অপরিণত শিশুর মানসিক রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি!

শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল পেডিয়াট্রিক (Pediatric) এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুদের পরবর্তী জীবনে স্বাভাবিক ওজনের শিশুদের তুলনায় মানসিক সমস্যায় আড়াই গুণ ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে।
International-24-03-2015

কানাডার মেকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. রয়ান ভেন লাইস হুটের নেতৃত্বে চালিত এ গবেষণায় বলা হয়, যথাসময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ করাই শিশুর কম ওজন হওয়ার মূল কারণ। এছাড়া গর্ভাবস্থায় কোনো কারণে সঠিকভাবে বেড়ে না ওঠা কিংবা ইনফেকশনের কারণে এমনটি হতে পারে।

কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া ও যথাসময়ে জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, কম ওজন নিয়ে জন্ম ব্যক্তিদের প্রাপ্ত বয়স্ককালে বিষ্ণন্নতা, মনোযোগহীনতা, উদ্বিগ্নতায় ভোগার আশঙ্কা স্বাভাবিক ওজন নিয়ে জন্ম ব্যক্তির চেয়ে আড়াইগুণ বেশি।

কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ৮৪ জন ও স্বাভাবিক ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ৯০ জনের ওপর তারা এ গবেষণা চালান। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই কানাডার অন্টারিওতে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গবেষণা চালানোর সময় তাদের বয়স ছিলো ৩০ এর কোটায়।

বিভিন্ন কারণে সন্তান কম ওজন নিয়ে জন্ম নিতে পারে। এর মধ্যে সন্তান-সম্ভাবা নারীরা খাদ্যগ্রহণের সময় আমিষ কম খেলে এমনটি ঘটতে পারে। আমিষের অভাবে অপরিণত শিশুর জন্ম হয় এবং শিশুর জন্মের পরও ওজন হ্রাস পায়।

তাই গর্ভবতী নারীদের খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আর শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও বাবা-মা যদি শিশুর যথেষ্ট পরিচর্যা এবং চিকিৎসা নেন তাহলে শিশুর মানসিক রোগের আশঙ্কা অনেকটা কমে আসে বলে গবেষণায় জানানো হয়।

লাইস হুট বলেন, চিকিৎসার মাধ্যমে হতাশা, কম মনোযোগ ও উদ্বিগ্নতার মতো মানসিক রোগ থেকে কম ওজনে জন্ম নেয়া খুব সহজে আরোগ্য পেতে পারে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনের খবর

Previous articleফ্রয়েডের ‘অচেতন মনে’ কি আছে?
Next articleস্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে এবং নারীর মন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here