অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনো আসক্তিতে আসক্ত। তবে যারা মদাসক্তিতে আসক্ত তারা কোন কারণে এ পথের পথিক তা জানাচ্ছে সমীক্ষা। এবং যে কোনো ধরনের আসক্তি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে মস্তিষ্কে এক বিশেষ ধরণের প্রটিনের পরিমাণ কম থাকা এবং মলিকিউলার মেকানিজমের ফলে মদাসক্তি দেখা যায় বলে একটা সমীক্ষায় জানা গেছে। এই সমীক্ষা মদাসক্তি কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরীক্ষায় জানা গেছে, মস্তিষ্কে GAT-3 প্রোটিনের পরিমাণ আমাদের বিভিন্ন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং মদাসক্তদের মস্তিষ্কে এই প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে।
সুইডেনের লিঙ্কোপিং ইউনিভার্সিটির মার্কাস হেইলিগ জানিয়েছেন, ‘যে কোনও আসক্তিই আমাদের ক্ষতি করতে পারে এমনকী আমাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে তা আমাদের বুঝতে হবে আর এই মোটিভেশন ঠিকভাবে কন্ট্রোল না করতে পারলে আমরা ভুল করতেই থাকবো’
জার্নাল সাইন্সে প্রকাশিত এই গবেষণায় জানা গেছে, মস্তিষ্কের পাঁচটা অঞ্চলের কয়েকশো জিনের কার্যকলাপ বোঝার জন্য বিজ্ঞানীদের দল ইঁদুর মডেল হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
তাঁরা ইদুরের মস্তিষ্কে GAT-3 লেভেলের আধিক্যের ফলে অ্যালকোহলের পরিবর্তে মিষ্টি জলের প্রতি আসক্তি লক্ষ্য করেছে। আর লেভেল কমিয়ে দেখেছে মিষ্টির পরিবর্তে অ্যালকোহলে ইঁদুরের আসক্তি বেড়ে গেছে।
তাঁরা দেখেন ১৫ শতাংশ আউটব্রেড ইঁদুর যেকোনো খাদ্য ও পানীয়ের পরিবর্তে সর্বদা অ্যালকোহল বেছে নিয়েছে।
“বাহকের এক্সপ্রেশনের তারতম্যে ইঁদুরদের আচরণগত তারতম্য অন্ত্যন্ত বেশী লক্ষ্য করা গেছে। যেসব ইঁদুর মিষ্টি স্বাদ আগে বেশী পছন্দ করেছে আর অ্যালকোহল পছন্দ করেনি, তারা পরবর্তীকালে অ্যালকোহল বেছে নিয়েছে এবং তাদের পছন্দে পরিবর্তন দেখা গেছে”, জানান প্রধান পর্যবেক্ষক এরিক অউগিয়ার।
এরপর ওই বিজ্ঞনিরা মানুষের মস্তিষ্কের কোষে GAT-3 লেভেলের তারতম্যের ফলে মদাসক্তি হয় কি না এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। তাঁরা ফলাফল জানতে পারেন, যে সব মানুষের মস্তিষ্কে ওই প্রোটিন কম থাকে সেই সব মানুষের মদাসক্তি দেখা যায়।
সূত্র: এনডিটিভি