সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত

0
87
নারী নাকি পুরুষ, সম্পর্কের ইতি টানেন বেশি কে?
কারও সাথে সম্পর্কে জড়ানো খুবই চমৎকার একটি ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ  সময় আমরা বিভ্রান্ত এবং চিন্তিত হয়ে পড়ি যে সামনের মানুষটি ও কি একই ভাবে ভাবছে? কিভাবে আমরা এটি বুঝতে পারব? সব কিছু বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

এর একটি কারণ হতে পারে অন্যান্য প্রাণীর মত মানুষের মাঝেও দ্বৈত আচরণের প্রবণতা। তাদের ভাবনাচিন্তা এবং সেই অনুসারে তাদের আচরণ অনেক সময়ই সঙ্গতিপূর্ণ হয়না। অনেকেই স্বার্থ চরিতার্থ করতে অপরকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে। যেমন ধরুন, কেউ কাউকে পছন্দ করে,তবে সারা জীবন তার সাথে থাকতে চায়না। আবার কেউ হয়ত একের অধিক সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। মানুষের মন খুবই বিচিত্র। কিন্তু সব কিছু নিয়ে কখনোই মজা করা উচিত নয়।

মজার ব্যাপার হল, যদি আপনি একটি শক্তপোক্ত এবং দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কে জড়াতে চান তবে আপনার সঙ্গীর মনের হালচাল অবশ্যই জানুন। কিন্তু কিভাবে জানবেন আপনার সঙ্গীও এ ব্যাপারে একই রকম অনুভূতি পোষণ করে কি না? আপনার প্রতি আগ্রহী কেউ অবশ্যই সব সময় আপানার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে। বিভিন্নভাবে আপনাকে তার মনের অনুভূতির কথা জানাবে। এরকম কিছু দিকে খেয়াল রাখলে আপনি সম্পূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

১. নিয়মিত এবং স্থায়ী যোগাযোগ: সব প্রাণীদের মধ্যে প্যাঁচাদের মাঝে নিয়মিত যোগাযোগ প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। তারা তাদের সঙ্গীর সাথে সব সময় যোগাযোগ স্থাপন করে চলে। আমরাও ঠিক এমনটাই চাই। আমরা আমাদের সঙ্গীদের সাথে সব সময় যুক্ত থাকতে চাই। তাদের থেকে পাওয়া ফোন কল, ক্ষুদে বার্তা সব কিছুই আমাদের মুখে হাসি ফোটায়। ঘণ্টার পর ঘন্টা একসাথে থেকেও আমরা কখনোই বিরক্ত হইনা। এই অনুভূতিগুলো একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠার দিকেই ইঙ্গিত করে। ঠিক প্যাঁচাদের মত। উভয় পক্ষ থেকেই এই যোগাযোগ রক্ষিত হয় যদি না এর মাঝে তৃতীয় কোন পক্ষের প্রভাব থাকে।

২. একসাথে অধিক থেকে অধিকতর সময় অতিবাহিত করা: আমরা সব সময়ই চাই যেন আমাদের সঙ্গী আমাদের সাথেই থাকে। সব সময় তাদেরকে আমাদের চোখের সামনে রাখতে চাই। কিন্তু সত্যিকার  অর্থে কেউ যদি আপনার প্রতি আগ্রহী হয় তবে আপনাকে তিনি নিজের কাছে রাখতে চাইবেন, তার কাছের লোকদের সাথে পরিচর করিয়ে দেবেন। কিন্তু যদি সে উদাসীন হয় তবে কখনোই সে এসব ব্যাপারে ভাববেনা।

৩. সহজ-সরল এবং  স্বাভাবিক আচরণ: প্রতিটি মানুষের আচার-আচরণ এবং চিন্তাভাবনা ভিন্ন ভিন্ন। এটিকে বোঝা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতি আপনার সঙ্গীর মায়া,স্নেহ এবং আকর্ষণ থাকবে যা সে কখনোই এড়িয়ে যাবেনা। আপনার সাথে যত বেশি সময় সে অতিবাহিত করবে,তার মাঝে সেই আকাঙ্ক্ষা ততোই বাড়বে। আপনার আশেপআশে সে তার উপস্থিতি সব সময়ই জানান দেবে। যদি এরূপ না হয় তবে আপনার সঙ্গীর ব্যাপারে আপনাকে দ্বিতীয় বার অবশ্যই ভাবতে হবে।

অন্য পশু পাখিদের বেলায় তাদের স্বভাব বোঝা বেশ সহজ। কিন্তু মানুষ খুবই জটিল হৃদয়ের প্রাণী। তবে তাদের বোঝাও একদম দুরূহ ব্যাপার নয়। তাই যত দ্রুত আপনি আপনার ভূল সঙ্গীকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করবেন, ততো দ্রুত সঠিক সঙ্গীর দেখা পাবেন।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleশিশুর হজমের সমস্যা থেকে হতে পারে মানসিক রোগ
Next article৭০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে: গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here