সমস্যা: আমার নাম আবিদ। বয়স ২৬ বছর। আমি একটি প্রাইভেট ব্যাংকে জব করি। গত কয়েকমাস ধরে আমার সমস্যা হচ্ছে আমার কোনো কিছু ভালো লাগে না, কোনো কিছুতে আনন্দ পাই না । সারাক্ষণ অস্থির অস্থির লাগে । বুক ধড়ফড় করে। স্যার এখন আমি কি করতে পারি ? কোনো ঔষধ কি সেবন করব ? করলে কি ঔষধ সেবন করব এবং কতদিন ? প্লিজ স্যার আমাকে একটু সাহায্য করেন।
পরামর্শ: প্রিয় আবিদ, আপনি যে সমস্ত উপসর্গের কথা লিখেছেন, তা মোটামুটিভাবে বোঝা যায় এগুলো ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটির উপসর্গ। ঔষধ-পত্র লেখার আগে জানতে হবে আপনার ব্যক্তিত্বের ধরণ কি, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক অথবা অফিসিয়াল কারণে কাজের ক্ষেত্রে কোন অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা, আপনি স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিত্বের মানুষ কিনা তার যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত হবে। যেকোনো ঔষধপত্র ব্যবহার করার আগে মূল্যায়ন করা উচিত যে, আপনার কর্মদক্ষতা কমে যাচ্ছে কিনা, ক্ষুধামন্দা আছে কিনা, ঘুমের অসুবিধা হচ্ছে কিনা, কোনো কাজে সঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারছেন কিনা, কর্মদক্ষতা আগের চেয়ে কমে এসেছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। আমার উপদেশ হবে আপনি যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে বিএসএমএমইউ, শাহাবাগ বিকালে অথবা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। আর ঢাকার বাইরে থাকলে যেকোনো মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগে যোগাযোগ করুন। আপনি যে কয়েকটি উপসর্গের কথা লিখেছেন তাতে মনে হয় আপনি প্রাথমিকভাবে ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটির কারণে কষ্ট পাচ্ছেন। মূলত এই ধরনের সমস্যার সম্মূখীন রোগীদের জন্য ঔষধপত্রের যথেষ্ট উপকার হবে, তবে কমপক্ষে তিন থেকে ছয়মাস খেতে হবে, আপনার ক্ষেত্রে সাপোর্টিভ সাইকোথেরাপি ও রিলাক্সেশান থেরাপি কাজে আসবে বলে আমি মনে করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ঔষধ লেখার আগে শুধু উপসর্গের কথা না ভেবে রোগীর সমস্যার সঠিক মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সঠিক মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে। আমার মনে হয়, যেহেতু আপনি কর্মব্যস্ত প্রাইভেট ব্যাংকে কাজ করছেন, আপনার কর্মদক্ষতা অক্ষুন্ন রেখেই প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র, সাইকোলোজিক্যাল সাপোর্ট ভালো কাজ করবে। আমি নিজে সঠিক মূল্যায়ন না করে সরাসরি ঔষধ লেখা পছন্দ করি না। যেভাবে আপনাকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে সেভাবে কাজ করলেই মনে হয় আপনার সঠিক চিকিৎসা হবে।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।