অপব্যবহারের সংজ্ঞা হলো, যখন একটি গোষ্ঠীর হাতে কোনোরকম ক্ষমতা থাকে না, আবার অপরপক্ষের হাতে সবধরণের ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হয় এবং তারা ক্ষমতাহীনদের উপর অন্যায়ভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
এ ধরণের ঘটনা জীবনের এক অযাচিত বন্ধুর আগমন ঘটাতে পারে যার নাম উদ্বিগ্নতা। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে খুব সহজ কিছু মনে হলেও আসলে এটি তেমন নয়। দীর্ঘমেয়াদী উদ্বিগ্নতা আপনার শরীর ও মন দুটোর ওপরই মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ উদ্বিগ্ন মানুষ বিভিন্ন সময় বিষণ্ণতার শিকার হয়েছেন এবং আত্মহত্যার চিন্তা করেছেন।
এমন অবস্থায় কি করা যেতে পারে? দেখে নেয়া যাক সহজ কিছু উপায়, যা অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।
১. হাঁটুনঃ
এটি খুবই প্রচলিত এবং সাধারণ একটি কথা হলেও এটি আপনার শরীরের সাথে সাথে মস্তিষ্ককেও উজ্জীবিত করে তোলে। এভাবে অনেক সময় অনেক নতুন ধারণার জন্ম হয়।
২. কথা বলুনঃ
কথা বলুন। প্রতিদিন। তবে নিজের সাথে নয় বরং অন্য একজন মানুষের সাথে। এটি অনেক সময় আপনার জীবনের চিন্তাভাবনা বদলে দিতে পারে।
৩. একটি গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুনঃ
ঘাড়, মাথা উঁচু করে একটি গাছকে দেখুন। গাছগুলো অনেকটা তুষারকণার মতো। প্রতিটা গাছ আলাদা- ঋতু অনুযায়ী, তার পাতা, কাণ্ড, পাতাহীন শাখা, তার শাখায় বসা পাখি এগুলোর জন্য। এগুলোর মধ্যে কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়।
৪. নিজের মতো করে ঘুমিয়ে নিনঃ
কীভাবে ঘুমাতে হয়, কত সময় ধরে, এসব গবেষণা আপাতত ভুলে যান। শুধু শুয়ে পড়ুন চারপাশে কোনোরকম উদ্দীপক না রেখে। চোখে বন্ধ রেখে পড়ে থাকুন যতক্ষণ আপনি নিজেকে তুলতে না চান।
৫. নিজের পছন্দ মতো খাওয়াদাওয়া করে নিনঃ
নিজেকে উপহার দিন। নিজের জন্য যা ভালো লাগে তাই করে ফেলুন। নিজের পছন্দ মতো খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে পারেন। হতে পারে তা মন চনমনে করে তোলা কফি, আপনার প্রিয় স্বাদের কেক অথবা যা কিছু আপনি চান।
৬. তালিকা তৈরি করুনঃ
যা আপনার করা উচিত কিংবা আপনি করতে চান, তার একটি তালিকা করে ফেলুন এবং প্রতিটি কাজ শেষ করে অবশ্যই তাতে কলম অথবা রঙিন মার্কার দিয়ে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ফেলুন।
তথ্যসূত্র: সাইকসেন্ট্রালে প্রকাশিত Donna Barstow এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হাওলাদার।
মূল নিবন্ধ দেখতে ক্লিক করুন