অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি) একটি উদ্বেগজনিত রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বে প্রায় ১.২ শতাংশ লোক ওসিডিতে ভুগতেছেন। সিলেটে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ‘অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার : এ হিডন এপিডেমিক’ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও ইন্টিগ্রেটেড টিচিং প্রোগ্রাম নামক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন আলোচকরা।
মেডিকেল ডিসএ্যাবিলিটির প্রধান দশটি রোগের মধ্যে ওসিডি অন্যতম। সচেতনতার অভাব এবং কখনও কখনও ব্যতিক্রমধর্মী উপসর্গের কারণে মানসিক রোগের ব্যাপকতার দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত রোগীর বড় একটি অংশ অপ্রকাশিত অবস্থায় থেকে যাচ্ছে। যার ফলে জীবনধারার মান এবং কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ওসিডি সমস্যা সমাধান ও এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ধারণা প্রদানের উদ্দেশেই বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বহির্বিভাগে প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে ওসিডি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগ এর উদ্যোগে ‘অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার : এ হিডন এপিডেমিক’ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও ইন্টিগ্রেটেড টিচিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সিলেট এম এ জি ওসমানী কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. আর কে এস রয়েল সভাপতি হিসেবে ছিলেন। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাওসার আহমদ। ওসিডির বিভিন্ন দিক সহ মেডিকেল ও সাইকোলজিক্যাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএসএমএমইউর মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ওসিডি ক্লিনিকের কো-অর্ডিনেটর ডা. সুলতানা আলগিন। আর কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী।
এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক, কলেজটির ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এন কে সাহা, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ রেজাউল করিম, অধ্যাপক ডা. গোপাল শঙ্কর দে, অধ্যাপক ডা শফিকুর রহমান, ডা. দীপেন্দ্র নারায়ন দাস, ডা. সিদ্ধার্থ পাল, ডা. সুস্মিতা রায়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট সিলেট শাখার অন্যান্য সদস্যরা সহ সিলেটের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, রেসিডেন্ট, ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকরা।
অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে বিশ্বে প্রায় ১.২ শতাংশ লোক ভুগছে
Previous Articleস্পর্শকাতর মানুষগুলোকে যেভাবে ভালো রাখবে
Next Article মনের আবেগের সঙ্গে ভাষার সঙ্গতি এবং অসঙ্গতি