৩৩ বছর বয়সী কোরিয়ান গায়ক চোই সুং-বং মানসিক অবসাদ বা বিষণ্ণতায় ভুগে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ এমনটাই নিশ্চিত করে দ্য কোরিয়া টাইমস। দক্ষিণ সিউলের ইওকসাম-ডং জেলায় গায়কের নিজ বাড়িতে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে গায়কের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
দ্য কোরিয়া টাইমস এর বরাতে জানা যায়, সর্বশেষ তিনি তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিদায় বার্তা আপলোড করে। উক্ত ভিডিওতে তার ভুলের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।
কোরিয়ান জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘কোরিয়া গট ট্যালেন্ট’ ২০১১ সালে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা গায়ক চোই সুং-বং পরবর্তীতে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেন কোরিয়ার সাধারন মানুষের কাছে। তিনি কোরিয়ান লেবেল বং বং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল তার জীবন।
তবে ২০২১ সালে এই জনপ্রিয় কোরিয়ান গায়ক নিজের দুরারোগ্য ব্যাধি হয়েছে বলে মিথ্যাচার ছড়ায়। ফলশ্রুতিতে প্রতারণার অভিযোগে তাকে পড়তে হয় বিতর্কের মুখে। কর্মজীবনে নেমে আসে অন্ধকার। অতঃপর তিনি বেছে নেন আত্মহত্যার মতো ঘৃণিত পথ। কর্মজীবনে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েও কেন তাকে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে হয়েছে? সেটাই নিয়েই আজকের পর্বে মনের খবরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল বিশেষজ্ঞের মতবাদ।
অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী : আত্মহত্যার সাথে সফলতা কিংবা ব্যর্থতার সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। অনেক বিষয় রয়েছে যা থেকে মানুষ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন, জেনিটিক বা পারিবারিক সমস্যা সহ বিভিন্ন কারনে মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারি, সেখানে সফলতার হার বেশী থাকলেও আত্মহত্যার সংখ্যাও উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাইতে বেশী থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানসিক রোগ। তার মধ্যে অন্যতম ডিপ্রেশন। যদি এমন আত্মহত্যার চেষ্টা করা কোন ব্যক্তির সমস্যা চিহ্নিত করে তার পরিবার অথবা পরিবেশ পরিবর্তন করা যায় হয়তো আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানুষ অসফলতা থেকে হতাশ হয় এবং হতাশা থেকে মানসিক রোগ। অতঃপর আত্মহত্যা। ধন্যবাদ
সম্পাদনায়, প্রিন্স মাহামুদ আজিম
বিশেষজ্ঞের অভিমতে,
অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী
সিনিয়র কনসালটেন্ট, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, স্কয়ার হসপিটাল
সাবেক প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি)।