কথায় বলে ‘একটি মাত্র মিথ্যা হাজারটা মিথ্যার জনক’। কারণ একটি মিথ্যাকে ঢাকতে ক্রমাগত আরো বেশি বেশি মিথ্যা বলতে হয়। কিন্তু সত্যিই কি এমন হাজার হাজার মিথ্যা দিয়ে মিথ্যাকে পুরোপুরি ঢাকা যায়? শুধু মিথ্যাকে খানিকটা সময়ের জন্য পুরো চাপা দিয়ে রাখা যায় মাত্র।
তবে একটি মাত্র মিথ্যা কিন্তু যেকোনো সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট, হতে পারে সেটা কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা পেশাগত সম্পর্ক।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অ্যামি ক্যাডি বলেন, একজন মিথ্যা বলছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিন্তু একটি মাত্র পথ নেই। বরং মিথ্যা বলতে গেলেই মানুষের বেশ কিছু আচরণগত এবং অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখা দেয়, সেটাই বলে দেয় কেউ মিথ্যা বলছে কিনা।
নিজের লেখা বই ‘প্রেজেন্সে’ সেই বিষয়টাই বিশ্লেষণ করেছেন কাডি।
মিথ্যা বলতে গেলেই কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ব্যক্তির মধ্যে, যেমন ব্যক্তির গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়, অঙ্গভঙ্গি বদলে যায়, বসার বা দাঁড়িয়ে থাকার ধরণ বদলে যায় এবং মুখভঙ্গি বদলে যায়।
মিথ্যা বলার সময়ে মানুষ, নিজে কেমন আচরণ করছে সেটা দেখার বদলে বরং অন্যরা কি বলছে সেদিকে বেশি নজর দেয়। একজন ব্যক্তির মধ্যে আচরণগত দ্বন্দ্ব দেখা দিলে বুঝতে হবে সে মিথ্যা বলছে।
যদি কোনো ব্যক্তির গলার স্বর খুব খুশিভাব প্রকাশ করতে চায় কিন্তু শারিরীক অঙ্গভঙ্গিতে ততটা উচ্ছল না হয় তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা সমস্যা আছে।
কাডির গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল অনেকটা আরেক গবেষক ন্যান্সি ইটকফের গবেষণার সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। তার গবেষণা থেকে ন্যান্সি বলেন, যাদের কথা বলার সমস্যা রয়েছে তারা অন্যদের থেকে মিথ্যাবাদী চিনতে একটু বেশি পটু।