আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস

0
141

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর আট লক্ষেরও অধিক লোক আত্মহত্যা করে থাকে অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন করে। এবং যত মানুষ মারা যায় তার চাইতে ২৫ গুণ বেশি মানুষ নানা ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকে। এবং এমনটি ঠিক তখনও ঘটছে যখন আমরা জানি যে আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। “কানেক্ট, কমিউনিকেট, কেয়ার” আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০১৬-এর মূল প্রতিপাদ্য। এই তিনটি শব্দই হলো আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রাণশক্তি।
কানেক্ট
সংযুক্ত হতে হবে তাদের সাথে যারা আত্মহত্যাজনিত কারণে তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। যদিও প্রতিটি আত্মহত্যা ভিন্ন ভিন্ন কারণে সংগঠিত হয়ে থাকে তথাপি কিছু সাধারণ কারণ সব আত্মহত্যার পেছনেই বিদ্যমান। আত্মহত্যা করেছে এমন মানুষদের স্বজনরা আমাদের সেইসব সাধারণ কারণগুলো বুঝতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া যারা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহযোগিতা করেছে এমন ব্যক্তিগণের মাধ্যমে সামনে এগুনোর পথ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। আত্মহত্যাজনিত কারণে ভুক্তভোগী এমন ব্যক্তিবর্গের সমন্ময়ে একটি পুর্ণাঙ্গ নেটওয়ার্ক গঠন আত্মহত্যা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এই সংযুক্তি যারা আত্মহত্যা করতে গিয়ে বিফল হয়েছে তাদের পুনরায় আত্মহত্যা করার ইচ্ছা থেকে বিরত রাখবে এবং যারা আত্মহত্যার ইচ্ছা পোষণ করে বলে মনে হয় তাদের উপর নিয়মিত দৃষ্টি রাখতে সহযোগিতা করবে। যা আত্মহত্যার ঝুঁকিকে অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
কমিউনিকেট
খোলামেলা আলাপ আলোচনা এবং যোগাযোগ আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়ক। অনেক সমাজে আত্মহত্যার বিষয়ে নিরবতা অবলম্বন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের মিথ ও কুসংস্কারের কারণে এমনটা ঘটে থাকে। এসব মিথ ও কুসংস্কার দূরীকরণসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ইস্যুর মতো আত্মহত্যা ইস্যুটিও আলোচনায় আনতে হবে এবং অবশ্যই তা সতর্কতার সাথে। আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ব্যক্তিবর্গের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং কোনোরূপ সিদ্ধান্ত আরোপ ব্যতীত তাদের কথা মনোযোগের সাথে শুনতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমকে আত্মহত্যা বিষয়ক সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে তা প্রচার করতে হবে।
কেয়ার
আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ব্যক্তিগণের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। নীতি নির্ধারক এবং পরিকল্পনাকারীগণকে আত্মহত্যার বিষয়টি স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
আজ ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করছে এসব সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের দিকে দৃষ্টি রাখুন এবং সংযুক্ত হোন যারা আপনার সমাজে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ধরে রাখতে পারে একটি জীবন প্রদীপ।
ইন্টারন্যাশলা এসোসিয়েশন অব সুইসাইড প্রিভেনশনের এবারের প্রতিপাদ্য অবলম্বনে (সংক্ষেপিত)
মূল লেখার পিডিএফ কপি সংগ্রহ করতে এখানে ক্লিক করুন

Previous articleআমাদের শিশু ও তাদের ভাষা সমস্যা
Next articleনেশা কি চাইলেই ছাড়া যায়?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here