীভাবে তাদের মধ্যে স্বপ্নের বীজ বুনে দেন?
    যে শিক্ষা আমি পড়াই শ্রেণীকক্ষে ও শ্রেণীকক্ষের বাইরে সবসময়ে-সেটি আসল শিক্ষা। ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-মানুষকে ও নিজের দেশকে সামর্থ্য দিয়ে সহযোগিতা করার মানসিকতা শিক্ষা দেই। আমার কাছ থেকে তারা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করবে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে উঠবে, দক্ষ পেশাজীবি, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাকর্মী হিসেবে আন্তর্জাতিক মান তৈরি করবে, সব মানুষের প্রতি সহযোগিতাপরায়ণ হবে, সময়কে ব্যবহার করতে শিখবে, নিজেকে সম্মান করার চর্চা করবে। জীবনে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা ও বিদ্যার গুরুত্ব তারা সবসময় এখানে পড়ে জানতে পারে আমাদের কাছে। আমি তাদের কাছ থেকে এই আশা করি, তারা যেন পরস্পরকে ভালোবাসে ও সহযোগিতা করে। প্রিয় মাতৃভূমিকে সর্বক্ষণ ভালোবাসে ও কাজকে গুরুত্ব দেয়। এই দেশের মানুষের অনেক দু:খ, কষ্ট আছে। তাদের প্রতি যেন তারা মমতাময় আচরণ করে। তাদের মধ্যে যেন আমার ও আমাদের শিক্ষা দেওয়া আদর্শ সবসময় কাজ করে। তারা যদি মানুষকে ভালোবাসে, তাহলে সেটিই আমার ধর্ম পালন করা হবে। আমি তাদের সবাইকে বলি-তোমরা তোমাদের সামর্থ্যকে কাজে লাগাও, এই দেশের শিক্ষা এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে গড়ে তোলো, মানুষকে বাঁচাও। মানুষের প্রতি তোমাদের সহযোগিতার হাত বাড়াও। বিদেশে পিএইচডি করেছি-ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম থেকে। সেটি পাহাড়ি এলাকা। বিদেশে মানুষের মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে সাহায্য নেবার অভ্যাসটি নেই। তারাও কিন্তু সহযোগিতা ফিরিয়ে দেন না। করলে বলেন, ওকে, ওকে। মহাত্মা গান্ধীর ভাষায় আমার ছাত্র, ছাত্রী ও সহকমীদের বলব, আপনাকে সহযোগিতা করার আমাকে একটি সুযোগ দিন। তারাও যেন অন্যের উপকারে, দেশের ও বিশ্বের ভালোর জন্য এভাবে এগিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে আছে-যার যেভাবে কাজে লাগে, তার জন্য তিনি নিজের সব বিলিয়ে দিতেন। এভাবে চলা আমাদের দায়িত্ব, আদর্শ শিক্ষা। ধানমন্ডি এলাকার সবচেয়ে গরীব বাড়িতে থাকতেন তিনি, কী খেতেন? নোয়াখালীতে ছাত্র, শিক্ষক, পুরো অঞ্চল ও এই দেশের জন্য আমি কাজ করেছি। তার আগে আমার জীবন, পরেও জীবন সেভাবে চলছে। ভালো কাজ ভাবা এবাদত। মানুষের খেদমত শ্রেষ্ঠ খেদমত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নি:স্বার্থে নিজের সবকিছুর বিনিময়ে দেশের মানুষকে ভালোবাসা। নোয়াখালীতে ও এখানে আমার কাজকে দেশের কাজ মনে করি। কোনোকিছু না পারলেও আমি আছি তোমার সঙ্গে-এটিই তো দারুণ শক্তি। তাতে একটি লোক এগিয়ে যান। ব্রিটেনে ও এ দেশে অসংখ্যবার প্রমাণ পেয়েছি। একান্ত অসুবিধা হলে আমার কাছে চলে এসো-এই কথাটি যে কত বড় শক্তি, তা কেবল ভুক্তভোগী ও সাহায্যদাতাই জানেন। আমার ছাত্র, ছাত্রীরা এভাবে তাদের জীবনবোধকে পরিচালিত করবে বলে আশা করি সবসময়।

