Close Menu
    What's Hot

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    মডেল মানসিক হাসপাতাল, কুমিল্লায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপন

    খুলনা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Monday, October 13
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 13, 2025

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

      Recent

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

      কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

      মডেল মানসিক হাসপাতাল, কুমিল্লায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপন

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home »  কোভিডকালীন বাস্তবতা কেমন হবে অভিভাবকত্ব
    করোনায় মনের সুরক্ষা

     কোভিডকালীন বাস্তবতা কেমন হবে অভিভাবকত্ব

    প্রতিবেদক, মনের খবরBy প্রতিবেদক, মনের খবরOctober 12, 2021No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
     কোভিডকালীন বাস্তবতা কেমন হবে অভিভাবকত্ব
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    দৃশ্য: ১

    জেরিন শহরে থাকে, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। স্কুল খোলা থাকার সময় বিভিন্ন ব্যস্ততায় কেটে যেত সময়। আর অবসর কাটত মোবাইল আর ল্যাপটপে ভিডিও গেইম খেলে। প্রথম দিকে করোনার জন্য ছুটি পেয়ে ভেবেছিল কোথাও বেড়াতে যাবে। তার বান্ধবীরা ঠিকই কক্সবাজার থেকে ঘুরে এসেছে। কিন্তু এরপরেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে কোথাও আর বেড়ানো হলো না। এখন ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে বিরক্ত লাগছে তার। ফলে ভিডিও গেইম নিয়েই কাটছে দিনরাত।

    দৃশ্য: ২

    আকবর গ্রামে থাকে। খেলার মাঠেই তার বেশি সময় কাটত এতদিন। কিন্তু গ্রামে বিদেশ ফেরত আসায় বাবা-মা আর বাইরে বের হতে দেয় না কোনোভাবেই। সে প্রায় দিনই ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে মায়ের কানের কাছে। একটু বের হলে কি হয়। আচ্ছা, সে কারো সঙ্গে খেলা করবে না, এমনিতে একটু কথাবার্তা বলে আসবে। কিন্তু তার বাবা-মা পাশের উপজেলায় করোনা পজিটিভ প্রবাসী আছে শুনে আতঙ্কে বের হতে দিতে রাজি না। বিশেষত ছেলের ওপর ভরসা নেই বিন্দুমাত্র। ছাড়া পেলেই কোথায় না কোথায় যায় ঠিক নেই।

    দৃশ্য: ৩

    সোহানা তার পরিবারের সঙ্গেই আছে আপাতত ঘরবন্দি হয়ে। তাদের বাসায় একসঙ্গে অনেকেই থাকে। কিন্তু সবার মধ্যেই যেন চাপা আতঙ্ক। বড়োরা দিনরাত টেলিভিশনের সামনে করোনার খবর নিয়ে ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে ভাইয়ারাও যোগ দেয়, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে। দিনরাত সারাক্ষণ ‘করোনা’ আর ‘করোনা’। ছোটোরা কেউ একটু শব্দ করলেই বা লাফালাফি করলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে থামাতে। বাবাকে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়। তাকে নিয়েও সবাই উদ্বিগ্ন। ঘরে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার মাখা, এরপর গোসল করা এসব এখন প্রাত্যহিক বিষয়। তিনিও বাইরে থেকে এসে যা যা শুনে এসেছেন তা নিয়েই আলোচনা করেন। ধীরে ধীরে সোহানার মনে হচ্ছে, তারা কেউই বাঁচতে পারবে না এই করোনার হাত থেকে। তার বুক ধড়ফড় করতে থাকে, নিশ্বাস আটকে আসতে থাকে একদিন এবং কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান হারায়। করোনা নিয়ে এভাবেই কাটছে আমাদের পরিবারের ছোটো সদস্যদের বর্তমান দিনকাল। তারা অল্পদিনেই যেন হাঁপিয়ে উঠছে এই অবরুদ্ধ জীবনযাপনে। এমনিতে অন্য সময় হলে খুশিই লাগত এত লম্বা একটা বিরতি পেয়ে। কিন্তু এখন সময়টা কেমন যেন উপভোগ্য হচ্ছে না। বড়োদের অস্বস্তি, অশান্তি হয়ত একটা কারণ। বড়োদেরও যেন একই সমস্যা। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে এইসব বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, তাদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা এবং তাদের বিভিন্ন আবদার বা যন্ত্রণা সহ্য করার সমস্যা। তাই এই অবরুদ্ধ সময় শিশু-কিশোরদেরকে নিয়ে কীভাবে সময় কাটানো যায় সেটাই আজকের লেখার উদ্দেশ্য। সত্যিকার অর্থে, এখানে আমরা শুধু কী কী করা যায় তার একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই, প্রথমেই কয়েকটি বিষয় আমাদেরকে ব্যাকরণের ‘নিপাতনে সিদ্ধ’ বা ‘জ্যামিতির সূত্র’র মতো মেনে নিতে হবে বা মনে গেঁথে রাখতে হবে। ওদেরকে নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ঘরের বাইরে বের হবার অনুমতি দেয়া যাবে না। যেমন, ভালো লাগছে না তাই একটু দেখে আসি কী হচ্ছে বা একবার গিয়েই চলে আসব এমন অনুরোধে সাড়া দেয়া যাবে না। সবসময়ের জন্য বাচ্চা বা শিশুকিশোরদের লালনপালনের যে নীতি, তার থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। যেমন- কিছু তো করার নেই এ কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও গেইম খেলতে বা টিভি দেখতে দেয়া যাবে না। কিংবা এখন তো স্কুল নেই, লেখাপড়া নেই, তাই রাত জাগা বা বেশি বেশি ঘুমালে সমস্যা নেই এমন ভাবা যাবে না। শিশুকিশোরদের নিয়ন্ত্রণ করতে সময়ে সময়ে উপস্থিতবুদ্ধি প্রয়োগই প্রধান সমাধান। শুধু নির্ধারিত সূত্র দিয়ে বা কোনো একটা গৎবাঁধা ফরম্যাট দিয়ে সবক্ষেত্রে বা সবসময় কাজ হবে না।

    আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে Quality Time বা কার্যকরী সময় নিশ্চিত করার বিষয়ে। তাহলে, কী করা যায় বা কী করণীয়। আসুন সে সম্পর্কে কিছু সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করি:

    প্রথমতঃ আমাদের চেষ্টা করতে হবে ওদেরকে বিভিন্ন রকম কর্মকান্ডে ব্যস্ত রাখতে। এগুলো হতে হবে ওদের কাছে মজাদার, ওদের বেশ সময় কাটবে এমন, প্রতিদিনই অল্প অল্প করে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনের অনেক কিছু এবং সেখানে আপনাদেরও উপস্থিতি থাকবে। যেমন হতে পারে-

    কিছু ঘরোয়া খেলাধুলার আয়োজন ঘরের সবাই মিলে ছোটো ছোটো খেলা চালু করা যায়। যেমন- লুডু, দাবা, ক্যারাম প্রভৃতি। তবে, সংক্রমণের কোনো কারণ থাকতে পারে বলে মনে হলে সেক্ষেত্রে খুব কাছে না এসেও খেলা যায় এমন খেলাকে উৎসাহিত করা যায়। যেমন- হতে পারে লুকোচুরি খেলা। তবে খুব বেশি সময় ধরে এ ধরনের খেলা চালিয়ে যাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। এছাড়া ঘরে যদি খালি জায়গা থাকে তবে ফুটবল, ক্রিকেটও খেলা যায়। এসব বিষয়ে ছোটোখাটো টুর্নামেন্টও আয়োজন করে ফেলা যায় নিজেদের মধ্যে। কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে অংশগ্রহণ।

