গর্ভকালীন অবস্থায় যেকোনো নারী হালকা বা তীব্র বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে প্রথম সন্তান নেওয়ার সময় এ পরিস্থিতি দারুণ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিচিত্র সব আবেগময় পরিস্থিতির সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে। একই সঙ্গে মা হওয়ার আনন্দ এবং আগত সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তার মতো বিপরীতমুখী আবেগের সম্মুখীন হয়ে থাকেন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময়টাতে বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠতে নারীদের বিশেষ প্রস্তুতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। এখানে তারা শেখাচ্ছেন করণীয় প্রসঙ্গে।
১. যদি কর্মব্যস্ত নারী হয়ে থাকেন, তবে বিশেষ উপায়ে বিশ্রাম নিতে হবে। যাদের সংসার সামলানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের কিছু সময় দেহ ও মনকে বিশ্রাম দিতে হবে। কাজের কথা ভুলে যান। পা দুটো একটু ওপরে তুলে শুয়ে থাকুন। বালিশ বা অন্য কিছুর ওপর পায়ের ভার চাপাতে পারেন।
২. মানসিক চাপ কমানোর আরেকটি উপায় হলো ঘাম ঝরানো। শরীরচর্চার মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারবেন। ইয়োগা প্রশিক্ষক জোতি এম জানান, গর্ভকালীন সময়ে ভারী ব্যায়াম করাটা উচিত নয়। ট্রেডমিলে দৌড়াতে পারেন। হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করুন।
৩. সতেজ বাতাস এবং অনেক সকালের সূর্যের উত্তাপ নিন। এই দুটো উপাদান মন-মেজাজ ভালো করে দেয়। বাড়ির আশপাশের পার্কে বা বাগানে হেঁটে আসুন। নিমিষেই সতেজ লাগবে।
৪. বিষণ্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। গর্ভকালীন অবস্থা নিয়ে আপনার মনে অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। মনে কি ভাবনা আছে তা কোনো গাইনাকোলজিস্টের সঙ্গে আলাপ করুন। স্বামী বা কাছের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন।
৫. এ পরিস্থিতিতে স্পা ও ম্যাসাজ খুব কাজে দেয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। পানি দেহকে শান্তি দেয়। বহু স্পা সেন্টার রয়েছে যারা গর্ভবতীদের জন্যে বিশেষায়িত স্পা দিয়ে থাকে। পেশীর জড়তা দূরীকরণ, মিউজিক থেরাপিসহ নানা সেবা মেলে স্পা সেন্টারে।
৬. ব্যস্ততার কারণে হয়তো স্বামীর সঙ্গে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়ে ওঠে না। নতুন অতিথি আগমন উপলক্ষে এ সুযোগ হারাবেন না। কয়েক দিনের জন্যে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। যাবতীয় স্ট্রেস দূর হয়ে যাবে। অনেক হালকা বোধ করবেন।
৭. এ সময়টাতে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। মাঝে মাঝে শপিং করতে যান। বেশি বেশি ঘুম দিন। যাবতীয় সময় নিজেকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত থাকুন। অনেক বিষয়কে ‘না’ বলতে শিখুন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া