মানসিক রোগের চিকিৎসায় বিশ্বের অন্যতম এবং দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রথম চিকিৎসালয় পাবনা মানসিক হাসপাতাল। ১৯৫৭ সালে যাত্রা শুরু করা এই হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০০ শয্যা নিয়ে অসংখ্য মানসিক রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই হাসপাতাল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণার চেয়ে ভ্রান্ত ধারণাই বেশি। গণমাধ্যমগুলোতেও এই হাসপাতাল নিয়ে ইতিবাচক খবরের চেয়ে নেতিবাচক খবরই বেশি। আজ আমরা জানব মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা এই হাসপাতালে রোগীদের জন্য কি কি সুযোগ সুবিধা আছে সে সম্পর্কে-
অন্তবিভাগ: এই বিভাগ থেকে ভর্তিকৃত রোগীদেরকে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই বিভাগে ১৮ টি ওয়ার্ডে ৫০০ টি শয্যা রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষদের ওয়ার্ড ১৩ টি এবং নারীদের জন্য রয়েছে ৫ টি ওয়ার্ড। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন সাইক্রিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার থাকেন। রোগীদের সেবায় প্রতিদিন ১৬২ জন সেবক/সেবিকা কাজ করেন যারা রোগীদের খাওয়া দাওয়া ও ওষুধ খাওয়া নিশ্চিত করে থাকেন। এখানে শয্যার বিপরীতে মেঝেতে কোন রোগীকে রাখা হয় না। এছাড়া ছুটির সময় রোগীদেরকে বিনামূল্যে দুই মাসের ওষুধ দিয়ে দেওয়া হয়।
বর্হিবিভাগ: এই বিভাগ খেকে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয় এবং প্রয়োজনে রোগীকে ভর্তি করে রাখা হয়। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই বিভাগ থেতে ১০ টাকা মূল্যের টিকিটের বিনিময়ে সেবা দেওয়া হয়।
বৃত্তি ও বিনোদনমূলক চিকিৎসা বিভাগ: এই বিভাগ থেকে রোগীদেরকে বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রোগীদের চিত্ত বিনোদনের জন্য নিয়মিত ব্যবস্থা করা হয়। রোগীদের প্রতিটি কক্ষে সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে যার মাধ্যমে রোগীরা গান শুনতে পারেন। এবং রোগীদের জন্য টেলিভিশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে: রক্ত পরীক্ষা(CBC,SGPT,S.Creatinine,RBS), প্রসাব পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি।
*তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন: ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজীব, সহকারী রেজিস্টার, পাবনা মানসিক হাসপাতল