    রাজনীতির নোংরা দিক আপনাকে স্পর্শ করতে পারে না কেন?
    আমাদের দেশের সর্বক্ষেত্র সর্বগ্রাসী দুনীতিতে আক্রান্ত। আমার দেখা নয়া চীনে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, দুনীতিবাজদের সবোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত। তথাকথিত রাজনীতিবিদদের মতো ক্লিকবাজি, রাত জেগে আমি কোনো অন্যায়ও করি না। আমি কারো ক্ষতি করি না। আল্লাহ আমার জন্য যা রেখেছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকি। সমাজের ভেতরে থেকেও আমি সমাজের অন্যায়গুলোকে প্রতিরোধ করি। চেষ্টা করে যাই। কোনোকিছু না পেলে মনকে বলি, ওটা আমার জন্য নেই। যেখানে তিনি যা রেখেছেন, সেজন্য হাজার শুকরিয়া আদায় করি। গ্রাম থেকে এই শহরে এসেছি, আজ পযর্ন্ত পৌঁছেছি। বাবার কাছ থেকে পেয়েছি সততার শিক্ষা। কোনো কাজে অসততা করি না। কারো কাছে বিক্রি হই না। কতটুকু ভালো কাজের সুযোগ আছে জেনে সেভাবে কাজগুলো করে যাই। বিদেশে আমার পিএইচডির সুপারভাইজর মনে করতেন, আমি তার দেখা সবচেয়ে মেধাবী। এই সম্মান নিয়ে পিএইচডি করেছি। রাজকীয় অতিথি হিসেবে সৌদী আরবে হজ্ব পালন করেছি। জাপানের বৌদ্ধদের সমিতি আমাকে শান্তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছে। তবে বাই দি বাই আমি শিক্ষা বিষয়ে এই আইইআরে ভর্তি হতে এসেছি। তাতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছি। শিক্ষকরা বললেন, তোমাকে শিক্ষকতা করতে হবে। সেটি চাইনি। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী হতে চেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। এরপর চরম নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী কমকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে জিতেছি। তারপরও তারা জোর করে আমাকে শিক্ষকতা পেশায় এনেছেন।

    রাজনীতি নিয়ে আপনার স্বপ্ন?
    দেশের কাজ করা, মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। আমি একজন দেশের কর্মী, অবস্থান আমার কাছে মুখ্য নয়। এখানে মানবতার জন্য কাজ করি। সবকিছু রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত বলে আছি, দেশের স্বার্থে এই পথ চলেছি।

    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে কী মনের মতো করে গড়ে তুলতে পেরেছেন?
    প্রধানমন্ত্রী বললেন, আপনি পারবেন। এরপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিলাম। বাধার মুখে একটি বছর কাজ করতে পারিনি। মোটে তিন বছরে যতটুকু কাজ করতে পেরেছি, তাতে পরিত্যক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অত্যন্ত যোগ্য ও সম্মানের আসনে বসিয়ে দিয়েছি। মনের মতো করে গড়ে তুলতে পারলে তো বিশ্ববিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠ একটি লানিং প্লেস হতো। তবে আমার হাতে প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, অনেকগুলো নতুন ও আধুনিক বিভাগ চালু করেছি। আমাদের আইইআর আছে। নিঝুম দ্বীপ আছে, উপকূলীয় এলাকা বলে ফিশারিজ, মেরিন সায়েন্স চালু করেছি। বিএনসিসি ভবন গড়ে দিয়েছি। এমনকি ভর্তির সময় নানা জায়গায় রেখে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হতো। স্থানীয় সমাজের মানুষদের নিয়ে সেগুলোও বন্ধ করেছি। হলগুলো তৈরি করেছি। সেখানে থাকার ব্যবস্থা করেছি।

