সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা গণ্য করে বিনিয়োগ বাড়াতে জাতিসংঘের সদস্য দেশ ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার ‘টেকসই সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা: মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাসহ সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা’ বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও প্রতিবন্ধিতায় ভুগলেও সার্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বিষয় দুটি অবহেলিত। অথচ অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ মানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া প্রত্যেকের অধিকার।
“তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাকে অন্তর্ভুক্ত করে এতে সম্পদের বিনিয়োগে মনোনিবেশ করতে জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আমি আহ্বান জানাই।”
স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বাংলাদেশে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক চালু, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ও মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এখন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কৌশলপত্র তৈরির কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হলে যে নানামুখী সুফল পাওয়া সম্ভব সে বিষয়টিও আলোচনায় তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা ধরা পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে, তাতে দ্রুত আরোগ্যের সম্ভাবনা বাড়বে।
দ্বিতীয়ত, কারও ক্ষেত্রে একসঙ্গে একাধিক সমস্যা থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তার অন্য রোগের চিকিৎসাতেও সহায়ক হবে।
আর তৃতীয়ত, হাসপাতাল থেকে কাউকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলে কমিউনিটি ক্লিনিকেই তার ‘ফলোআপ’ করা সম্ভব হবে, যদি মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদবের উপস্থিতিতিতে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল এডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।