International day of old people এর এক বিবৃতিতে WHO জানিয়েছে যে, তারা বয়স্কদের প্রতি বৈষম্যমুলক আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। তারা বলছে, বর্তমানে পুরো বিশ্বব্যাপী বয়স্কদের প্রতি বৈষম্যমুলক আচরণ করা হচ্ছে। এটা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
WHO এর বৈশ্বিক মূল্যায়ন জরীপে অংশগ্রহণকারীদের ৬০% উত্তর দিয়েছে যে, বর্তমানে বয়স্কদের ঠিকমতো সম্মান করা হয় না। বিশ্বের ৫৭টি দেশের প্রায় ৮৩ হাজার মানুষের অংশ নেয়া এ জরীপ থেকেই বয়স্কদের সামাজিক মর্যাদার চিত্র বোঝা যায়। বিশেষ করে অধিক আয়ের দেশগুলোতে বেশি অবজ্ঞা ও অসম্মান করা হয়।
এই অবজ্ঞা বয়স্কদের শরীর ও মনের জন্য হুমকিস্বরুপ। কেননা এতে করে তারা নিজেকে নিতান্ত মুল্যহীন ভাবে, নিজেকে বোঝা হিসেবে ভাবে। এতে তাদের মাঝে হতাশা প্রকট হয় ও তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাম্প্রতিক করা গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল বয়স্ক ব্যক্তি তাদের বয়স নিয়ে নিগৃহিত ও চিন্তিত তারা ঠিকমতো বয়সজনিত অসুখ কাটিয়ে উঠতে পারে না। এমনকি তারা গড়ে ৭.৫ বছর কম বাঁচে তাদের তুলনায় যাদের সাথে এমনটা হয় না।
২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং ২০৫০সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ বিলিয়ন। তখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ হয়ে দাঁড়াবে এই সিনিয়র সিটিজেনরা।
Alana Officer, Coordinator, Ageing and Life Course এ সম্পর্কে বলেছেন,“আমাদের সমাজ এই বয়স্ক লোকদের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। কিন্তু তার আগে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে।” মে ২০১৬ তে World Health Assembly একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে যার উদ্দেশ্য ছিল বয়স্কদের প্রতি অবহেলা প্রতিরোধ করা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা। তাই প্রতিবছর The International Day of Older Persons পালিত হয়ে থাকে ১ অক্টোবর। যার উদ্দেশ্য হল বয়স্কদের সামাজিক অংশগ্রহণ, সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও এই সংক্রান্ত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। ২০১৬ সালে এর প্রতিপাদ্য ছিল বয়স্কদের প্রতি অবহেলা প্রতিরোধ করি, সচেতনতা তৈরি করি ও এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান করি।
তথ্যসূত্র- ডব্লিউএইচও ওয়েবসাইট
http://www.who.int/mediacentre/news/releases/2016/discrimination-ageing-youth/en/
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম