যারা ভাং জাতীয় মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে, তারা তাদের মস্তিষ্কের বিশ্রাম অবস্থায় বর্ধিত করটিকাল সক্রিয়করণের অভিজ্ঞতা লাভ করে বলে নতুন এক গবেষনায় দেখা গেছে। এর ফলে যে “হৈচৈপূর্ণ” মস্তিষ্ক বা “নয়েজি ব্রেইন” অবস্থার সৃষ্টি হয় তা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের ক্ষতিসাধন করে এবং কগ্নিটীভ প্রক্রিয়াকে বিপর্যস্ত করে।
গবেষনাটির জন্য গবেষকরা ৩৮ জন অংশগ্রহনকারী ইলেক্ট্রোএন্সেফেলোগ্রাম তথ্য সংগ্রহ করেন। যার মধ্যে ১৭ জন ভাং ব্যবহারকারী এবং ২১ জন ব্যবহার করেন না। এই ইলেক্ট্রোএন্সেফেলোগ্রাম পরীক্ষা মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া পরিমাপ করে যা ‘ব্রেইন ওয়েভ’ বা মস্তিষ্কের তরঙ্গ নামেও পরিচিত।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন করটিকাল অংশে মস্তিষ্ক সিগনালের শক্তি মূল্যায়ন করার জন্য মস্তিষ্ক তরঙ্গের ছন্দসমতা পরিমাপ করেন তারা। গবেষকদের মতে ইহা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যকার যোগাযোগ পরিমাপ করে।
এই গবেষনাটির প্রধান লেখিকা এবং ইউনিভার্সিটি পফ টেক্সাসের (ডালাস) সেন্টার ফর ব্রেইন হেলথের গবেষণা বিজ্ঞানী শিখা প্রসাদ বলেন ‘গবেষণাটাই প্রথমবারের মত ভাং ব্যবহারকারীদের বিশ্রাম অবস্থায় বৈশ্বিক করটিকাল সক্রিয়ক্রণ এবং আন্তঃ ও অন্ত হেমিস্ফিয়ারিক কার্যকরী সংযোগকে চিহ্নিত করে’।
এই গবেষণা আরো দেখায় যে ভাং ব্যবহারকারীরা, অব্যবহারকারীদের তুলনায় অধিক পরিমাণে মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের ব্রেইন ওয়েভের সমলয়ন প্রদর্শন করে। একই ফল হিরোইন, কোকেইন এবং এলকোহল নিয়ে করা গবেষণায়ও পাওয়া গেছে।
শিখা প্রসাদ বলেন, ‘গবেষকরা ভাং ব্যবহারকারীদের মধ্যে মস্তিষ্কের সম্মুখ অংশে উচ্চ করটিকাল যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করেন। মস্তিষ্কের করটিকাল অংশে যোগাযোগের পরিবর্তন ভাং ব্যবহারকারীদের মধ্যে কগ্নিটিভ দুর্বলতার প্রতিও নির্দেশ করতে পারে’।
এই ফলাফলগুলো আমাদের মস্তিষ্কের কগ্নিটিভ দুর্বলতার বুঝতে সহায়তা করবে। একই সাথে ইহা মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রো ফিজিকাল প্যাটার্নএর বিকাশ সাধনে সহায়তা করে ইন্টারভেনশনের সফলতার ম্যাপ এবং মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্র: সাইক সেন্ট্রাল।
অনুবাদটি করেছেন মাঈশা তাহসিন অর্থী।