    যেমন- বই পড়া প্রতিযোগিতা, উপস্থিত গল্প বলা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কার্টুন আঁকা, শব্দজব্দের আয়োজন, সুডোকু খেলা, ধাঁধা খেলা প্রভৃতি। এসব কাজে অংশগ্রহণ করলে চিন্তাশীলতার চর্চা যেমন হবে, তেমনি সময়ও কাটবে ভালো। আর এসব বিষয়ে একবার আগ্রহ জন্মালে অল্পতেই বিরক্ত হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। কিছু বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যেমন- একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখা, নাটক দেখা, নির্ধারিত শব্দ দিয়ে গান গাওয়ার আসর, বালিশ খেলা, চেয়ার খেলা প্রভৃতি। কিছু শারীরিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যেমন শারীরিক ব্যায়াম করা, যোগ অভ্যাস করা, ঘরদোর পরিষ্কার করা, ঘর গুছিয়ে রাখার কাজ করা প্রভৃতি। কিছু নিয়মিত কর্মকান্ডে সময় ব্যয় করা আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে পড়তে বসা, খাবার খাওয়া, ঘুমাতে যাওয়া, ঘুম থেকে ওঠা, নামাজ পড়া বা প্রার্থনা করা। এগুলোতে যেন নিয়মের খুব একটা ব্যতিক্রম না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত। কেননা জীবন যাপনের পদ্ধতিতে যদি একবার পরিবর্তন চলে আসে তবে তা স্বাভাবিক করতে পরবর্তীতে অনেক বেগ পেতে হতে পারে। অন্যদিকে, এই সময়টাকে ব্যবহার করতে পারেন আপনার সন্তান যদি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে। যেহেতু, এই সময়টাতে আপনিও বেশি সময় ঘরে থাকছেন, তাই সরাসরি তদারকি করতে পারবেন আরো ভালোভাবে। তবে বিষয়টিকে চাপাচাপি বা জোরাজুরির পর্যায়ে না নেয়াই ভালো। অন্যের জন্য ভাবতে অভ্যাস করান এই সময়ে তাদেরকে অন্যের জন্য ভাবতে অভ্যাস করান। যেমন- ফোনে আত্মীয়-স্বজনের খবর নেয়া, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রথম সারির যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লেখা প্রভৃতি। তাদেরকে দায়িত্ব নিতে শেখান এই অবসরে। পরিবারের বড়ো সদস্যরা নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা এটা তদারকির ভার ওদের হাতে দিতে পারেন। দেখবেন এটাই ওদের কাছে একধরনের খেলার মতো হয়ে দাঁড়াবে। বাইরে থেকে বড়োরা এলেই স্যানিটাইজার এগিয়ে দেয়া, হাত-মুখ ধুতে স্মরণ করিয়ে দেয়া, বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নেয়া হয়েছে কিনা এ ধরনের কাজগুলো দেখবেন খুব হইচই করেই তারা করবে। এতে ওদের নিজেদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়বে, সময় ভালো কাটবে, এবং বড়োদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।

     

    দ্বিতীয়তঃ এই সময়টা হতে পারে পরিবারের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর একটা মাধ্যম। এটাকে সঠিকভাবে ব্যবহারে উদ্যোগী হতে পারেন। যেমন- হতে পারে আপনার সন্তান আপনার সঙ্গে প্রায়ই জেদ করে, আপনাকে ভুল বোঝে, বেশি অভিমানী। হতে পারে আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি এত তীব্র যে তা ছোটোদের মনেও সমস্যা করে। হতে পারে আপনার ব্যক্তিত্বের চাপে কিংবা ব্যস্ততার কারণে ওদের সঙ্গে আপনার একধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অথবা এসবের কোনো কিছুই না, শুধু ব্যস্ততার কারণেই আপনার মনমতো করে ওদের আদর-যত্ন করতে পারেননি এতদিন। সেক্ষেত্রে এটাই উৎকৃষ্ট সময়। কথা বলুন, গল্প করুন, ওপরে বলা কর্মকান্ডে একসঙ্গে সময় কাটান। তাদেরকে গল্প বা আড্ডার ছলে আপনার নিজের জীবনের কথা জানান। কীভাবে আপনি আগে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন, কীভাবে দুর্যোগে-বিপদে নিজের মনোবল ধরে রেখেছিলেন, জীবনে সুখের বা দুঃখের সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন। তাদেরকে বলতে পারেন আপনার জীবনের ভুল থেকে কী কী শিক্ষা পেয়েছেন, কীভাবে অপ্রাপ্তির বেদনা বা হতাশা মেনে নিয়েছেন। এই তো সময় তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার, সেখানেও কিছু সময় ব্যয় করুন। জানতে চান তাদের স্বপ্ন কী, তারা কী ভাবে, কী চায় তাদের মন। এই তো সময় তাদেরকে আরো ভালো করে বোঝার, কাছে টানার।

    তৃতীয়তঃ খেয়াল রাখুন তারা কোনো কারণে কোনো মানসিক চাপের শিকার হচ্ছে কিনা। আপনাদের আলাপ-আলোচনায়, কথা বলার ভঙ্গি, ভয় দেখানো কিংবা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে কিনা। সেক্ষেত্রে আপনিও কিছু সময় করোনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে আতঙ্কের পরিবর্তে সচেতনতা তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করুন। প্রশ্নগুলো অবান্তর বা ভুল হতে পারে, তবু শুনুন। সব প্রশ্নের যে উত্তর দিতেই হবে তা নয়, তবে ওদের প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন সেটা নিশ্চিত করুন। তাদেরকে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করতে দিন এবং সেগুলোতে যথাযথ সাড়া দিন।

    চতুর্থতঃ যদি তারা কথা না শোনে বা আপনার পরিকল্পনা অনুসারে আগাতে না চায় অথবা বিরোধিতা করে তাহলে কী করবেন সেটা ঠিক করে নিন। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ে যেসব নিয়ম মেনে এগোনোর কথা বলা হয় সেভাবেই এগোনো ভালো। যেমন- বিস্তারিত বুঝিয়ে বলা, আপনাদের যৌক্তিক চাওয়াগুলো সহজভাবে তুলে ধরা, প্রভৃতি। এরপরেও কথা না শুনলে মনস্তাত্ত্বিক কিছু শাস্তি দেয়া। মনস্তাত্ত্বিক শাস্তির বিষয়টি একটু জটিল। যেমন- কেউ যদি টিভি দেখতে পছন্দ করে তবে তার টিভি দেখার সময় কমিয়ে দেয়া এবং বুঝিয়ে বলা যে তুমি এই কাজটা করোনি বলে তোমার টিভি দেখার সময় কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।

     

    পঞ্চমতঃ নিজেকেও বদলান যদি নিজের কোনো সমস্যা থাকে। বাচ্চারা মূলত বাবা-মাকেই অনুসরণ করতে করতে আচরণ শেখে। নিজে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রিত জীবনে অভ্যস্ত করতে পারবেন না। টিভির সামনে সারাদিন বসে বসে করোনা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখালে অথবা নিজে অস্থির-অশান্ত হয়ে থাকলে বাচ্চারাও উৎকণ্ঠিত হবে, অশান্তিতে ভুগবে। নিজে যদি ঘরে সহিংসতা দেখাই বা আগ্রাসী বা উত্তেজিত আচরণ করি তাহলে বাচ্চাদের মধ্যেও অচিরেই সেসব জায়গা করে নিবে। তাই, আবারো বলি বাচ্চার কাছ থেকে সঠিক আচরণ চাইলে নিজে আগে সঠিক আচরণ দেখান, নিজে শান্ত থাকুন।

     

    তবে সব কথার শেষকথা, অস্থির এই সময়ে কিছু সমস্যা হবেই। বিশেষত, যারা আগে থেকেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে অভ্যস্ত অথবা যেখানে আগে থেকেই মা-বাবার সাথে সন্তানের মানসিক দূরত্ব আছে। তবে সমস্যা আছে বলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং ভাবতে পারেন, এই অস্থির সময়টা আসাতে নিজেদের ভুলগুলো চোখে পড়ল। সমস্যা তো চিহ্নিত হলো। আগামীতে সমাধান আসবেই। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার এই সময়টুকু কাটুক আমাদের মানসিক দূরত্ব কমানোর চেষ্টায়।

     

    ডা. পঞ্চানন আচার্য্য

    সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,

    মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

     

    সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ৫ম সংখ্যায় প্রকাশিত।  

    স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

     

    “মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

    করোনা করোনাভাইরাস মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleলকডাউন পরবর্তী মানসিক চাপ এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু কার্যকরী টিপস
    Next Article সবচেয়ে মূল্যবান এবং দুর্লভ যে জিনিসটি পেয়েছি সেটা হলো ভালোবাসা
    প্রতিবেদক, মনের খবর

    Related Posts

    মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতায় ঢাকায় হাফ ম্যারাথন আয়োজিত

    October 11, 2025

    মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার না দিলে একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব নয়

    October 11, 2025

    পেশাগত জীবনে অলসতা কাটানোর উপায়

    September 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 13, 2025

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রংপুর মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগ এক বর্ণাঢ্য বৈজ্ঞানিক…

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    মডেল মানসিক হাসপাতাল, কুমিল্লায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপন

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.