    ছাত্র, ছাত্রী; শিক্ষক, কমচারীদের মানসিক বিকাশের জন্য কী কী করেছেন?
    প্রতিটি বিভাগে সহশিক্ষাক্রমিক কাযক্রম চালু করেছি। রোভার স্কাউটিং জোরদার করেছি। আমার মাধ্যমে ল্যাঙ্গুয়েজ, আলোকচিত্র, সঙ্গীত ক্লাব গড়ে উঠেছে। এখন সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আটটি ব্যান্ডদল আছে। অথচ গিয়ে দেখলাম, মাঠের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মাত্র কজন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছাড়া আর কেউ নেই। চেষ্টা শুরু করলাম। এখন ওখানে পহেলা বৈশাখ বিরাটাকারে হয়। আয়োজন করে বাংলা বিভাগ। তাদের এমন শিক্ষা দিয়েছি, তাতে তারা একটি টাকাও অতিরিক্ত খরচ করে না। স্বরস্বতী পূজাও বড়ভাবে হয়। প্রতিটি বিভাগে আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি করে কোটা করে দিয়েছি। তাতে এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও বেশি ছাত্র, ছাত্রী ভর্তি হয়। আলাদা একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ করে দিয়েছি। এই কাজও কাজ রাত আটটায় গিয়ে শুরু করে পরদিনই ধরেছি। আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিডিআরএনের ইন্টারনেট লাইন। ওখানে বিটিসিএলও আছে। কবিরহাট থেকে সরাসরি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। এটি না থাকলে চৌমুহনীর লাইন ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। তাছাড়াও আমরা নিজেদের জেনারেটর দিয়ে সারা বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পারি। সবই আমার হাতে গড়া।

    নেতৃত্ব দানের গুণ কীভাবে একজন মানুষ অর্জন করতে পারেন?
    ক্লাসরুমে আমি ‘গ্রেট ম্যান থিওরি’ পড়াই। নিজে বিশ্বাস করি-সবার মধ্যেই এই গুণ কম, বেশি আছে। মহামানবদের আদর্শ অনুসরণ, জীবনাদর্শ থাকা, মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, প্রোঅ্যাকটিভ থাকা-এই কাজগুলোর মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষ নেতৃত্বদান করতে পারেন। আমাকে বলা হয়েছিল, আপনি ভিসি এত কাজের দরকার কী? গাড়ি, বাড়ি আছে-উপভোগ করুন। তবে এই দেশকে এগিয়ে দিতে আমি কাজ করেছি। যেকোনো নেতাকেই ট্রান্সফরমেশনাল থাকতে হবে। এজন্য কমিটমেন্টের প্রয়োজন-আমি মানুষের জন্য করব। সেজন্য স্যাকরিফাইস লাগবে। সাহসের চেয়ে এটি বেশি প্রয়োজন হয়। কেননা, গ্রেট থিংকস মেইড ফ্রম গ্রেট স্যাকরিফাইস। এগুলো মহামানবদের জীবনে আছে। প্রজ্ঞা, মেধা ও ভালোবাসা থেকে যেকোনো মানুষ বড় হতে পারেন। দেশপ্রেম হলো যেকোনো মানুষের ঈমানি শক্তি। সেই অর্থে আমি একজন ঈমানদার মানুষ। আমি নিষ্ঠাবান মুসলমানও।

    (৪ ডিসেম্বর, ২০২১; আইআইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleহাবিপ্রবি’তে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা
    Next Article এনআইএমএইচে ভায়োলেন্ট রোগী ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    “হতাশার মধ্যেই থাকি, চব্বিশ ঘণ্টাই মানসিক চাপে থাকি”

    May 15, 2024

    সমাজে নৈতিক অবক্ষয় নৈতিক ও ভালো চরিত্রের ছেলেমেয়েদেরকেও নষ্ট করে দেয়

    December 12, 2023

    ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচানোর দায় সরকারের : ডা. জাফরুল্লাহ

    April 12, 2023
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025244 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 202133 Views

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    May 4, 202522 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 202216 Views
    Don't Miss
    ফিচার July 1, 2025

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    ডা. মাহবুবা রহমান এমবিবিএস, এমডি (চাইল্ড এন্ড অ্যাডোলেসেন্ট সাইকিয়াটি) রেজিস্ট্রার, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, মেডিক্যাল কলেজ ফর…

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.