জাতীয় পর্যায়ে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস’ উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার ( ২৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও অভিভাবকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার থিয়েটারের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে সচেতনতা মাস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান এনডিসি, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাইম, নর্দান গ্রুপের পরিচালক রফিক হাসান এবং আরটিভির ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর (প্রোগ্রাম) সৈয়দ মুনিরা ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তারা ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের অধিকার কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয় বরং এটি শরীরের একটি জেনেটিক পার্থক্য এবং ক্রোমোজোমের একটি বিশেষ অবস্থা। অন্যদের তুলনায় সাধারণত এরা দেরিতে বসে, কথা বলে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে। বাংলাদেশে দুই লাখেরও বেশি ডাউন সিনড্রোমে শিশু ও ব্যক্তি রয়েছে। এসব ব্যক্তি সমাজের অবহেলিত অথচ সঠিক যত্ন, পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম শিশুরা স্বাভাবিক শিশুদের মতো পড়ালেখা করে স্বনির্ভর হতে পারে।
আলোচনা সভা শেষে ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস উপলক্ষে প্রকাশিত তথ্যবহুল ব্রুশিয়ারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অফ বাংলাদেশ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসাপাতাল যৌথভাবে চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন করে।