উন্নত ও শিক্ষিত দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্যে প্রতি চারজন তরুণীর একজন মানসিকভাবে অসুস্থ। মানিসক অবসাদ ও দুশ্চিন্তাসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছেন দেশটির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণী। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে ওই প্রতিষ্ঠানটির পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ১৭ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণীরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট তরুণীর ২৩ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে এ সমস্যা রয়েছে।
তবে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী কিশোরীদের মধ্যে এ সমস্যা কম হলেও দিন দিন তা বাড়ছে। তারা বলছে, যুক্তরাজ্যের ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতি নয় জন শিশুর একজর মানসিক রোগে ভুগছেন। ১৩ বছর আগের এক জরিপে এই হার ছিল প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বিশেষজ্ঞরা প্রায় ৯ হাজার তরুণীর ওপর এই জরিপ চালান। বিশেষজ্ঞরা ওই তরুণীদের রোগ নির্ণয়ের পর এই মূল্যায়ন হাজির করেন।
রয়্যাল কলেজের মনোরোগ বিশারদ বার্নাদকা ডুবিচকা বলেন, ‘তরুণীদের মধ্যে মানসিক রোগের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। শারীরিক গঠন (বডি ফিগার) নিয়ে অস্বস্তি, পরীক্ষার চাপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক বিভিন্ন বিষয় সামঞ্জস্যহীনভাবে তরুণীদের প্রভাবিত করছে। অবশ্য অধিকাংশ সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েও মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে তরুণীরা।’ মানসিক রোগে আক্রান্ত এসব তরুণীর যথোপোযুক্ত চিকিৎসাসেবা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।