মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় দেশের প্রথমও সর্ববৃহৎ চিকিৎসালয় পাবনা মানসিক হাসপাতাল। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটির মানসিক রোগ চিকিৎসায় রয়েছে বেশ কিছু সাফল্য। এই হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর হার অন্য যেকোন হাসপাতাল থেকে কম।
রাজস্ব আদায়েও হাসপাতালটি এগিয়ে আছে অন্য যেকোন হাসপাতাল থেকে। কোন অভিভাবক, ছাড়াই রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধ, খাদ্য সরবারাহের মান ও রোগীর সেবা উল্লেখ করার মত। রোগী সুস্থ হলে প্রয়োজনে রোগীর বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করে আসে কর্তৃপক্ষ। রোগী হাসপাতালে থাকা অবস্থায় যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তবে প্রয়োজনে তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
তবে এইসব সফলতার পরও হাসপাতালটিতে রয়েছে কিছু সমস্যা। হাসাপাতালের চিকিৎিসার মান অক্ষুন্ন রাখতে দ্রুতই সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। গত ১৩ ডিসেম্বর পাবনা মানসিক হাসপাতালে মনের খবর আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এই হাসপাতালের কিছু সমাধান ও প্রয়োজন তুলে ধরেন হাসপাতালটির সহকারী রেজিষ্টার ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজীব। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার হলেও বর্তমানে মঞ্জুরীকৃত জনবল ২০০ শয্যার জন্য, যার মধ্যে আবার ২০০ টি পদ শূন্য। এই সংকট পূরণে ৬৭৩ টি পদে জনবল প্রয়োজন।
- অ্যাম্বুলেন্স আছে মাত্র ১ টি।
- অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের স্বল্পতা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করেন কমপক্ষে আরো ৫০ টি অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র দরকার।
- হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার।
- পুরোনো ভবনগুলো জরুরী ভিত্তিতে ভেঙে ফেলা দরকার।
- রোগীদের খাবারের বাজেট ১২৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা করা দরকার। এই টাকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিলে দাঁড়ায় ১০৬ টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া বিশেষ দিনে খাবারের বাজেট ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করা জরুরী।
- কর্মরত নার্সদের আবাসিক সুবিধা নেই।
- নেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা।
- মাদাকাসক্তি রোগীদের জন্য মাত্র ২৫ টি শয্যা বরাদ্দ, যার সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
- মহিলা মাদকাসক্ত ওর্য়াড নেই।
- শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন ওর্য়াড নেই।
- ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসারের কোন পদ নেই।
- রোগীদের জন্য একটি লাইব্রেরী থাকলেও লোকবলের অভাবে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।