আপনার কি কখনো মনে হয়েছে যে কাউকে কোন কথা বলতে গিয়ে আপনার মন সায় দিচ্ছেনা বা কাজটিকে কঠিন বলে মনে হচ্ছে? তাহলে নিচে বর্ণিত কৌশল গুলো আপনার জন্যই।
অধিকাংশ সময় আমরা দুটি কারণে সাধারণত কাউকে কোন কথা বলতে সংকোচ বোধ করি বা বলাটা কঠিন মনে হয়। একটি হল, আমরা হয়তো ভাবি যে সামনে থাকা ব্যক্তি আমাদের কথায় কষ্ট পেতে পারেন, আমরা হয়তো তার অনুভূতিতে আঘাত করছি। আর দ্বিতীয় কারণটি হল, আমাদের মনে হয় যে কথাটি শুনে সেই ব্যক্তি হয়তো রেগে যাবেন। অর্থাৎ মূল কথা হল, আমরা ভেবে নেই যে কথাটি বলার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের সৃষ্টি হবে। আর এ কারণেই আমরা সংকোচ বোধ করি এবং জরুরী অনেক কথা বলাই কঠিন হয়ে যায়। আপনিও যদি এমন অবস্থার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে নিচে বর্ণিত কৌশল গুলো আপনাকে এই সংকোচ থেকে মুক্তির উপায় দেখিয়ে দেবে এবং আপনি এই সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে নিতে পারবেন। এতে করে বক্তা এবং শ্রোতা দুজনার জন্যই বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।
১) প্রথমত আপনি যা কিছু বলুন না কেন, কিভাবে কথাটি আপনি বলছেন সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি টেক্সট মেসেজ, ই-মেইল বা পোস্ট, এগুলো সবই দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার বেশ সহজ সমাধান। আর কথাটি যদি সত্যিই শ্রোতাকে মানসিকভাবে আঘাত দেবার মতো কোন কথা হয় তাহলে সব সময়ই প্রচেষ্টা করা উচিত সামনে গিয়ে তাকে কথাটি বলা। “আপনাকে বরখাস্ত করা হল”, “আপনি টেস্ট পসিটিভ”, “ আমাদের সব সম্পর্ক এখানেই শেষ” কিংবা “ আপনার আদরের বিড়ালটিকে কোন গাড়ি চাপা দিয়েছে” এমন কষ্টদায়ক কথা গুলো চেষ্টা করুন সামনা সামনি বলার।
২) কথাটি বলার আগে বেশ কয়েকবার অনুশীলন করে নিতে পারেন। কয়েকবার লিখে এবং বলে কথাটি সহজে বলার জন্য বিভিন্ন শব্দ সংশোধন ও পরিমার্জন করে নিতে পারেন। এমনকি অন্য কাউকে বলে কথাটি সহজে বলার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করে নেওয়ার প্রচেষ্টা করতে পারেন। এতে কথাটি বলা সহজ হবে।
৩) কথাটি বলার জন্য উপযুক্ত সময় এবং একান্ত স্থান নির্ধারণ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে, কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে কখনোই মানসিক চাপ বৃদ্ধি করার মতো কথা বলা উচিত নয়।
৪) কখনোই লোকজনের সম্মুখে এমন কোন কথা বলা উচিত নয় যাতে তিনি লজ্জা পেতে পারেন বা অসম্মানিত বোধ করতে পারেন। তার সম্মান এবং আবেগের মূল্যায়ন অবশ্যই করুন।
৫) সব সময় নিজের মানসিক অবস্থা, ইচ্ছা বা উদ্যেশ্যের পাশাপাশি শ্রোতার ম্মানসিক অবস্থা এবং আবেগের কথা মাথায় রাখুন। যে কথাটি সরাসরি না বললেও চলে সেটিকে উদাহরণ দেবার মাধ্যমে সহজে বুঝিয়ে বলতে পারেন। এতে একটি সামঞ্জস্য পূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
এভাবে একে অপরের মন এবং অনুভূতির খেয়াল রেখে যখন কোন কথা বলা হবে তখন অবশ্যই সেই কথাটি বলা সহজ হবে এবং ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে