অনেক দেশেই লকডাউন তুলে নেয়ার ফলে পুনরায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশে পুনরায় কঠোর বা শিথিল লকডাউনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ইত্যাদি সামাজিক বিচ্ছিন্নতার পদ্ধতিগুলো দীর্ঘদিন মেনে চলতে হবে।
ইতোমধ্যেই এই নতুন সামাজিক ব্যবস্থাপনার কারনে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে অবসাদ বা ক্লান্তি। মনোবিশেষজ্ঞদের উপদেশ অনুযায়ী কয়েকটি বিষয় পালন করলে প্রাথমিক পর্যায়ের অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
★কোভিড-১৯ প্রতিরোধের সামাজিক ব্যবস্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্দয় ব্যবস্থাপনাটি হল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। এর আবির্ভাবের প্রথম থেকেই সবচাইতে বেশি প্রচারিত সতর্কবাণী হলো করমর্দন করা যাবে না, কুলাকুলি করা যাবে না, বা এক কথায় অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ইতিবাচক স্পর্শ আমাদের শরীরে ডোপামিন, সেরোটনিন, অক্সিটোসিন নামের রাসায়নিক ও হরমোন নিঃসরণ করে এবং কর্টিসোলের নিঃসরণ কমায়, যার ফলে আমরা ইতিবাচক অনুভুতি যেমনঃ অনুপ্রেরণা, সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা, মানসিক চাপমুক্তি ইত্যাদি অনুভুতি বোধ করে থাকি।
দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মধ্যে তৈরি করতে পারে মানসিক দূরত্বের, শিশুর কগনিটিভ ডেভলাপমেন্ট বাধাগ্রস্থ হবে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিবে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের তৈরি করবে। মনোবিজ্ঞানীরা এর সামাধান হিসেবে জানিয়েছেন নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনা করে হাত মেলানো, হাই ফাইভ করতে পারেন। এছাড়াও বাগান করা , পোষা পশু পাখিকে আদর যত্ন করলেও ভালো অনুভুত হবে। যারা একা থাকেন এবং কোন পোষ্য নেই তাদের জন্য নিয়মিত ঘুম,শরীরর্চচা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, বাগান করা ইত্যাদি কর্মকান্ড তাদের মানসিক চাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
লেখক: লেখক: ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন